📚সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সাজেশন(দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ণ)📚
✍️প্রশ্নের মান-২:
১. আফ্রিকা মহাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ বলা হয় কেন?
উঃ আফ্রিকা মহাদেশ ইউরোপের একেবারে কাছে হওয়া সত্ত্বেও উনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত তা ছিল ইউরোপীয়দের কাছে অজানা এবং অনাবিষ্কৃত, এবং আফ্রিকাতে কোনো দিন আধুনিকতার আলো এসে পৌঁছায়নি। এই জন্যই আফ্রিকাকে 'অন্ধকারচ্ছন্ন মহাদেশ' বলা হয়।
২. আমাদের জীবনে মালভূমির দুটি প্রভাব লেখ।
উঃ জনজীবনে মালভূমির নানা রকম প্রভাব রয়েছে।
এগুলি হল (i) বেশির ভাগ বড়ো বড়ো মালভূমিগুলি সবই প্রায় শুষ্ক অঞ্চলে অবস্থিত। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য এখানকার বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে পশুচারণ করার অনুকূল পরিবেশ পাওয়া যায়।
(ii) বেশিরভাগ মালভূমি অঞ্চলগুলি প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। তাই মালভূমিকে খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার হিসেবে ধরা হয়।
৩. মিশরকে নীলনদের দান বলা হয় কেন?
উঃ মিশরের পূর্বে রয়েছে আরবের মরুভূমি এবং পশ্চিমে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। কিন্তু মিশরের মাঝবরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণে নীলনদ প্রবাহিত হওয়ায় মিশরের সুদীর্ঘ এলাকা মরুভূমির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এছাড়াও প্রতি বছর বন্যার ফলে নীলনদের দু পাশের জমি পলিমাটি দ্বারা উর্বর হয়ে ওঠে যা চাষের পক্ষে খুবই উপযোগী। এজন্য প্রাচীন গ্রিক ঐতিহাসিক হেরােডােটাস মিশরকে 'নীলনদের দান' বলে অভিহিত করেছেন।
৪. টীকা লেখ- চিত্রসহ স্তুপ পর্বত।
উঃ ভূ-আলোড়নের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে অনেক সময় ফাটল বা চ্যুতির সৃষ্টি হবে।
যায়। ভূ-আলোড়নের ফলে সেই ফাটল বরাবর মাঝের ভূখণ্ড উঁচু হয়ে অথবা দুপাশের
ভূখণ্ড নীচে বসে গিয়ে মাঝখানের ভূখণ্ড যে পর্বত সৃষ্টি করে তাকে স্তূপ
পর্বত বলে। যেমনঃ ভারতের সাতপুরা, জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট, ফ্রান্সের ভোজ
প্রভৃতি।
৫. অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে নদী কোনো দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই
দেশের মধ্যেই কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে মেশে তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে।
ভারতের লুনি, রাশিয়ার আমুদরিয়া অর্ন্তবাহিনী নদী।
৬. টীকা লেখ- ডেকান ট্রাপ।
উঃ দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তর-পশ্চিমাংশ ডেকান ট্র্যাপ বা লাভা মালভূমি নামে পরিচিত। এই অঞ্চলটি লাভা শিলা বা ব্যাসল্ট দ্বারা গঠিত।‘ডেকান’-এর অর্থ দাক্ষিণাত্য এবং ট্র্যাপ’ বলতে বােঝায় ধাপ বা সিঁড়ি । সমগ্র মালভূমিটি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সিঁড়ির মতাে ধাপে ধাপে নেমে গেছে।
৭. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা সম্পর্কে টীকা লেখ।
উঃ
৮. পর্বত বেষ্টিত মালভূমি বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।
উঃ যখন কোনো মালভূমি একাধিক পর্বত দ্বারা আবদ্ধ থাকে তখন তাকে
পর্বতবেষ্টিত মালভূমি বলে। পর্বত সৃষ্টির সময় চারপাশ থেকে প্রবল
পার্শ্বচাপের ফলে মধ্যবর্তী স্থান উঁচু হয়ে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি সৃষ্টি
হয়।
যেমন : হিমালয় ও কুয়েনলুন পর্বতশ্রেণির মধ্যে অবস্থিত তিব্বতের মালভূমি।
৯. লাভাগঠিত সমভূমি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
১০. টীকা লেখ- ওয়াদি ও হামাদা।
১১. ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ বৃষ্টিপাত, নদী, হিমবাহ, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক
শক্তির প্রভাবে প্রাচীন মালভূমি ও উচ্চভূমির কোমল শিলাস্তর ক্ষয় পায় এবং
অপসারিত হয়, ফলে মালভূমির মাঝের কঠিন শিলাস্তর পাহাড় রূপে অবস্থান করে।
এই মালভূমির মধ্যে দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে পাহাড়গুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এইভাবে বিভিন্ন নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন মালভূমিকে ব্যবচ্ছিন্ন
মালভূমি বলে। যেমন : ভারতের ছোটোনাগপুর মালভূমি ।
১২. জলবিভাজিকা সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উঃ কোনো পাহাড়ের চূড়ার অংশটি বৃষ্টির জলকে বিভিন্ন দিকে ভাগ করে বা বিভাজন করে, তাই তাকে জলবিভাজিকা বলে। জলবিভাজিকার বিভিন্ন দিকে বয়ে যাওয়া জল একাধিক ছোটো ছোটো জলধারার মাধ্যমে বয়ে গিয়ে, মিলিত হয়ে মূল নদী তৈরি করে।
১৩. নিত্যবহ নদী ও অনিত্যবহ নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
১৪. খামসিন সম্পর্কে টীকা লেখ।
১৫. দোয়াব বলতে কী বোঝো?
