📚অষ্টম শ্রেণির পরিবেশ বিজ্ঞান সাজেশন(দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ণ।)📚
✍️ *প্রশ্নের মান-২:*
১. বরফ গলনের লীন তাপ ৮০ ক্যালরি/গ্রাম বলতে কী বোঝো?
উঃ বরফ গলনের লীন তাপ ৪০ ক্যালোরি/গ্রাম বলতে বোঝায় যে 0°C তাপমাত্রার 1 গ্রাম বরফকে সম্পূর্ণরূপে 0°C তাপমাত্রার জলে পরিণত করতে 80 ক্যালোরি তাপ দিতে হবে।
2. হিম মিশ্র কাকে বলে? ইহার একটি ব্যবহার লিখ?
উঃ 👉3 ভাগ ওজনের বরফ গুড়াের সঙ্গে 1 ভাগ ওজনের সাধারণ লবণ মেশালে মিশ্রণের উষ্ণতা ক্রমশ কমে প্রায় –23°C হয়। একে হিম মিশ্র বলে।
👉মাছ,মাংস সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়।
3. গোল্ডেন রাইস কি?
উঃ উন্নতশীল জৈব প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে ভিটামিন-A এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ সোনালি বর্ণের একপ্রকার ট্রান্সজেনিক জাতীয় ধান তৈরি করা হয়েছে, একে গোল্ডেন রাইস বলে।
4. মধুর উপকারিতা লেখ।
উঃ মধুর উপকারিতা:
১.পাকস্থলী ভালো রাখে।
২.শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩.হজমে সহায়তা করে ও বদহজম দূর করে।
৪.কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
5. জমিতে জৈব সার প্রয়োগের সুবিধা গুলি উল্লেখ কর।
উঃ মাটিতে এসকল সার যোগ করার মাধ্যমে ফসলে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সালফার, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যোগ হয়। জৈব উপাদান মাটিতে জল চলাচল বৃদ্ধির মাধ্যমে মাটির স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে, এটি মাটিতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যোগ করে এবং সেই সাথে ভূমিক্ষয়ের প্রভাব কমাতে পারে।
6. আপেক্ষিক তাপ কাকে বলে? এর একক কি?
উঃ 👉এক কেজি পদার্থের তাপমাত্রা ১ কেলভিন বাড়াতে যে পরিমাণ তাপ প্রয়োজন তাকে ঐ পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।
👉এর একক হল J kg−1 K−1
7. কার্প কি? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉 মিঠে জলে বাস করা যেসব অস্থি যুক্ত মাছের ত্রিকোণাকৃতি মাথায় আঁশ থাকেনা, অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র, চোয়ালের দাঁত অনুপস্থিত আর দেহের ভেতরে পটকা থাকে তাদের কার্প বলা হয়। যেমন রুই, কাতলা বাটা , পুঁটি ইত্যাদি মাছ।
8. চালের পুষ্টিমূল্য লেখ।
উঃ চালে 79.1 % কার্বোহাইড্রেট , 6 % প্রোটিন এবং 0.4 % বিভিন্ন মৌল থাকে ।
9. সিটার ও নন সিটার মুরগির পার্থক্য লেখ।
উঃ যেসব মুরগি ডিমে তা দেয় তাদের সিটার বলে। যেমন-আসিল, কোচিন, ল্যাংশেন ।
যেসব মুরগি ডিমে তা দেয় না তাদের ননসিটার বলে । যেমন - লেগহন ।
10. মেজর কার্প ও মাইনর কার্পের পার্থক্য লেখ।
উঃ ১.মেজর কার্প গুলি আকারে বড় হয়। মাইনর কার্প গুলি আকারে ছোট হয়।
২.মেজর কার্প তাড়াতাড়ি বাড়ে। মাইনর কার্প তাড়াতাড়ি বাড়ে না।
৩.মেজর কার্প সাধারনত বদ্ধ জলে ডিম পারে না। মাইনর কার্প সাধারনত বদ্ধ জলে ডিম পাড়ে।
