📚ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ সাজেশন:তৃতীয় পর্যায় ক্রমিক মূল্যায়ন:(প্রশ্নের মান-২,৩)📚
1. সরল যন্ত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉সামান্য বল প্রয়োগ করে শুধুমাত্র যান্ত্রিক শক্তি ব্যবহারের সাহায্যে যে যন্ত্রের সাহায্যে বিপুল বাধা অতিক্রম করা হয় তাকে সরল যন্ত্র বলে।
👉উদাহরণ:সূঁচ,কাঁচি,শাবল,ব্লেড,গাঁইতি,ছুরি,বেলচা,
কলম,বঁটি ইত্যাদি।
2. জটিল যন্ত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉 দুই বা তার বেশি সরল যন্ত্র মিশিয়ে যে যন্ত্র তৈরি করা হয় তাকে জটিল যন্ত্র বলে।
👉 উদাহরণ: সেলাই মেশিন, কম্পিউটার,ট্রাকটর,ছাপার যন্ত্র, ড্রিল মেশিন ইত্যাদি।
3. লিভার কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉 লিভার হলো এমন একটি সোজা বা বাঁকানো দন্ড যা একটি নির্দিষ্ট স্থির বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঐ বিন্দুর চারদিকে অবাধে ঘুরতে পারে। লিভারের যে বিন্দুটি স্থির থাকে তাকে লিভারের আলম্ব বলে।
👉 উদাহরণ: বেলচা, কাঁচি,মাছ ধরার ছিপ,নৌকার দাঁড় ইত্যাদি।
4. লিভার কয় প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকারের উদাহরন দাও।
উঃ 👉 লিভার তিন প্রকার-১.প্রথম শ্রেণির লিভার, ২.দ্বিতীয় শ্রেণির লিভার, ৩.তৃতীয় শ্রেণির লিভার।
👉 উদাহরণ:
প্রথম শ্রেণির লিভার: বেলচা, কাঁচি,সাঁড়াশি,পেরেক তোলার যন্ত্র, দাঁড়িপাল্লা ইত্যাদি।
দ্বিতীয় শ্রেণির লিভার:আবর্জনা ফেলার একচাকা গাড়ি, সুপারি কাঁটার জাঁতি, নৌকার দাঁড় ইত্যাদি।
তৃতীয় শ্রেণির লিভার: মানুষের হাত, মানুষের চোয়াল,চিমটা,মাছ ধরার ছিপ,ঝাড়ু,ধনুক ইত্যাদি।
5. প্রত্যেক প্রকার লিভারের চিত্র অঙ্কন করো।
উঃ টেক্সট বই দেখো।
6. নততল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉 কোনো মসৃণ পাঠাতন বা ঐ জাতীয় কোনো সমতলকে যদি অনুভূমিক না রেখে ভূমিতলের সঙ্গে যেকোনো সুক্ষ্মকোণে রাখা হয় তাহলে ঐ তলকে নততল বলে।
👉 উদাহরণ: হেলিয়ে রাখা মই, সিঁড়ি,ব্রীজ,লরিতে মাল তোলার জন্য হেলানো কাঠের তক্তা ইত্যাদি।
7. নততল ব্যবহারের সুবিধা উল্লেখ করো।
উঃ নততল ব্যবহার করে খুব সহজেই অল্প বল প্রয়োগ করে কোনো ভারী বস্তুকে উপরে তোলা যায়।
৪. কপিকল কী? কপিকলের কার্যনীতি বর্ণনা দাও।
উঃ 👉পুলি বা কপিকল হলো একটা শক্তপোক্ত চাকা।এটা একপ্রকার সরল যন্ত্র।
👉 কপিকলের কার্যনীতি: কপিকলের কেন্দ্রে থাকে একটা লম্বা দণ্ড বা অ্যাক্সেল। একে কেন্দ্র করে কপিকল অবাধে ঘুরতে পারে। কপিকল, বল প্রয়োগের দিককে ঠিক উলটো করে দেয়। অর্থাৎ কেউ সরাসরি নীচ থেকে ওপরে দড়ির সাহায্যে কোনো বস্তুকে তুলতে চাইলে, বস্তুটি উঠছে উপরের দিকে কিন্তু তাকে বল প্রয়োগ করতে হচ্ছে নীচের দিকে।
9. চক্র ও অক্ষদন্ড কাকে বলে?