উঃ 'দো' মানে দুই ও ‘আব' মানে জল/নদী। দোয়াব অর্থাৎ দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান।
১৬. স্তরীভূত শিলা কাকে বলে ও কেন?
১৭. মালভূমিকে টেবিল ল্যান্ড বলে কেন?
উঃ মালভূমির উপরিভাগ টেবিলের মতো সমতল হয় ও চারপাশটা টেবিলের পায়ার মতো ঢালু এবং খাড়া থাকে। সেজন্যই মালভূমিকে টেবিলল্যান্ড বলা হয়।
১৮. লোয়েস সমভূমি সম্পর্কে টীকা লেখ।
উঃ বায়ুপ্রবাহ দ্বারা মরুভূমির বালি বহুদূরে উড়ে গিয়ে সজ্জিত হয়ে লোয়েস সমভূমির সৃষ্টি হয়।
যেমন: হোয়াংহো নদী উপত্যকায় সৃষ্ট লোয়েস সমভূমি।
১৯. আগ্নেয় পর্বত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ছাই, লাভা, ছোটো ছোটো পাথর বাইরে
বেরিয়ে এসে আগ্নেয়গিরির চারিদিকে জমা হয়ে তিনকোণা শঙ্কুর মতো যে পর্বত
সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে। যেমন : ইতালির ভিসুভিয়াস, এটনা,
আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো, জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া
প্রভৃতি।
২০. পাললিক শিলা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
২১. পর্বত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ সাধারণত 900 মিটারের বেশি উঁচু, অনেকদূর বিস্তৃত, শিলাদ্বারা গঠিত ভূমিরূপকে পর্বত বলে। যেমন— হিমালয় পর্বত
২২. মালভূমি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ আশেপাশের অঞ্চল সাপেক্ষে হঠাৎ উঁচু (300 মিটারের বেশি উঁচু) বিস্তীর্ণ ভূভাগ, চারপাশ খাড়া ঢাল আছে, এরকম ভূমিরূপকে মালভূমি বলে।
যেমন-ছোটোনাগপুর মালভূমি।
২৩. আদর্শ নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে নদীতে তিনটি গতি অর্থাৎ উচ্চগতি, মধ্যগতি, নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাকেই আদর্শ নদী বলে। যেমন—গঙ্গানদী।
২৪. ধারণ অববাহিকা কি?
উঃ পর্বতের বরফগলা জল বা বৃষ্টির জল অসংখ্য ছোটো জলধারার মাধ্যমে বয়ে গিয়ে বড়ো নদী তৈরি হয়। এই জলধারাসহ মূল নদীটি যে বিরাট অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় সেই অঞ্চলটিকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলা হয়।
২৫. উৎপত্তি অনুসারে পর্বত কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ উৎপত্তি অনুসারে পর্বত তিনপ্রকার। যথা : ভঙ্গিল পর্বত, স্তূপ পর্বত ও আগ্নেয় পর্বত।
২৬. গিরিখাত কাকে বলে ও ক্যানিয়ন কাকে বলে?
উঃ পার্বত্য অঞ্চলে নদীর উপত্যকা খুব সরু ও গভীর হলে 'I' বা 'V' আকৃতির মতো দেখতে হলে তাকে গিরিখাত বলে। যেমন পরুর এল ক্যানন দ্য কলরম। বৃষ্টিহীন পার্বত্য অঞ্চলে ও শুষ্ক অঞ্চলে এরকম সুগভীর গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
২৭.সব নদী মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টি করতে পারেনা কেন ?
