📚সপ্তম শ্রেণির পরিবেশ বিজ্ঞান সাজেশন(দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ণ)📚
✍️ভৌত বিজ্ঞান
✍️ প্রশ্নের মান-২:
1.আলোর প্রতিসরণের চিত্র অঙ্কন করে আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি, আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণ চিহ্নিত করো।
2.একটি চুম্বক অঙ্কন করে উত্তরমেরু, দক্ষিণমেরু, উদাসীন অঞ্চল ও চৌম্বক দৈর্ঘ্য চিহ্নিত করো।
3. তড়িৎচুম্বকের শক্তি বাড়ানোর উপায় কী?
উত্তর:
তারের পাক সংখ্যা বাড়িয়ে এবং তড়িৎ প্রবাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তড়িৎচুম্বকের শক্তি বাড়ানো যায়।
4. বিচ্ছুরণ কাকে বলে? জলে ডোবানো লাঠি বাঁকা দেখায় কেন?
উত্তর:
বিচ্ছুরণ:
যখন সাদা আলো কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হয়, তখন এটি সাতটি আলাদা রঙে বিভক্ত হয়। এই ঘটনাকে বিচ্ছুরণ বলা হয়।
লাঠি বাঁকা দেখার কারণ:
জলে লাঠি রাখলে, আলো ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসরিত হয়। এই প্রতিসরণের কারণে লাঠি বাঁকা দেখায়।
5. ফিউজ তার কী? বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট কোন উপাদান দিয়ে তৈরি?
উত্তর:
ফিউজ তার:
একটি সরু, কম গলনাঙ্কের পরিবাহী তার, যা অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হলে গলে যায় এবং সার্কিট বন্ধ করে।
ফিলামেন্ট উপাদান:
বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট টাংস্টেন দিয়ে তৈরি।
6. ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণের চিত্র অঙ্কন করো।
উত্তর:
চিত্রে বিভেদতল দেখানো হবে, যেখানে আপতিত রশ্মি, প্রতিসরিত রশ্মি ও বিভেদতল চিহ্নিত থাকবে।
7. ফিউজ তারের কাজ কী?
উত্তর:
ফিউজ তার অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহ রোধ করে যন্ত্রপাতিকে সুরক্ষিত রাখে।
8. সৌরশক্তির দুটি ব্যবহার কী কী?
উত্তর:
সৌর লণ্ঠন এবং সৌর চুলায় সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়।
9. সমতল দর্পণে প্রতিবিম্বের দুটি বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর:
প্রতিবিম্বের আকার ও বস্তুর আকার সমান হয় এবং প্রতিবিম্ব বস্তুর সমান দূরত্বে থাকে।
10. একটি দণ্ডচুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য 10 সেমি হলে, চৌম্বক দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর:
চৌম্বক দৈর্ঘ্য জ্যামিতিক দৈর্ঘ্যের প্রায় \( \frac{5}{6} \)-গুণ হয়। সেক্ষেত্রে চৌম্বক দৈর্ঘ্য হবে \( \frac{5}{6} \times 10 = 8.33 \) সেমি।
11. একটি মুক্ত বর্তনীর চিত্র আঁকো, যেখানে একটি সেল, সুইচ এবং বাল্ব থাকবে।
উত্তর:
চিত্রে সেল, সুইচ, এবং বাল্ব সংযুক্ত একটি উন্মুক্ত বর্তনী দেখানো হবে।
12. নিয়মিত প্রতিফলন ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:
নিয়মিত প্রতিফলন মসৃণ তলে ঘটে এবং প্রতিফলন কোণ ও আপতন কোণ সমান থাকে।
বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন অমসৃণ তলে ঘটে এবং প্রতিফলন কোণ ও আপতন কোণ সমান হয় না।
13. প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া কী?
উত্তর:
প্রচ্ছায়া হলো অস্বচ্ছ বস্তু দ্বারা গঠিত ছায়ার কেন্দ্রীয় গাঢ় অংশ, এবং উপচ্ছায়া হলো প্রচ্ছায়ার চারপাশে অপেক্ষাকৃত কম গাঢ় অংশ।
14. বায়ুকল থেকে পাওয়া শক্তি কী ধরনের? এটি কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর:
বায়ুকল থেকে বায়ুশক্তি পাওয়া যায়। এটি বাতাসের গতিশক্তি থেকে উৎপন্ন হয়।
15. বইয়ের পাতা সাদা ও খসখসে কেন করা হয়?