উঃ চক্র ও অক্ষদন্ড হলো একপ্রকার সরল যন্ত্র।এখানে অপেক্ষাকৃত কম দৈর্ঘ্যের ও বেশি ব্যাসার্ধের বেলন দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে । কম দৈর্ঘ্যের মােটা বেলনকে চক্র এবং কম ব্যাসার্ধের বেলনটিকে অক্ষদন্ড বলে।
10. ঘূর্ণনঅক্ষ কাকে বলে?
উঃ চক্র ও অক্ষদন্ড উভয়েই একসঙ্গে তাদের একই কেন্দ্র দিয়ে যাওয়া স্থির অক্ষকে কেন্দ্র করে অবাধে ঘুরতে পারে।এই অক্ষকে ঘূর্ণনঅক্ষ বলে।
11. যন্ত্রের পরিচর্যা কীভাবে করা হয়?
উঃ (1) যন্ত্রের যে অংশ চলমান বা ঘূর্ণায়মান সেই অংশে ঘর্ষণ বেশি হয়। ফলে সেই অংশ দ্রুত ক্ষয় হতে থাকে। তাই ঘর্ষণ কমাতে ওই অংশে পিচ্ছিল তেল বা গ্রিজ লাগানো উচিত।
(2) লোহার তৈরি যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ জলীয় বাষ্পের হাত থেকে রক্ষা করা দরকার। তা না হলে মরচে (জং) ধরে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেল রং (সিন্থেটিক এনামেল) করেও মরিচার হাত থেকে লোহার যন্ত্র বা যন্ত্রাংশকে রক্ষা করা যায়।
(3) কাজের পর যন্ত্রকে নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখা দরকার।
12. প্রজাতি কাকে বলে? পৃথিবীতে মোট কত প্রজাতির জীব বাস করে?
উঃ 👉 একই বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবকে প্রজাতি বলে।
👉পৃথিবীতে মোট তিনকোটি বা তার বেশি প্রজাতির জীব বাস করে।
13.নততলের সুবিধা কখন বেশি হয়?
উঃ নততলের খাড়াই যত কম হবে নততলের সুবিধা তত বেশি হবে। অর্থাৎ ভুমি ও নততলের মাঝের কোণ যত ছোটো হবে নততলের সুবিধা তত বেশি হবে।
14.পেরেক অপেক্ষা স্ক্রুর যান্ত্রিক সুবিধা বেশি হয় কেন?
উঃ স্ক্রুর গায়ে যে প্যাঁচানো অংশ থাকে তা আসলে নততলের মতো কাজ করে। সেজন্য পেরেক অপেক্ষা স্ক্রুর যান্ত্রিক সুবিধা বেশি হয়।
15.মানুষ ও বাঘের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উঃ 👉 মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম-হোমো সেপিয়েন্স।
👉 বাঘের বৈজ্ঞানিক নাম-প্যানথেরা টাইগ্ৰিস।
16.হিন্দি ভাষায় বাঘকে কী বলা হয়? দক্ষিণ ভারতের লোকেরা বাঘকে কী বলে?
উঃ 👉 হিন্দি ভাষায় বাঘকে বলা হয় শের।
👉দক্ষিণ ভারতের লোকেরা বাঘকে বলে হুলি বা পুলি।
17.জীবরাজ্য বা কিংডাম কাকে বলে?
উঃ বিজ্ঞানীরা প্রজাতিদের নিয়ে যে জীবজগৎ তাকে ছ-টা ভাগে ভাগ করেন।এক একটা ভাগকে বলা হয় জীবরাজ্য বা কিংডাম বলে।
18.ভাইরাস কাকে বলে?
উঃ জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তুকে বলে ভাইরাস।
19.জীবজগতের পাঁচটি রাজ্য কী কী? উদাহরণ দাও।
উঃ জীবজগতের পাঁচটি রাজ্য হলো-
১.উদ্ভিদের রাজ্য-প্ল্যান্টি(উদাহরণ-শ্যাওলা,মস)
২.প্রাণীদের রাজ্য-অ্যানিম্যালিয়া(উদাহরণ-মানুষ,হাতি)
৩.ছত্রাকের রাজ্য-ফানজাই(উদাহরণ-ব্যাঙের ছাতা)
৪.ব্যাকটিরিয়ার রাজ্য-মোনেরা,ব্যাকটিরিয়া(উদাহরণ-সিফিলিস)
৫.এককোষী জীবদের রাজ্য-প্রোটিস্টা,ক্রোমিস্টা, প্রোটোজোয়া(অ্যামিবা,প্যারামিসিয়াম,ইউগ্লিনা)
20.মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে? উদাহরণ দাও?