৪.রুই, কাতলা, মৃগেল ইত্যাদি হল মেজর কার্প। বাটা, পুঁটি ইত্যাদি হল মাইনর কার্প।
11. একটি বায়ুবাহিত ও একটি জল বাহিত মহামারীর নাম লেখ।
উঃ যক্ষ্মা হলো বায়ুবাহিত এবং টাইফয়েড, কলেরা হলো জলবাহিত রোগ।
12. তাপগ্রাহী ও তাপমোচি রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ👉তাপগ্রাহী প্রক্রিয়া হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা সাধারণত তাপের আকারে, তার চারপাশ থেকে শক্তি দাবি করে বা শোষণ করে। বরফ গলে যাওয়া এবং তুষারকে জলীয় বাষ্পে রূপান্তরিত করা হল তাপগ্রাহী বিক্রিয়ার উদাহরণ।
👉 যে বিক্রিয়াগুলিতে সাধারণত তাপ বা আলোর আকারে শক্তি নির্গত হয়, তাকে তাপমোচী বিক্রিয়া বলে।
দহন বিক্রিয়া, প্রশমন বিক্রিয়া এবং থার্মাইট বিক্রিয়া তাপমোচী বিক্রিয়ার উদাহরণ।
13. একটি জারক ও একটি বিজারক পদার্থের উদাহরণ দাও।।
উঃ ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড,নাইট্রিক অ্যাসিড,অক্সিজেন হলো জারক পদার্থ এবং কার্বন,নাইট্রাস অ্যাসিড,হাইড্রোজেন হলো বিজারক পদার্থ।
14. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে । যেমন সালফিউরিক, নাইট্রিক, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড প্রভৃতি ।
15. বাষ্পায়ন ও স্ফুটনের দুটি পার্থক্য লেখ।
উঃ ১। বাষ্পায়ন সব উষ্ণতায় ঘটে। অন্যদিকে প্রমাণ চাপে, স্ফুটন একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় ঘটে।
২। বাষ্পায়ন খুব ধীরে হয়। অন্যদিকে স্ফুটন অতি দ্রুত গতিতে হতে থাকে।
৩.তরলের শুধু উপরিতল থেকেই বাষ্পায়ন হয়। অন্যদিকে স্ফুটন তরলের সমস্ত অংশ থেকে হয়।
16. জারন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মৌল বা যৌগের সাথে অক্সিজেন বা অন্য কোন তড়িৎ ঋণাত্মক অধাতব মৌল বা মূলক যুক্ত হয় তাকে জারণ বলে।
যেমন —2Na+Cl2=2NaCl
17. কুয়াশা কি?
উঃ দিনের বেলা তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় সূর্য বিভিন্ন নদী, হ্রদ থেকে জল বাষ্পীভূত করে জলীয় বাষ্পে পরিনত করে। এই জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ভূপৃষ্ঠের কিছুটা উপরে ভাসমান অবস্থায় থাকে, একে কুয়াশা বলা হয়।
18. মৌমাছির দুটি ব্যবসায়িক গুরুত্ব লেখ।।
উঃ
19. ম্যাগনেসিয়াম তারকে তীব্রভাবে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে সমীকরণসহ লেখ।
উঃ ম্যাগনেসিয়াম তার কে উত্তপ্ত করলে সাদা রঙের ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন হবে ও তীব্র আলো উৎপন্ন হবে।
সমীকরণ- 2Mg+O2=2MgO
20. চায়ের দুটি গুণ উল্লেখ কর।
উঃ ১.ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী চা। এর লিকার দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ি শক্ত করে।
২.এতে রয়েছে ক্যাফেইন নামক উত্তেজক পদার্থ।এটি হৃৎপিণ্ড ও দেহের অন্যান্য পেশি সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
21. খারিফ শস্য কাকে বলে? কোন ধরনের উদ্ভিদ চাষ করলে মাটির নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়?