উত্তর:
পাতা সাদা রাখা হয় যাতে আলো শোষিত না হয় এবং লেখাগুলো স্পষ্ট দেখায়। খসখসে পৃষ্ঠের কারণে আলো বিক্ষিপ্ত প্রতিফলিত হয়, যা পাঠ করা সহজ করে।
16. আলোর প্রতিফলনের সূত্র কী?
উত্তর:
প্রথম সূত্র: আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।
দ্বিতীয় সূত্র: প্রতিফলন কোণ আপতন কোণের সমান হয়।
17. তড়িৎচুম্বকের দুটি ব্যবহার কী?
উত্তর:
হেডফোন, লাউডস্পিকার এবং চিকিৎসায় এমআরআই স্ক্যানে তড়িৎচুম্বক ব্যবহৃত হয়।
18. সৌরশক্তির দুটি ব্যবহার কী কী?
উত্তর:
সৌর লণ্ঠন এবং সৌর চুলায় সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়।
19. ব্যাপন কী?
উত্তর:
উচ্চ ঘনত্ব থেকে নিম্ন ঘনত্বে পদার্থের সমানভাবে বিস্তার ব্যাপন নামে পরিচিত।
20. রূপান্তরিত কান্ড কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
কাণ্ড বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য পরিবর্তিত হলে তাকে রূপান্তরিত কান্ড বলে। উদাহরণ: পেঁয়াজ, রসুন।
21. আলোর প্রতিফলন কী?
উত্তর:
আলোকরশ্মি কোনো বিভেদতলে আপতিত হয়ে প্রথম মাধ্যমেই ফিরে এলে তাকে আলোর প্রতিফলন বলে।
22. আলোর প্রতিসরণ কী?
উত্তর:
আলোর রশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করলে তাদের গতিপথ পরিবর্তন হয়। এ ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
23. বর্ণালী কী?
উত্তর:
সূর্যের আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হয়ে সাতটি রঙের ব্যান্ড সৃষ্টি করে। একে বর্ণালী বলে।
24. চুম্বকের উদাসীন অঞ্চল কী?
উত্তর:
চুম্বকের মধ্যবর্তী অংশ যেখানে আকর্ষণ ক্ষমতা নেই, সেটিকে উদাসীন অঞ্চল বলে।
25. চৌম্বক অক্ষ কী?
উত্তর:
চুম্বকের দুই মেরুকে সংযুক্ত করা সরলরেখা চৌম্বক অক্ষ নামে পরিচিত।
26. দুটি পরিবেশবান্ধব শক্তির নাম কী?
উত্তর:
সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তি।
27. মুক্ত বর্তনী ও বদ্ধ বর্তনী কী?
উত্তর:
মুক্ত বর্তনী: যেসব বর্তনীর কোনো প্রান্ত খোলা থাকে।
বদ্ধ বর্তনী: যেসব বর্তনীর সব প্রান্ত বন্ধ থাকে।
28. তড়িৎচুম্বক কী?
উত্তর:
তড়িৎ প্রবাহ দ্বারা তৈরি চুম্বককে তড়িৎচুম্বক বলে।
29. ফিউজ তার কী? এর বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর:
ফিউজ তার:
একটি উপাদান যা অতিরিক্ত কারেন্ট রোধে ব্যবহৃত হয়।
বৈশিষ্ট্য:
গলনাঙ্ক কম এবং দৈর্ঘ্য স্বল্প।
30. 'AMBULANCE' কথাটি অ্যাম্বুলেন্স গাড়িতে উল্টো করে লেখা থাকে কেন?
উত্তর:
গাড়ির সামনের লুকিং গ্লাসে এটি প্রতিফলিত হয়ে সঠিকভাবে দেখা যায়, যা গাড়ির চালককে সঠিক বার্তা দেয়।
31. প্রাকৃতিক চুম্বক এবং কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য লিখো।
উত্তর:
প্রাকৃতিক চুম্বক সেই চুম্বক যা প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয় এবং মানবসৃষ্ট নয়। কৃত্রিম চুম্বক এমন পদার্থ যা মানুষের তৈরি এবং এতে চুম্বকীয় গুণাবলী যুক্ত করা হয়। প্রাকৃতিক চুম্বক কম শক্তিশালী হলেও কৃত্রিম চুম্বক শক্তিশালী হয়।
32. চৌম্বক দৈর্ঘ্য কাকে বলা হয়?
উত্তর: চুম্বকের দুই মেরুর মধ্যে দূরত্বকেই চৌম্বক দৈর্ঘ্য বলা হয়।
33. সৌর কোষের দুটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তর:
সৌর শক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন মাছ, শস্য, এবং সবজি শুকানোর জন্য। এছাড়া সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয় সোলার ওয়াটার হিটার এবং সোলার কুকারের মতো যন্ত্রে।
34. তড়িৎ চুম্বক কী?