উঃ 👉 যেসব প্রাণীদের মেরুদন্ড থাকে তাদের মেরুদন্ডী প্রাণী বলে। যেমন-মানুষ,হাতি ইত্যাদি।
21.অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে সব প্রাণীদের মেরুদন্ড থাকে না তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন-কেঁচো, জোঁক, চিংড়ি ইত্যাদি।
22. উদাহরণসহ আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ 👉 পোকা, মাকড়সা, চিংড়ি, কাঁকড়া এদের সবাইকে একসঙ্গে আর্থ্রোপোডা বলা হয়।
👉 বৈশিষ্ট্য:
১.এই পর্বের প্রাণীদের শুঁড় আছে।
২.পাগুলো খন্ডে খন্ডে থাকে।
৩.গায়ের উপর একটা শক্ত খোলা থাকে।
23. মোলাস্কা কাদের বলা হয়? উদাহরণ দাও। এদের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ 👉 শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক অক্টোপাস এদের সবাইকে একসঙ্গে মোলাস্কা বলা হয়।
👉 বৈশিষ্ট্য:
১. এদের চলাফেরা করার জন্য মাংসল পা থাকে।
২. নরম শরীরের ভিতর দেওয়া বাইরে চুল জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি একটি শক্ত খোলক থাকে।
24. অ্যানিলিডা পর্বের অন্তর্গত দুটি প্রাণীর নাম লেখ। গোলকৃমি এবং চ্যাপ্টাকৃমি কোন পর্বের প্রাণী?
উঃ 👉 অ্যানিলিডা পর্বের অন্তর্গত দুটি প্রাণী হল কেঁচো ও জোঁক।
👉 গোলকৃমি হল অ্যাস্কহেলমিনথেস পর্বের প্রাণী এবং চ্যাপ্টা কৃমি হলো প্ল্যান্টিহেলমিনথেস পর্বের প্রাণী।
25. শ্যাওলা কী? এরা কোন পর্বের অন্তর্গত? এদের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ 👉 শ্যাওলা হলো এক ধরনের মস জাতীয় গাছ। এরা সবুজ হয়।
👉 শ্যাওলা ব্রায়োফাইট পর্বের অন্তর্গত।
👉 বৈশিষ্ট্য:
১. অন্য গাছেদের মতো নিজেদের খাবার নিজেদের দেহেই বানিয়ে ফেলে।
২. এদের দেহে কোনো মূল, কাণ্ড বা পাতা নেই।
৩. এদের কোনো ফুলও হয় না।
26. শুশনিশাক কোন জাতীয় উদ্ভিদ?
উঃ শুশনিশাক ফার্ণ জাতীয় গাছ বা টেরিডোফাইটা। এরা অপুষ্পক উদ্ভিদ।
27. জলের রেশম বা water silk কী?
উঃ এগুলো একধরণের শ্যাওলা। এদের গায়ে পিচ্ছল ভাবটা থাকে। খুব চকচক করে। এদের জলের রেশম বা water silk বলে।
28.সপুষ্পক ও অপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉 যেসব উদ্ভিদের ফুল,ফল হয় তাদের সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। যেমন-কুমড়ো।
👉যেসব উদ্ভিদের ফুল,ফল হয় না তাদের অপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। যেমন-শ্যাওলা।
29.গুপ্তবীজী বা অ্যাঞ্জিওস্পার্ম এবং ব্যক্তবীজী বা জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉 যেসব উদ্ভিদের ফলের বীজ ফলের মধ্যে লুকানো থাকে বাইরে থেকে দেখা যায় না, তাদের গুপ্তবীজী বা অ্যাঞ্জিওস্পার্ম উদ্ভিদ বলে। যেমন-আম,জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।
👉যেসব উদ্ভিদের ফলের বীজ বাইরে থেকে দেখা যায় তাদের ব্যক্তবীজী বা জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদ বলে। যেমন-পাইন,ফার্ণ ইত্যাদি।
30.একবীজপত্রী উদ্ভিদ ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉 যেসব উদ্ভিদের বীজের মধ্যে কেবলমাত্র একটি বীজপত্র থাকে তাদের একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন-ধান,গম,ভুট্টা, সুপারি ইত্যাদি।
👉যেসব উদ্ভিদের বীজের মধ্যে দুটি বীজপত্র থাকে তাদের দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন-আম,জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।
31.একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতার শিরাবিন্যাস কেমন হয়?
উঃ 👉 একবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতায় সমান্তরাল শিরাবিন্যাস দেখা যায়।
👉 দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতায় জালিকাকার শিরাবিন্যাস দেখা যায়।
32.কোশ কাকে বলে? নিউক্লিয়াস কী?