উঃ 👉 বর্ষা কালে বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করে যে ফসলের চাষ করা হয় তাদের খারিফ শস্য বলে।
খারিফ শস্যের উদাহরণ : ধান, জোয়ার, বাজরা, ভুট্টা, তুলো, আঁখ, সয়াবিন, চীনাবাদাম।
👉শিম্বীগোত্রীয় উদ্ভিদ যেমন-মটর,শিম,ছোলা ইত্যাদি উদ্ভিদ চাষ করলে মাটির নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
22. NPK কী?
উঃ NPK সার বলতে এমন এক ধরনের সার বোঝায় যাতে নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P), এবং পটাসিয়াম (K) থাকে।
23. মুরগি পালনে লিটার কি?
উঃ ‘লিটার’ শব্দের অর্থ পশুপাখির বিছানা। ঘরের মেঝেতে মুরগির মলমূত্র লেপ্টে যেন না যায় সে জন্য কাঠের গুঁড়া, ধানের তুষ, ছাই এসব দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বিছানা তৈরি করা হয়। এ ধরনের বিছানাকে লিটার বলে। লিটার পুরু করে দিলে তাকে বলে ডিপলিটার।
24. মৌমাছির জীবনচক্রের চারটি দশা কি কি?
উঃ মৌমাছির জীবনচক্র চারটি পর্যায় নিয়ে গঠিত: ডিম, লার্ভা, পিউপা এবং প্রাপ্তবয়স্ক।
25. পূর্ণাঙ্গ মাছ তৈরীর ধাপ গুলি কি কি?
উঃ লার্ভা,ডিম পোনা,চারা পোনা, পূর্ণাঙ্গ মাছ।
26. লোহার পাইপের উপর জিংকের প্রলেপ দিতে হলে ক্যাথোড ও অ্যানোড হিসেবে কি কি ব্যবহার করতে হবে?
উঃ অ্যানোড রূপে ব্যবহার করা হয় বিশুদ্ধ নিকেলের পাত । ক্যাথোড রূপে ব্যবহার করা হয় লোহার চামচ ।
তড়িৎ বিশ্লেষ্য রূপে ব্যবহার করা হয় সামান্য বোরিক অ্যাসিড মিশ্রিত অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH4)2SO4] এবং নিকেল সালফেটের (NiSO4) জলীয় দ্রবণ ।
27. বরফ গলনের লীন তাপ ৮০ ক্যালোরি/গ্ৰাম বলতে কী বোঝো?
উঃ বরফ গলনের লীন তাপ ৪০ ক্যালোরি/গ্রাম বলতে বোঝায় যে 0°C তাপমাত্রার 1 গ্রাম বরফকে সম্পূর্ণরূপে 0°C তাপমাত্রার জলে পরিণত করতে 80 ক্যালোরি তাপ দিতে হবে।
28. গ্যালভানাইজেশন কাকে বলে?
উঃ গ্যালভানাইজেশন হল লোহার চাদরের উপরিভাগে দস্তার একটি পাতলা আবরণ প্রয়োগ করার একটি প্রক্রিয়া যাতে এটিকে মরিচা পড়া রোধ করা যায়।
29. দুটি অজৈব সারের নাম লেখ।
উঃ ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, অ্যামোনিয়াম সালফেট, এবং ক্যালসিয়াম নাইট্রেট ইত্যাদি।
30. পেস্ট কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব জীব ফসল, গবাদিপশু, পাখি ও মানুষের ক্ষতিসাধন করে তাদেরকে পেস্ট বলা হয়।
যেমন-উই, পঙ্গপাল, মাজরা পোকা, ইন্দুর প্রভৃতি।
31. রুপোর উপর সোনার প্রলেপ দিতে গেলে ক্যাথোড ও অ্যানোড হিসেবে কি কি ব্যবহার করা হয়?