উত্তর: তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া ব্যবহার করে যে চুম্বক তৈরি হয়, তাকে তড়িৎ চুম্বক বলা হয়। একটি কাঁচা লোহা বা ইস্পাতের দণ্ডের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে এটি তৈরি করা হয়।
35. নিয়মিত প্রতিফলন এবং বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন কী?
উত্তর:
যখন সমান্তরাল আলোক রশ্মি কোন মসৃণ পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে আবারও সমান্তরাল অবস্থায় থাকে, তখন তাকে নিয়মিত প্রতিফলন বলা হয়।
যদি আলোক রশ্মি প্রতিফলনের পর অসমান্তরাল হয়ে যায়, তবে তাকে বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন বলা হয়।
36. শর্ট সার্কিট কী?
উত্তর: শর্ট সার্কিট এমন একটি অবস্থা, যেখানে তড়িৎ প্রবাহ অনিচ্ছাকৃতভাবে সহজ পথে চলে যায়, যাতে রোধ কম থাকে এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় অস্বাভাবিক প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
37. চৌম্বক আবেশ কী?
উত্তর: চৌম্বক আবেশ এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি চৌম্বক পদার্থ অন্য কোন চুম্বকের কাছাকাছি আসলে সাময়িকভাবে তার মধ্যে চুম্বকীয় গুণাবলী সৃষ্টি হয়।
✍️৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তরসমূহ
1. সেল বা ব্যাটারি, সুইচ, তার এবং বাল্ব সহ একটি বদ্ধ বর্তনীর চিত্র অঙ্কন করো।
উত্তর:
(এখানে চিত্র অঙ্কন করতে হবে।)
2. একটি পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎসের নাম লেখো। এর দুটি সুবিধা লিখো।
উত্তর:
একটি পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎস হলো সৌরশক্তি।
সৌরশক্তির দুটি সুবিধা:
এটি পরিবেশের ক্ষতি করে না।
এটি সহজলভ্য এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য।
3. 'আকর্ষণের পূর্বে আবেশ হয়' এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যখন একটি চুম্বক অন্য একটি চৌম্বক পদার্থকে আকর্ষণ করে, তখন তার আগে ওই চৌম্বক পদার্থটি সাময়িকভাবে আবেশিত হয়ে চুম্বকীয় বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। এর ফলে তারা একে অপরকে আকর্ষণ করে। এজন্য বলা হয় 'আকর্ষণের পূর্বে আবেশ হয়'।
4. 'পৃথিবী নিজেই একটি চুম্বক' ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যদি একটি লোহার দণ্ড পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ দিক বরাবর রেখে অনেক দিন রাখা হয়, তবে ওই দণ্ডটি চুম্বকীয় গুণাবলী অর্জন করে। এর উত্তর প্রান্ত চুম্বকের উত্তর মেরুর মতো আচরণ করতে শুরু করে, এবং দক্ষিণ প্রান্ত চুম্বকের দক্ষিণ মেরুর মতো আচরণ করে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে পৃথিবী নিজেই একটি চুম্বক।
5. 'আকর্ষণ অপেক্ষা বিকর্ষণই চুম্বকত্বের প্রকৃত প্রমাণ' ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যদি একটি দন্ড চুম্বক হয়, তবে তা অন্য চুম্বক বা চৌম্বক পদার্থের কাছাকাছি নিয়ে গেলে বিকর্ষণের মাধ্যমে তা সহজেই প্রমাণিত হয়।
যদি দন্ডটি আকর্ষণ সৃষ্টি করে, তবে এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে এটি চুম্বক, কারণ আকর্ষণ দুটি বিপরীত মেরু দ্বারা হতে পারে। কিন্তু যদি দন্ডটি বিকর্ষণ সৃষ্টি করে, তাহলে এটি স্পষ্ট যে দন্ডটি চুম্বক, কারণ চুম্বকের সমমেরু একে অপরকে বিকর্ষণ করে।
6. চুম্বকের ধর্ম ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: চুম্বকের দুটি প্রধান ধর্ম:
1. আকর্ষণী ধর্ম: চুম্বক লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি ধাতুকে আকর্ষণ করতে পারে।
2. দিকনির্দেশক ধর্ম: চুম্বকটি যদি সুতো দিয়ে ঝুলানো হয়, তবে এটি নিজে উত্তর-দক্ষিণ দিক অনুযায়ী স্থির হয়ে যাবে।
7. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর কারণ লেখো।
উত্তর:
1. জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ালে বায়ু দূষণ কমিয়ে জনস্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।
2. জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ঘটে, যা জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন সৃষ্টি করে।
উত্তর:
তারের পাক সংখ্যা বাড়িয়ে এবং তড়িৎ প্রবাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তড়িৎচুম্বকের শক্তি বাড়ানো যায়।
4. বিচ্ছুরণ কাকে বলে? জলে ডোবানো লাঠি বাঁকা দেখায় কেন?