উঃ। নিম্নগতিতে নদীর সঞ্চয়কাজ বেশি হয়। নদীর দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত পলি, কাদা, নুড়ি, বালি ইত্যাদি বয়ে এসে মোহানায় সজ্জিত হয়ে ব-দ্বীপ গঠন করে। অনেক নদীতে নিম্নগতি দেখা যায় না বা নদী দ্বারা বাহিত শিলাখণ্ডের পরিমাণও খুব বেশি হয় না। নদীতে জলের স্রোত খুব বেশি থাকলেও নদীর মোহানায় ব-দ্বীপ গঠিত হয় না। এই কারণেই পৃথিবীর বৃহত্তম নদী আমাজনের কোনো ব-দ্বীপ নেই।
২৮.মিয়েন্ডার কাকে বলে?
উঃ নদীর মধ্যপ্রবাহে বেগ কমে যাওয়ার ফলে নদী
ধীর গতিতে চলতে থাকে। এই অবস্থায় সামান্য বাধা এলে নদী আঁকাবাঁকা পথ
সৃষ্টি করে চলতে থাকে। একে মিয়েন্ডার বা নদী বাঁক বলে।
২৯. শিলা থেকে কিভাবে মাটি তৈরি হয়?
উঃ নানা প্রাকৃতিক শক্তি যেমন সূর্যের তাপ,
বৃষ্টি, বাতাসের ধাক্কা বা নদীর স্রোতের দ্বারা শিলা ভাঙে। এই ভাঙা শিলার
টুকরোগুলো সেখানে পড়ে থাকে বা দূরে চলে যায়। ক্রমাগত ক্ষয় হয়ে এই
পাথরগুলো অবশেষে মাটিতে পরিণত হয়। তবে এগুলি কোনোটই একদিনে হয় না, মাটি
তৈরি হতে বহু বছর সময় লেগে যায়।
৩০. সাহারা মরুভূমির বিবরণ দাও।
৩১.অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার কী ?
উঃ। ভূ-পৃষ্ঠের তলদেশে প্রায় 700 কিমি গভীরতা পর্যন্ত একটি সান্দ্র বা থকথকে অর্ধগলিত স্তর রয়েছে তাকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার বলে। ভূ-পৃষ্ঠে যে ছোটো বড়ো নানা পাত রয়েছে সেই পাতগুলো এই স্তরেই ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।
৩২.লাভা গঠিত মালভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয়? উদাহরণসহ লেখো।
উঃ। অগ্ন্যুৎপাতের সময় উত্তপ্ত ও গলিত লাভা ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল দিয়ে বেরিয়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে শীতল। ও কঠিন হয়ে যে বিরাট মালভূমির সৃষ্টি করে তাকে লাভা গঠিত মালভূমি বলে।
যেমন : ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি, মালব মালভূমি এরকম লাভা গঠিত মালভূমি ।
✍️প্রশ্নের মান-৩:
১. আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলার তিনটি পার্থক্য লেখ।
২. আফ্রিকা মহাদেশে একই ঋতু বছরে দুবার দেখা যায় কেন?
৩. নীলনদ অববাহিকার কৃষিকাজের বিবরণ দাও।
৪. মালভূমির তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি। খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত। গ) চারদিকে ঢাল বেশ বড়।
৫. জনজীবনে নদীর তিনটি প্রভাব লেখ।
উঃ জীবন ও জীবিকায় নদীর ভূমিকা অপরিসীম। নদীকে ঘিরেই বিশ্বের প্রতিটি শহর, বন্দর, নগর, বাজার প্রভৃতি গড়ে উঠেছে। নদ-নদীই মানুষের খাদ্য ও রোজগার এর প্রধান উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
মানুষের প্রাচীনতম সভ্যতা, মিশরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা প্রভৃতি গড়ে উঠেছিল কোনো-না-কোনো নদীর ধারে। বর্তমানে আমাদের দেশের গঙ্গা, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের যে বিশাল সমভূমি, চিনের হোয়াংহো ও ইয়াং-সিকিয়াং নদীর উপত্যকা সবই পৃথিবীর জনবহুল অঞ্চল। তাই বলা যায় নদী শুধু সভ্যতার জন্ম দেয় না, তাকে পালনও করে।
৬. মালভূমি ও সমভূমি তিনটি পার্থক্য লেখ।
৭. গিরিখাত ও ক্যানিয়ন এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
৮. নদীর নিম্ন প্রবাহে গঠিত দুটি ভূমিরূপ এর বর্ণনা দাও।
৯. সাহারার জলবায়ুর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
১০. উদাহরণসহ মালভূমির শ্রেণীবিভাগ কর।
১১. শিলাচক্র সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উঃ ভূগর্ভের অভ্যন্তরের ম্যাগমা ও লাভা
বাইরে সজ্জিত হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়। এই শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক
শক্তির কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়। সেখানে পলির রাশি
চাপে পড়ে পাললিক শিলায় পরিণত হয়। এই পাললিক শিলা ও আগ্নেয় শিলা পুনরায়
শিলার চাপে, তাপে ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে
রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়। এইভাবে ক্রমান্বয়ে শিলা একরূপ থেকে অন্য
রূপে পরিবর্তিত হয়। একে শিলাচক্র বলে।
১২. চিত্রসহ অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ আলোচনা কর।
১৩. উচ্চ গতিতে বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর কাজগুলি কি কি?
