📚সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস:অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর:অধ্যায়-১: ইতিহাসের ধারণা 📚
১.ইতিহাসের উপাদানগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
👉ইতিহাসের উপাদানগুলিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় যথা- লেখ, মুদ্রা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, লিখিত উপাদান।
২.লেখ কাকে বলে?
👉পাথর বা ধাতুর পাতে লেখা থেকে পুরোনো দিনের অনেক তথ্য জানা যায় এগুলিকে লেখ বলে।
৩. তাম্র লেখ কাকে বলে?
👉তামার পাতে লেখা হলে তাকে তাম্র লেখ বলে।
৪.শিলালেখ কাকে বলে?
👉পাথরের উপরে লেখা হলে তাকে শিলালেখ বলে।
৫. ইতিহাসের লিখিত উপাদান কোন গুলি?
👉কাগজে লেখাগুলিকে লিখিত উপাদান বলে।
৬.আদি-মধ্যযুগ কাকে বলে?
👉ভারতে ইতিহাসে একটা বড়ো সময় ছিল, যখন প্রাচীন যুগ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে আর মধ্যযুগও পুরোপুরি শুরু হয়নি। ঐতিহাসিকরা সেই সময়টিকে বলেন আদি- মধ্যযুগ।
৭.আমরা ইতিহাস পড়ি কেন?
👉 অতীতকে ভালোভাবে জানার জন্য আমরা ইতিহাস পড়ি।
৮. ‘ইন্ডিয়া’ নামটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
👉গ্রিক ঐতিহসিক হেরোডোটাস ইন্ডিয়া নামটি প্রথম ব্যবহার করেন।
৯.‘হিদূষ’ কী?
👉 প্রাচীনকালে সিন্ধু-বিধৌত অঞ্চলগুলি ‘হিদূষ’ নামে পরিচিত ছিল।
১০.প্রাচীনকালে ‘ইন্ডিয়া’ বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝাত?
👉সিন্ধু ব-দ্বীপ এলাকাকে বোঝাত।
১১.ভারতের ইতিহাসের সময়কে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
👉 ভারতের ইতিহাসের সময়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়,যথা-প্রাচীন, মধ্য,আধুনিক।
১২.ইংরেজের শাসনকাল কোন যুগে পড়ে?
👉 আধুনিক যুগে।
১৩. আর্যদের ইতিহাস কোন যুগে পড়ে?
👉প্রাচীন যুগে পড়ে।
১৪.সুলতানী যুগকে কোন যুগ ধরা হয় ?
👉মধ্যযুগ ধরা হয়।
১৫.‘ইন্ডিয়া’-নামটি কাদের দেওয়া?
👉গ্ৰীকদের দেওয়া।
১৬.‘হিদূষ’-নামটি কাদের দেওয়া?
👉পারসিকদের দেওয়া।
১৭.আরবি-ফারসি ভাষায় ভারতকে কী বলা হতো?
👉‘হিন্দুস্তান’ বলা হতো।
১৮.‘হিন্দুস্তান’-নামটি প্রথম কোথায় পাওয়া যায়?
👉২৬২ খ্রিস্টাব্দে খােদিত ইরানের সাসানীয় শাসকের একটি শিলালেখতে ‘হিন্দুস্তান’ শব্দটি পাওয়া যায়।
১৯.‘হিন্দুস্তান’ বলতে কী বোঝাত?
👉 ‘হিন্দুস্তান' শব্দ দ্বারা সমগ্র ভারতকে বোঝানো হতো।
২০.‘হুদুদ্ অল্ আলম’-গ্ৰন্থটি কার লেখা?
👉দশম শতকের শেষভাগে অজ্ঞাতনামা এক লেখকের লেখা।
২১.অর্থশাস্ত্র কার লেখা?
👉কৌটিল্যের লেখা।
২২.‘রঘুবংশম’-কার লেখা?
👉মহাকবি কালিদাসের লেখা।
২৩.‘বঙ্গ’-নামটি প্রথম কোন্ গ্ৰন্থে পাওয়া যায়?
👉ঋকবেদের ঐত্যরেয় আরণ্যকে পাওয়া যায়।
২৪. প্রাচীন বাংলাকে সুবা বাংলা বলে কে উল্লেখ করেছেন?
👉মুঘল যুগের ঐতিহাসিক আবুল ফজল তার আইন-ই আকবরি গ্রন্থে এই অঞ্চলকে সুবা বাংলা নামে উল্লেখ করেছেন।
২৫.শশাঙ্ক কে ছিলেন ?
👉 শশাঙ্ক দিলেন এক গুপ্ত সম্রাটের মহাসামন্ত।
২৬.শশাঙ্ক কত খ্রিস্টাব্দ গৌড়ের শাসক হন?
👉৬০৬-০৭ খ্রিস্টাব্দের কিছু কাল আগে তিনি গৌড়ের শাসক হন।
২৭.শশাঙ্কের শাসনকাল উল্লেখ করো।
👉৬০৭-৩৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
২৮.হরিকেল কী?
👉আজকের বাংলাদেশের চট্টগ্রামের উপকূল অঞ্চল হরিকেল নামে পরিচিত ছিল।
২৯.মেঘনা নদীর পূর্ব দিকের এলাকা কী নামে পরিচিত ছিল?
👉সমতট।
৩০. শশাঙ্কের রাজধানী কোথায় ছিল?
👉কর্ণসুবর্ণ বা কানসোনা।
....................