উত্তর:
বিচ্ছুরণ:
যখন সাদা আলো কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হয়, তখন এটি সাতটি আলাদা রঙে বিভক্ত হয়। এই ঘটনাকে বিচ্ছুরণ বলা হয়।
লাঠি বাঁকা দেখার কারণ:
জলে লাঠি রাখলে, আলো ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসরিত হয়। এই প্রতিসরণের কারণে লাঠি বাঁকা দেখায়।
5. ফিউজ তার কী? বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট কোন উপাদান দিয়ে তৈরি?
উত্তর:
ফিউজ তার:
একটি সরু, কম গলনাঙ্কের পরিবাহী তার, যা অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হলে গলে যায় এবং সার্কিট বন্ধ করে।
ফিলামেন্ট উপাদান:
বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট টাংস্টেন দিয়ে তৈরি।
6. ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণের চিত্র অঙ্কন করো।
উত্তর:
চিত্রে বিভেদতল দেখানো হবে, যেখানে আপতিত রশ্মি, প্রতিসরিত রশ্মি ও বিভেদতল চিহ্নিত থাকবে।
7. ফিউজ তারের কাজ কী?
উত্তর:
ফিউজ তার অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহ রোধ করে যন্ত্রপাতিকে সুরক্ষিত রাখে।
8. সৌরশক্তির দুটি ব্যবহার কী কী?
উত্তর:
সৌর লণ্ঠন এবং সৌর চুলায় সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়।
9. সমতল দর্পণে প্রতিবিম্বের দুটি বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর:
প্রতিবিম্বের আকার ও বস্তুর আকার সমান হয় এবং প্রতিবিম্ব বস্তুর সমান দূরত্বে থাকে।
10. একটি দণ্ডচুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য 10 সেমি হলে, চৌম্বক দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর:
চৌম্বক দৈর্ঘ্য জ্যামিতিক দৈর্ঘ্যের প্রায় \( \frac{5}{6} \)-গুণ হয়। সেক্ষেত্রে চৌম্বক দৈর্ঘ্য হবে \( \frac{5}{6} \times 10 = 8.33 \) সেমি।
11. একটি মুক্ত বর্তনীর চিত্র আঁকো, যেখানে একটি সেল, সুইচ এবং বাল্ব থাকবে।
উত্তর:
চিত্রে সেল, সুইচ, এবং বাল্ব সংযুক্ত একটি উন্মুক্ত বর্তনী দেখানো হবে।
12. নিয়মিত প্রতিফলন ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:
নিয়মিত প্রতিফলন মসৃণ তলে ঘটে এবং প্রতিফলন কোণ ও আপতন কোণ সমান থাকে।
বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন অমসৃণ তলে ঘটে এবং প্রতিফলন কোণ ও আপতন কোণ সমান হয় না।
13. প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া কী?
উত্তর:
প্রচ্ছায়া হলো অস্বচ্ছ বস্তু দ্বারা গঠিত ছায়ার কেন্দ্রীয় গাঢ় অংশ, এবং উপচ্ছায়া হলো প্রচ্ছায়ার চারপাশে অপেক্ষাকৃত কম গাঢ় অংশ।
14. বায়ুকল থেকে পাওয়া শক্তি কী ধরনের? এটি কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর:
বায়ুকল থেকে বায়ুশক্তি পাওয়া যায়। এটি বাতাসের গতিশক্তি থেকে উৎপন্ন হয়।
15. বইয়ের পাতা সাদা ও খসখসে কেন করা হয়?
উত্তর:
পাতা সাদা রাখা হয় যাতে আলো শোষিত না হয় এবং লেখাগুলো স্পষ্ট দেখায়। খসখসে পৃষ্ঠের কারণে আলো বিক্ষিপ্ত প্রতিফলিত হয়, যা পাঠ করা সহজ করে।
16. আলোর প্রতিফলনের সূত্র কী?
উত্তর:
প্রথম সূত্র: আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।
দ্বিতীয় সূত্র: প্রতিফলন কোণ আপতন কোণের সমান হয়।
17. তড়িৎচুম্বকের দুটি ব্যবহার কী?