উঃ রুপোর বস্তুর ওপর সোনার প্রলেপ দিতে হলে –
অ্যানোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে বিশুদ্ধ সোনার পাত ।ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে রুপোর বস্তু ।
তড়িৎবিশ্লেষ্য রূপে ব্যবহার করতে হবে পটাশিয়াম অরোসায়ানাইড-এর জলীয় দ্রবণ।
32. লোহার ওপর নিকেলের প্রলেপ দিতে হলে অ্যানোড হিসেবে কে কে ব্যবহার করা হয়?
উঃ অ্যানোড রূপে ব্যবহার করা হয় বিশুদ্ধ নিকেলের পাত । ক্যাথোড রূপে ব্যবহার করা হয় লোহার চামচ ।
তড়িৎ বিশ্লেষ্য রূপে ব্যবহার করা হয় সামান্য বোরিক অ্যাসিড মিশ্রিত অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH4)2SO4] এবং নিকেল সালফেটের (NiSO4) জলীয় দ্রবণ ।
33. নিবিড় মিশ্র চাষ বলতে কী বোঝো?
উঃ তিন ধরনের দেশি কার্প (কাতলা রুই মৃগেল) এর সঙ্গে তিন ধরনের বহিরাগত কার্প (সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, সাইপ্রিনাস কার্প) একই পুকুরে চাষ করাকে নিবিড় মিশ্র চাষ বলে।
34. যক্ষা রোগের দুটি লক্ষণ লেখ।
উঃ১. কাশি, কাশিতে রক্ত, বুকে ব্যথা, ২.শ্বাসকষ্ট, ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধা হ্রাস, রাতের ঘাম, জ্বর, শরীরে ব্যথা এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে।
35. সিয়ন ও স্টক কি?
উঃ 👉 জোড়কলম পদ্ধতিতে যে উন্নততর উদ্ভিদাংশটি কে জোড়া লাগানো হয়, তাকে সিয়ন বলে।
👉 জোড়কলম পদ্ধতিতে আটি থেকে তৈরি করা যে উদ্ভিদ অংশের ওপর উন্নততর উদ্ভিদ অংশটিকে জোড়া লাগানো হয়, তাকে স্টক বলে।
✍️ *প্রশ্নের মান-৩:*
১. তড়িৎ লেপন কাকে বলে? ইহার দুটি উদ্দেশ্য লেখ।
উঃ 👉জলবায়ু ও বাতাসের অক্সিজেনের প্রকোপ থেকে রক্ষার করা জন্য তড়িৎ – বিশ্লেষণের সাহায্যে লোহা , তামা , পিতল প্রভৃতি ধাতু বা ধাতুসংকরের তৈরী বস্তুর ওপর সোনা , রূপো , দস্তা , নিকেল , ক্রোমিয়াম , টিন প্রভৃতি অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় ও ক্ষয়রোধকারী ধাতুর পাতলা প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎলেপন বলে ।
👉তড়িৎ লেপনের উদ্দেশ্য :
( 1 ) জলবায়ু এবং অক্সিজেনের বিক্রিয়া থেকে লোহা , তামা , পিতল প্রভৃতি ধাতু বা ধাতু সংকরের তৈরী জিনিসকে রক্ষা করা ,
( 2 ) ধাতব পদার্থের স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা।
2. ডেঙ্গি রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর নাম সহ উপসর্গগুলি লেখ।
উঃ এডিস প্রজাতির স্ত্রী মশার কামড়ে এটি হয়ে থাকে। এর জীবাণুর নাম হলো ফ্ল্যাভিভাইরাস।
সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গ :
১. 104-ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উচ্চ জ্বর। এটা হঠাৎ ঘটতে পারে।২. প্রচন্ড মাথাব্যথা. ৩. বমি বমি ভাব এবং বমি. ৪.শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি। ৫. গ্রন্থি ফুলে যাওয়া।৬. শরীরে ব্যথা, হাড়, জয়েন্টে ব্যথা। ৭. নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত। এটি বেশিরভাগই হালকা।
3. মিশ্র মাছ চাষ পদ্ধতি বর্ণনা কর।
উঃ
4. হেপাটাইটিস রোগের লক্ষণ গুলি লেখ।
উঃ হেপাটাইটিস- এর সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো হলো-১. পেটে ব্যথা,গাঢ় প্রস্রাব,জ্বর ২.সন্ধিতে যন্ত্রনা,ক্ষুধামান্দ্য,বমি বমি ভাব এবং বমি,দুর্বলতা এবং ক্লান্তি ৩.ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া, যাকে সাধারণ কথায় জন্ডিস বলা হয়।
5. জৈব সার ও অজৈব সারের মধ্যে কোনটি ভালো এবং কেন?