১৪. নিম্ন গতিতে নদীর কাজ গুলি কি কি?
উঃ এই সময় নদীর গতি এবং শক্তি একেবারেই কমে
যায়। তখন সামান্য বহন কাজ হলেও নদীর মূল কাজ হয় সঞ্চয়। এই প্রবাহে নদী
শাখানদী সৃষ্টি করে। নদীর মধ্যে পলি, বালি, কাঁকর জমে অগভীর নদী বর্ষায়
দুকূল ছাপিয়ে যায়। নদীর দু'ধারের বিস্তীর্ণ জমিতে পলি সঞ্চয় করে নদী
প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে। মোহানার কাছে নদীর চড়া সৃষ্টি হয়। নদীর স্রোত তখন
ভাগ হয়ে চড়ার দু'দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ত্রিভুজের মতো ব-দ্বীপ সৃষ্টি
করে।
১৫. আগ্নেয় শিলা কাকে বলে? এই শিলার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
১৬. পাললিক কাকে বলে? এই শিলার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
১৭. কঙ্গো নদী অববাহিকার বিবরণ দাও।
✍️ প্রশ্নের মান-৫:
১. আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ু বৈচিত্রের কারণ গুলি আলোচনা করো।
২. মানুষের জীবনে শিলার গুরুত্ব আলোচনা কর।
৩. চিত্রসহ ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি ব্যাখ্যা কর।
উঃ বর্তমানে যেখানে হিমালয় পর্বত অবস্থান করছে, সেখানে প্রায় 10 কোটি
বছর আগে টেথিস নামে একটি মহীখাত (Geosyncline) ছিল। এই টেথিস সাগরের উত্তরে
ছিল 'আশারাল্যান্ড' ও দক্ষিণের ভূখণ্ডের নাম ছিল 'গন্ডোয়ানাল্যান্ড'। বহু
বছর ধরে এই ভূখণ্ড থেকে নদীবাহিত ক্ষয়প্রাপ্ত পলি এই মহীখাতটিকে ভরটি
করতে থাকে। ক্রমশ পলিস্তারের নিম্নমুখী চাপে খাতের তলদেশ বসতে থাকে এবং
দু-পাশের ভূখণ্ডগুলি পরস্পরের দিকে সরে আসতে থাকে। এর ফলে মহীখাতে সঙ্কিত
পলিতে ভাঁজ পড়ে ক্রমশ ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি হয়। মহীখাত থেকে ভি পর্বতের
উৎপত্তি হয় বলে ভঙ্গিল পর্বতের প্রশ্থ অপেক্ষা দৈর্ঘ্য অনেক বেশি হয়।
৪. মানুষের জীবনে পর্বতের প্রভাব আলোচনা কর।
উঃ মানবজীবনে পর্বতের নানারকম প্রভাব রয়েছে ,
এগুলি হল : ➣(i) উঁচু পর্বতের বরফগলা জল থেকে সৃষ্টি হয়েছে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু প্রভৃতি বহু নদী। এই নদীগুলি থেকে সারা বছর জল পাওয়া যায়।
(ii) জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস হিমালয় পর্বতে ধাক্কা খেয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুরূপে ভারতে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
(iii) পর্বত বিরাট প্রাচীরের মতো উয় ও শীতল বায়ুপ্রবাহকে আটকায়। শীতকালে সাইবেরিয়া থেকে আসা তীব্র শীতল বাতাসকে বাধা দিয়ে হিমালয় পর্বত ভারতে শীতের তীব্রতা কমিয়ে দেয়।
(iv) পার্বত্য অঞ্চলে গড়ে ওঠে নরম কাঠের মূল্যবান বনভূমি, পর্বতের ঢালে গড়ে ওঠা তৃণভূমিতে ভালো পশুচারণ ক্ষেত্র তৈরি হয়। বহু মানুষ এর থেকে জীবিকা অর্জন করেন এবং পর্বতের ঢালে ধাপ কেটে চাষবাসও করেন।
(v) পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলি খরস্রোত হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সহায়ক হয়। কিছু কিছু পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।
৫. নীলনদ অববাহিকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও জলবায়ুর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
..................
For pdf whatsapp 👉 9547382324