উত্তর:
হেডফোন, লাউডস্পিকার এবং চিকিৎসায় এমআরআই স্ক্যানে তড়িৎচুম্বক ব্যবহৃত হয়।
18. সৌরশক্তির দুটি ব্যবহার কী কী?
উত্তর:
সৌর লণ্ঠন এবং সৌর চুলায় সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়।
19. ব্যাপন কী?
উত্তর:
উচ্চ ঘনত্ব থেকে নিম্ন ঘনত্বে পদার্থের সমানভাবে বিস্তার ব্যাপন নামে পরিচিত।
20. রূপান্তরিত কান্ড কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
কাণ্ড বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য পরিবর্তিত হলে তাকে রূপান্তরিত কান্ড বলে। উদাহরণ: পেঁয়াজ, রসুন।
21. আলোর প্রতিফলন কী?
উত্তর:
আলোকরশ্মি কোনো বিভেদতলে আপতিত হয়ে প্রথম মাধ্যমেই ফিরে এলে তাকে আলোর প্রতিফলন বলে।
22. আলোর প্রতিসরণ কী?
উত্তর:
আলোর রশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করলে তাদের গতিপথ পরিবর্তন হয়। এ ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
23. বর্ণালী কী?
উত্তর:
সূর্যের আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হয়ে সাতটি রঙের ব্যান্ড সৃষ্টি করে। একে বর্ণালী বলে।
24. চুম্বকের উদাসীন অঞ্চল কী?
উত্তর:
চুম্বকের মধ্যবর্তী অংশ যেখানে আকর্ষণ ক্ষমতা নেই, সেটিকে উদাসীন অঞ্চল বলে।
25. চৌম্বক অক্ষ কী?
উত্তর:
চুম্বকের দুই মেরুকে সংযুক্ত করা সরলরেখা চৌম্বক অক্ষ নামে পরিচিত।
26. দুটি পরিবেশবান্ধব শক্তির নাম কী?
উত্তর:
সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তি।
27. মুক্ত বর্তনী ও বদ্ধ বর্তনী কী?
উত্তর:
মুক্ত বর্তনী: যেসব বর্তনীর কোনো প্রান্ত খোলা থাকে।
বদ্ধ বর্তনী: যেসব বর্তনীর সব প্রান্ত বন্ধ থাকে।
28. তড়িৎচুম্বক কী?
উত্তর:
তড়িৎ প্রবাহ দ্বারা তৈরি চুম্বককে তড়িৎচুম্বক বলে।
29. ফিউজ তার কী? এর বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর:
ফিউজ তার:
একটি উপাদান যা অতিরিক্ত কারেন্ট রোধে ব্যবহৃত হয়।
বৈশিষ্ট্য:
গলনাঙ্ক কম এবং দৈর্ঘ্য স্বল্প।
30. 'AMBULANCE' কথাটি অ্যাম্বুলেন্স গাড়িতে উল্টো করে লেখা থাকে কেন?
উত্তর:
গাড়ির সামনের লুকিং গ্লাসে এটি প্রতিফলিত হয়ে সঠিকভাবে দেখা যায়, যা গাড়ির চালককে সঠিক বার্তা দেয়।
31. প্রাকৃতিক চুম্বক এবং কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য লিখো।
উত্তর:
প্রাকৃতিক চুম্বক সেই চুম্বক যা প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয় এবং মানবসৃষ্ট নয়। কৃত্রিম চুম্বক এমন পদার্থ যা মানুষের তৈরি এবং এতে চুম্বকীয় গুণাবলী যুক্ত করা হয়। প্রাকৃতিক চুম্বক কম শক্তিশালী হলেও কৃত্রিম চুম্বক শক্তিশালী হয়।
32. চৌম্বক দৈর্ঘ্য কাকে বলা হয়?
উত্তর: চুম্বকের দুই মেরুর মধ্যে দূরত্বকেই চৌম্বক দৈর্ঘ্য বলা হয়।
33. সৌর কোষের দুটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তর:
সৌর শক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন মাছ, শস্য, এবং সবজি শুকানোর জন্য। এছাড়া সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয় সোলার ওয়াটার হিটার এবং সোলার কুকারের মতো যন্ত্রে।
34. তড়িৎ চুম্বক কী?
উত্তর: তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া ব্যবহার করে যে চুম্বক তৈরি হয়, তাকে তড়িৎ চুম্বক বলা হয়। একটি কাঁচা লোহা বা ইস্পাতের দণ্ডের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে এটি তৈরি করা হয়।
35. নিয়মিত প্রতিফলন এবং বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন কী?