উঃ জৈব সার মাটির সঙ্গে মিশে যায় ফলে এটি পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না।জৈব সারের ব্যবহার করলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর কোন হানিকারক প্রভাব পড়ে না। কিন্তু অজৈব সার সহজে মাটিতে মিশে না।তাই অজৈব সারের চেয়ে জৈব সার অধিক ভালো।
6. জারণ ও বিজারণ একইসঙ্গে ঘটে -একটি উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা কর।
7. ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ গুলি লেখ।
উঃ ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণসমূহ:
>> নির্দিষ্ট সময় পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। জ্বর সাধারণত ১০৫-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে।
>> নিয়মিত ও নির্দিষ্ট বিরতিতে জ্বর আসা-যাওয়া করে; যেমন- একদিন পর পর জ্বর, তা ৩-৪ দীর্ঘ হওয়া এবং এরপর ঘাম দিয়ে জ্বর কমে যায়।
>> জ্বর ছেড়ে গেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যেতে পারে।
>> এ ছাড়াও মাঝারি থেকে তীব্র কাঁপুনি বা শীত শীত অনুভব, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথাব্যথা, অনিদ্রা দেখা দেয়।
>> সেইসঙ্গে খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া বা ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমিবমি ভাব অথবা বমি, হজমে গোলযোগে ভোগে রোগী।
8. অনুঘটক কাকে বলে? ইহার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ 👉যেসব পদার্থের উপস্থিতিতে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ বৃদ্ধি পায় কিন্তু বিক্রিয়া শেষে উক্ত পদার্থের ভর ও রাসায়নিক সংযুতি অপরিবর্তিত থাকে তাদেরকে প্রভাবক বা অনুঘটক বা ক্যাটালিস্ট বলে।
👉 বৈশিষ্ট্য:১.অনুঘটক বিক্রিয়া আরম্ভ বা শেষ করতে পারে না, কেবলমাত্র বিক্রিয়ার বেগ বৃদ্ধি করে।
২.বিক্রিয়াশেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে।
9. তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে? ইহার দুটি ব্যবহার লেখ।।
উঃ 👉কোনো দ্রবণের মধ্যে বিদ্যুৎ বা তড়িৎ প্রবাহিত করে এর অণুগুলোকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে।
👉ধাতু নিষ্কাশন,ধাতু পরিশোধন ও তড়িৎ লেপন পদ্ধতিতে তড়িৎ বিশ্লেষণ ব্যবহার করা হয়।
10.বজ্রনাদ ও বজ্রপাত বলতে কী বোঝো?
উঃ 👉বিদ্যুৎ চমকানোর সময় স্ফুলিঙ্গ যে পথে যায় ঐ পথের আশপাশের বায়ু হঠাৎ উত্তপ্ত ও প্রসারিত হয় এবং পরমুহূর্তে শীতল ও সংকুচিত হয়। বায়ুর দ্রুত সংকোচন ও প্রসারণের দরুন তীব্র শব্দের সৃষ্টি হয়। একে বজ্রনাদ (Thunder) বলে।
👉কোন মেঘ ভূপৃষ্ঠের নিকটে নেমে এলে ভূপৃষ্ঠে বিপরীতধর্মী আবেশের সৃষ্টি হয় এবং এর আকর্ষণে মেঘের বিদ্যুৎ হঠাৎ পৃথিবীতে শব্দ সহকারে ছুটে এলে তাকে বজ্রপাত বলে।
11. জোড় কলম পদ্ধতিটি বর্ণনা কর।
উঃ
12. কিভাবে কৃত্রিম পদ্ধতিতে ডিম পোনা তৈরি করা হয়?