উঃ 👉 জীবের শরীর অসংখ্য ছোটো ছোটো কুঠুরি নিয়ে গঠিত যা আমরা খালি চোখে দেখতে পায় না।এই কুঠুরিগুলিকে কোশ বলে।
👉 অধিকাংশ কোশের মধ্যে একটি গোলাকার বস্তু থাকে। একে নিউক্লিয়াস বলে।
33.কোন্ রোগে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে? কোন্ রোগে পেট গোলমাল করে?
উঃ 👉ম্যালেরিয়া রোগে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
👉আমাশয় হলে পেট গোলমাল করে।
34.হার্বস্ বা বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব উদ্ভিদ ছোটো ছোটো, ডালপালা প্রায় নেই। কখনো-কখনো লতিয়ে বা পেঁচিয়ে চলে। এদের বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ বা হার্বস্ বলে। যেমন-কুমড়ো,লাউ ইত্যাদি।
35.শ্রাবস্ বা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব উদ্ভিদ খুব বেশি লম্বা হয় না, তবে অনেক ডালপালা আছে। ঝোপের মতো দেখতে লাগে। এদের বলে গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ বা শ্রাবস্।যেমন-গোলাপ,জবা ইত্যাদি।
36.ট্রি বা বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব উদ্ভিদ লম্বা, যাদের মোটা কাঠের গুঁড়ি ও অনেক ডালপালা আছে, তাদের বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ বা ট্রি বলে। যেমন-আম,জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।
37.আচরণ বিজ্ঞান কাকে বলে? দুজন আচরণ বিজ্ঞানীর নাম লেখ।
উঃ 👉জীবজন্তু, পোকামাকড়দের আচার-আচরণ বিজ্ঞানীরা খুঁটিয়ে দেখেন গবেষণা করার জন্য। এই ধরণের গবেষণাকে বলে আচরণ বিজ্ঞান।
👉 দুজন আচরণবিজ্ঞানী হলেন ইংল্যান্ডের চার্লস ডারউইন এবং ফ্রান্সের জঁ আঁরি ফ্যাবা।
38. চার্লস ডারউইন কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন? শুঁয়োপোকার আচরণ নিয়ে কে গবেষণা করেন?
উঃ 👉চার্লস ডারউইন পোকামাকড় নিয়ে গবেষণা করেন।
👉শুঁয়োপোকার আচরণ নিয়ে গবেষণা করেন জঁ আঁরি ফ্যাবা।
39. চার্লস ডারউইন ও ফ্যাবার উত্তরসূরি তিনজন বিজ্ঞানীর নাম লেখ।
উঃ চার্লস ডারউইন ও ফ্যাবার উত্তরসূরি তিনজন বিজ্ঞানী হলেন নিকো টিনবারজেন, কনরাড লোরেঞ্জ,কার্ল ফন ফ্রিশ।
40. নিকো টিনবারজেন কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন?
উঃ নিকো টিনবারজেন পাখিদের বোকামি নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি দেখান যে হেরিং গাল নামক পাখিরা মাটিতে ডিম পাড়ে ও তা দেয়।
41.হাঁস নিয়ে কে গবেষণা করেন? মৌমাছির নাচের ভাষা নিয়ে কে গবেষণা করেন?
উঃ 👉হাঁস নিয়ে গবেষণা করেন কনরাড লোরেঞ্জ।
👉মৌমাছির নাচের ভাষা নিয়ে গবেষণা করেন কার্ল ফন ফ্রিশ।
42. ভারতীয় পাখিদের আচার-আচরণ নিয়ে কে গবেষণা করেন? বোলতাদের নিয়ে কে গবেষণা করেন?
উঃ 👉ভারতীয় পাখিদের আচার-আচরণ নিয়ে গবেষণা করেন সেলিম আলি।
👉বোলতাদের নিয়ে গবেষণা করেন বিঞ্জানী রাঘবেন্দ্র গাডাগকার।
43. এম.কে চন্দ্রশেখর ও রতনলাল কোন কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন?
উঃ 👉এম.কে চন্দ্রশেখর বাঁদুড় নিয়ে গবেষণা করেন।
👉 রতনলাল ব্রক্ষ্মচারী গবেষণা করে দেখান যে বাঘেরা কিভাবে মুত্রের মধ্যে গন্ধ মিশিয়ে নিজের এলাকা চিহ্নিত করে।
44.শিম্পাঞ্জীদের আচরণ নিয়ে কে গবেষণা করেন?