উত্তর:
যখন সমান্তরাল আলোক রশ্মি কোন মসৃণ পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে আবারও সমান্তরাল অবস্থায় থাকে, তখন তাকে নিয়মিত প্রতিফলন বলা হয়।
যদি আলোক রশ্মি প্রতিফলনের পর অসমান্তরাল হয়ে যায়, তবে তাকে বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন বলা হয়।
36. শর্ট সার্কিট কী?
উত্তর: শর্ট সার্কিট এমন একটি অবস্থা, যেখানে তড়িৎ প্রবাহ অনিচ্ছাকৃতভাবে সহজ পথে চলে যায়, যাতে রোধ কম থাকে এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় অস্বাভাবিক প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
37. চৌম্বক আবেশ কী?
উত্তর: চৌম্বক আবেশ এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি চৌম্বক পদার্থ অন্য কোন চুম্বকের কাছাকাছি আসলে সাময়িকভাবে তার মধ্যে চুম্বকীয় গুণাবলী সৃষ্টি হয়।
✍️৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তরসমূহ
1. সেল বা ব্যাটারি, সুইচ, তার এবং বাল্ব সহ একটি বদ্ধ বর্তনীর চিত্র অঙ্কন করো।
উত্তর:
(এখানে চিত্র অঙ্কন করতে হবে।)
2. একটি পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎসের নাম লেখো। এর দুটি সুবিধা লিখো।
উত্তর:
একটি পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎস হলো সৌরশক্তি।
সৌরশক্তির দুটি সুবিধা:
এটি পরিবেশের ক্ষতি করে না।
এটি সহজলভ্য এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য।
3. 'আকর্ষণের পূর্বে আবেশ হয়' এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যখন একটি চুম্বক অন্য একটি চৌম্বক পদার্থকে আকর্ষণ করে, তখন তার আগে ওই চৌম্বক পদার্থটি সাময়িকভাবে আবেশিত হয়ে চুম্বকীয় বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। এর ফলে তারা একে অপরকে আকর্ষণ করে। এজন্য বলা হয় 'আকর্ষণের পূর্বে আবেশ হয়'।
4. 'পৃথিবী নিজেই একটি চুম্বক' ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যদি একটি লোহার দণ্ড পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ দিক বরাবর রেখে অনেক দিন রাখা হয়, তবে ওই দণ্ডটি চুম্বকীয় গুণাবলী অর্জন করে। এর উত্তর প্রান্ত চুম্বকের উত্তর মেরুর মতো আচরণ করতে শুরু করে, এবং দক্ষিণ প্রান্ত চুম্বকের দক্ষিণ মেরুর মতো আচরণ করে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে পৃথিবী নিজেই একটি চুম্বক।
5. 'আকর্ষণ অপেক্ষা বিকর্ষণই চুম্বকত্বের প্রকৃত প্রমাণ' ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যদি একটি দন্ড চুম্বক হয়, তবে তা অন্য চুম্বক বা চৌম্বক পদার্থের কাছাকাছি নিয়ে গেলে বিকর্ষণের মাধ্যমে তা সহজেই প্রমাণিত হয়।
যদি দন্ডটি আকর্ষণ সৃষ্টি করে, তবে এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে এটি চুম্বক, কারণ আকর্ষণ দুটি বিপরীত মেরু দ্বারা হতে পারে। কিন্তু যদি দন্ডটি বিকর্ষণ সৃষ্টি করে, তাহলে এটি স্পষ্ট যে দন্ডটি চুম্বক, কারণ চুম্বকের সমমেরু একে অপরকে বিকর্ষণ করে।
6. চুম্বকের ধর্ম ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: চুম্বকের দুটি প্রধান ধর্ম:
1. আকর্ষণী ধর্ম: চুম্বক লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি ধাতুকে আকর্ষণ করতে পারে।
2. দিকনির্দেশক ধর্ম: চুম্বকটি যদি সুতো দিয়ে ঝুলানো হয়, তবে এটি নিজে উত্তর-দক্ষিণ দিক অনুযায়ী স্থির হয়ে যাবে।
7. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর কারণ লেখো।
উত্তর:
1. জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ালে বায়ু দূষণ কমিয়ে জনস্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।
2. জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ঘটে, যা জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন সৃষ্টি করে।
✍️জীবনবিজ্ঞান
✍️ প্রশ্নের মান-২:
১.একবীজপত্রী পাতা ও দ্বিবীজপত্রী পাতার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উঃ ১। একবীজপত্রী উদ্ভিদ একক বীজপত্রধর সপুষ্পক উদ্ভিদ। অন্যদিকে যেসব উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, তাদের দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
২। একবীজপত্রী উদ্ভিদের প্রধান মূল থাকে। অন্যদিকে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের গুচ্ছ মূল থাকে।
৩। নারকেল, তাল, সুপারি, ধান, গম, ভুট্টা একবীজপত্রী উদ্ভিদ। ছোলা, মটর, শিম, প্রভৃতি দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ।
২.স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উঃ ১.কোনাে ফুলের পরাগরেণু সেই ফুলে বা সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তর হলে তাকে স্বপরাগযােগ বলে।কোনাে ফুলের পরাগরেণু একই প্রজাতির অন্য গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হলে তাকে ইতর পরাগযােগ বলে।
২.স্বপরাগযোগে বাহকের দরকার হয় না।ইতর পরাগযোগে বাহকের দরকার হয়।
৩.টেস্টা ও টেগমেন কী?