উঃ
13. মরচে কাকে বলে? মরচে পড়ার শর্তগুলি কি কি?
উঃ 👉আর্দ্র বায়ুর মধ্যে লোহা রাখলে কিছু দিনের মধ্যে লোহার ওপরে হলুদ রঙের আস্তরণ পড়ে, একে মরিচীকা বা মরিচা বলে। মরিচীকা হলো জলযুক্ত ফেরিক অক্সাইড, 2Fe2O3, 3H2O।
👉মরচের শর্ত দুটি হলো বায়ুর অক্সিজেন ও জলের উপস্থিতি।
14. তরলের স্ফুটনাঙ্ক কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উঃ তরলের স্ফুটনাঙ্ক নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে-(i) তরলের প্রকৃতি (ii) তরলে দ্রবীভূত পদার্থের উপস্থিতি (iii) তরলের উপর চাপ।
15. ডিপ লিটার পদ্ধতিতে কিভাবে মুরগি পালন করা হয়?
16. বজ্রনিরোধক কি? এটির গঠন বর্ণনা কর।
উঃ বজ্র নিরোধক হল এক ধরনের যন্ত্র যা বজ্রপাতকে নিজের ভিতরে শোষণ করে। পরিবাহী পথের মাধ্যমে তাকে ভূগর্ভে পাঠিয়ে দেয়। একে লাইটনিং রড-ও বলা হয়। এটি মূলত তামার তৈরি একটি রড।
17. গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড এর তড়িৎ বিশ্লেষণে ক্যাথোড ও অ্যানোডে কি কি পদার্থ উৎপন্ন হয় তা লেখ।।
উঃ গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইডের তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সোডিয়াম ধাতু এবং ক্লোরিন গ্যাস পাওয়া যায়।
18. কার্প বলতে কী বোঝো? উদাহরণ সহ মেজর কার্পের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
উঃ 👉মিঠে জলে বাস করা যেসব অস্থি যুক্ত মাছের ত্রিকোণাকৃতি মাথায় আঁশ থাকেনা, অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র, চোয়ালের দাঁত অনুপস্থিত আর দেহের ভেতরে পটকা থাকে তাদের কার্প বলা হয়। যেমন রুই, কাতলা বাটা , পুঁটি ইত্যাদি মাছ।
👉রুই, কাতলা, মৃগেল ইত্যাদি হল মেজর কার্প।
বৈশিষ্ট্য: ১.মেজর কার্প গুলি আকারে বড় হয়। ২.মেজর কার্প তাড়াতাড়ি বাড়ে। ৩.মেজর কার্প সাধারনত বদ্ধ জলে ডিম পারে না।
19. কালাজ্বরের অপর নাম কি? এই রোগের লক্ষণ গুলি লেখ।
উঃ 👉কালাজ্বরের অপর নাম দমদম জ্বর।
👉 কালা জ্বরের লক্ষণ:
১. প্রাথমিক অবস্থায় জ্বর খুব আস্তে আস্তে শুরু হয় এবং জ্বর ৫ থেকে ৭ দিন ধরে উঠতে থাকে।
২. রোগীর শারীরিক দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। রোগী অসুস্থ বোধ করে এবং ওজন ক্রমশ কমতে থাকে।
৩. অজীর্ণতা এবং ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
৪. জ্বর অবিরাম থাকতে পারে আবার দিনে দুইবারও আসতে পারে। কিছুদিন পর আবার জ্বর আসে।