উঃ টেস্টা হল বীজের সবচেয়ে বাইরের আবরণ যা বীজকে বাহ্যিক আঘাত এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে যেখানে, টেগমেন হল বীজের আবরণ যা টেস্টার ঠিক নীচে থাকে।
৪.সালোকসংশ্লেষের সময় গাছের পাতা কোন্ গ্যাস ছাড়ে ও কোন্ গ্যাস গ্রহণ করে?
উঃ অক্সিজেন ছাড়ে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্ৰহণ করে।
৫.স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগ কাকে বলে?
উঃ 1. স্বপরাগযোগ (Self pollination): যখন কোনো ফুলের পরাগরেণু সেই ফুলের বা সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডের ওপর পড়ে, তখন তাকে স্বপরাগযোগ বলে।
উদাহরণ: সাধারণত উভলিঙ্গ ফুলে স্বপরাগযোগ দেখা যায়। যেমন-শিম, টম্যাটো, সন্ধ্যামালতি ইত্যাদি।
2. ইতর পরাগযোগ (Cross Pollination) : যখন কোনো ফুলের পরাগরেণু একই প্রজাতির অন্য কোনো গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে, তখন তাকে ইতর পরাগযোগ বলে।
উদাহরণঃ সাধারণত একলিঙ্গ ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটে, যেমন-তাল, পেঁপে, লাউ প্রভৃতি।
৬.একটি স্বপরাগী ও একটি ইতরপরাগী ফুলের নাম লেখো।
উঃ শিম, টম্যাটো, সন্ধ্যামালতি ইত্যাদি হলো স্বপরাগী ফুল এবং তাল, পেঁপে, লাউ প্রভৃতি হলো ইতর পরাগী ফুল।
৭.শ্বাসমূল কাকে বলে? কোন্ উদ্ভিদে শ্বাসমূল দেখা যায়?
উঃ 👉সুন্দরবন অঞ্চলের লবণাক্ত মাটিতে দেখা যায় আগা সরু এক ধরনের মূল। এ মূলগুলো জলের ওপর মাথা তুলে থাকে। এই মূল দিয়ে সুন্দরী এবং গরান গাছ শ্বাস নেয়। এজন্য এদের বলা হয় শ্বাসমূল বা নাসিকামূল।
👉সাধারণত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাসমূল থাকে।
৮.একটি একক পত্র ও একটি যৌগিক পত্রের উদাহরণ দাও।
উঃআম, পেয়ারা, গোলাপ ইত্যাদি হলো সরল পাতা।
লজ্জাবতী, গোলাপ এবং সজিনা: যৌগিক পাতার উদাহরণ।
৯. একটি মূলের দুটি কাজ উল্লেখ কর।
উঃ মূল এর দুটি কাজ হল-
১. মাটির সাথে গাছকে শক্তভাবে আটকে রাখা।
২. মাটি থেকে জল ,খনিজ লবণ ইত্যাদি শোষণ করা।
১০. মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।
উঃ যে অঙ্কুরোদগমে বীজপত্র বীজত্বক ভেদ করে মাটির উপরে আসে তাকে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম বলে। যেমন - শিম,কুমড়া, তেঁতুল,কুল।
১১. এপিথেলিয়াম স্তর কি? রজনীগন্ধা কে অসম্পূর্ণ ফুল বলে কেন?
উঃ
১২. বাতাস(অক্সিজেন) ও জল অঙ্কুরোদগমে কিভাবে ভূমিকা পালন করে লেখ।
১৩. পরাগ মিলনের সমস্যা গুলি উল্লেখ কর।
উঃ
১৪. বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্য কি কি শর্তের প্রয়োজন?
উঃ আলো, বাতাস ও জল।
১৫. পত্রফলক ও পত্রবৃন্তের কাজ উল্লেখ কর।
উঃ 👉পত্রফলক এর কাজ হল খাদ্য প্রস্তুত করা।
👉পত্রবৃন্ত এর কাজ পত্রফলককে কান্ডের সাথে আটকে রাখা।
১৬. ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি পার্থক্য লেখ।
উঃ ১.ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোন পর্দার প্রয়োজন হয়না। এটি মুক্ত অবস্থায় ঘটে। অভিস্রবণ প্রক্রিয়া অর্ধভেদ্য বা প্রভেদক ভেদ্য পর্দার প্রয়োজন হয়।
২.ভিন্নপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যেও ব্যাপন ঘটতে পারে। কেবলমাত্র সমপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যে অভিস্রবণ ঘটে।
১৭. গুচ্ছিত ফল কাকে বলে উদাহরণ দাও।
উঃ একটি ফুলে যখন অনেক গর্ভাশয় থাকে এবং প্রতিটি গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়ে একটি বোঁটার ওপর গুচ্ছাকারে থাকে, তখন তাকে গুচ্ছিত ফল বলে। যেমন—চম্পা, নয়নতারা, আকন্দ, আতা, শরিফা ইত্যাদি।
১৮. যৌগিক পত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে পাতা একাধিক পত্রফলক দ্বারা গঠিত তাকে যৌগিক পত্র বলে। যেমন তেতুল পাতা।
১৯. মধুকে কোন ব্যাকটেরিয়া সহজে নষ্ট করতে পারে না কেন?
উঃ মধু নষ্ট না হওয়ার অন্যতম কারণ মধুতে থাকে অতিরিক্ত মাত্রায় সুগার বা চিনির উপাদান আর থাকে খুবই স্বল্প মাত্রায় জলের পরিমাণ। সেই কারণে মধু হলো হাইগ্রোস্কোকিপ, সেই কারণে এটি কখনও শুকিয়ে যায় না এবং এর সংস্পর্শে আসা কোনও মাইক্রোব এটিকে প্রভাবিত করতে পারে না।
✍️ প্রশ্নের মান-৩:
১.স্বপরাগযোগ কাকে বলে? স্বপরাগযোগের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।
উঃ👉যখন কোনো ফুলের পরাগরেণু সেই ফুলের বা সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডের ওপর পড়ে, তখন তাকে স্বপরাগযোগ বলে।
উদাহরণ: সাধারণত উভলিঙ্গ ফুলে স্বপরাগযোগ দেখা যায়। যেমন-শিম, টম্যাটো, সন্ধ্যামালতি ইত্যাদি।
👉 সুবিধা:
(i) এইরকম পরাগযোগের জন্য অন্য প্রজাতির উদ্ভিদের বা ফুলের দরকার হয় না।
(ii) এই প্রকার পরাগযোগে অধিক সংখ্যক পরাগরেণুর প্রয়োজন হয় না।
(iii) কোনো বাহকের ওপর নির্ভর করতে হয় না।
👉 অসুবিধা:
(i) নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ উৎপন্ন হয় না।
(ii) স্বপরাগযোগে উৎপন্ন অপত্য উদ্ভিদগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে।
(iii) নতুন বংশধরদের অভিযোজন ক্ষমতা লোপ পায়।
২.একটি আদর্শ ফুলের চিত্রাঙ্কন করে চারটি অংশ চিহ্নিত করো।
৩. অভিস্রবণ কাকে বলে? জীবদেহে অভিস্রবণের গুরুত্ব লেখ।
উঃ 👉 অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে কম ঘনত্বের দ্রবন থেকে বেশি ঘনত্বের দ্রবণে দ্রাবকের অনুদের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাই হলো অভিস্রবণ বা অসমোসিস।
👉অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার গুরুত্ব:
(i) অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় স্থলজ উদ্ভিদ মূলরোমের সাহায্যে মাটি থেকে এবং জলজ উদ্ভিদ দেহকোষ দিয়ে জলশোষণ করে।
(ii) এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জল মূল থেকে জাইলেমের ভেতর দিকে পাতায় পৌছায়।
(ii) বীজের অঙ্কুরোদ্গম অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় জল শোষণ করে হয়ে থাকে।
৪. পুকুরের বা নদীর মাছ কিভাবে নিজের দেহে জলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে?
উঃ মিষ্টি জলের মাছের দেহে আশেপাশের জল প্রবেশ করতে থাকে। তাই জলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য মাছ অতি তরল প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বের করে দেয়। এর ফলে যে লবণের অভাব ঘটে তা মাছ ফুলকার মাধ্যমে শোষণ করে।
...............
For pdf of answer whatsapp 👉 9547382324