উঃ জেন গুডাল।
45.বাংলার পোকামাকড়দের আচার-আচরণ নিয়ে কে গবেষণা করেন? তাঁর লেখা বইটির নাম কি?
উঃ 👉বাংলার পোকামাকড়দের আচার-আচরণ নিয়ে গবেষণা করেন গোপালকৃষ্ণ ভট্টাচার্য।
👉 তাঁর লেখা বইটির নাম ‘বাংলার কীটপতঙ্গ’।
46.সমাজবদ্ধ জীব কাদের বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব জীব একসঙ্গে দল বেঁধে বসবাস করে তাদের সমাজবদ্ধ জীব বলে। যেমন-পিঁপড়ে, মৌমাছি, উইপোকা ইত্যাদি।
47.পিঁপড়েদের পরিবার সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উঃ বিজ্ঞানীরা বলেন পিঁপড়ে সমাজে এক রানি, রানির অসংখ্য দাসী, সৈন্য আর শ্রমিক নিয়ে এক একটা পরিবার। দাসী, সৈন্য আর শ্রমিক সবাই কিন্তু আসলে রানির মেয়ে। পিঁপড়ের পরিবারে পুরুষের সংখ্যা বা গুরুত্ব খুবই কম।
48.লাল পিঁপড়ে ও কালো পিঁপড়ের তুলনামূলক আলোচনা করো।
উঃ বিজ্ঞানীরা বলেন পিঁপড়ের দলে লাল পিঁপড়ের দল হলো মনিব আর কালো পিঁপড়ের দল হলো তাদের সেবক। লাল পিঁপড়েরা যুদ্ধে পটু। তুলনায় কালো পিঁপড়েরা অনেক বেশি বুদ্ধিমান। কঠোর পরিশ্রমীও বটে। লাল পিঁপড়েদের মধ্যে মাঝে মাঝেই খাবার মজুত করার চাপ বেড়ে যায়। তখন কালো পিঁপড়েদের সঙ্গে যুদ্ধ বাধায়। কালো পিঁপড়েরা হেরে গিয়ে মারা যায়।
49.কোন্ পিঁপড়ে হেরে গেলে মারা যায়? যাযাবর পিঁপড়ে কোথায় দেখা যায়?
উঃ 👉কালো পিঁপড়েরা হেরে গিয়ে মারা যায়।
👉যাযাবর পিঁপড়ে গরমের দেশে দেখা যায়।
50.কোন্ পিঁপড়ে মাটি গর্ত করে বাসা বানায়? চাষী পিঁপড়ের প্রিয় খাবার কী?
উঃ 👉 চাষি পিঁপড়েরা মাটিতে গর্ত করে বাসা বানায়।
👉চাষী পিঁপড়ের প্রিয় খাবার হলো একধরনের সাদা রঙের ছত্রাক।
51.উইপোকার প্রধান খাবার কী? উইপোকারা গর্তের বাইরে ঘুরে বেড়ায় না কেন?
উঃ 👉 উইপোকার প্রধান খাবার হলো সেলুলোজ নামক শর্করা বস্তু। উইপোকার পেটে একরকম জীবাণু থাকে যা সেলুলোজ হজম করতে পারে।
👉উইদের গায়ে অন্য পোকাদের মতো কোনো শক্ত খোলা থাকে না। ফলে, বেশিক্ষণ রোদ তাপ লাগলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে শরীর শুকিয়ে যায়। উইরা তাই গর্তের বাইরে এসে ঘুরে বেড়ায় না। কোথাও যেতে গেলে সুড়ঙ্গ বানাতে বানাতে তার মধ্য দিয়ে যায়।
52.নেকটার কী? মৌচাক কাকে বলে?
উঃ 👉 ফুলের মিষ্টি রসকে বলে নেকটার।
👉 মৌমাছির বাসাকে মৌচাক বলে।
53.রানী মৌমাছির কাজ কী? শ্রমিক মৌমাছির কাজ কী?
উঃ 👉 রানী মৌমাছির কাজ কেবল ডিম পাড়া।
👉 শ্রমিক মৌমাছির কাজ হলো-ফুলের মধু সংগ্ৰহ করা, মৌচাক তৈরি করা, রানী মৌমাছির দেখাশোনা করা ইত্যাদি।
54.পৃথিবীতে মোট কত জাতের মৌমাছি আছে? আমাদের দেশে মোট কত জাতের মৌমাছি আছে?
উঃ 👉 পৃথিবীতে বড়োজোর দশ-এগারো জাতের মৌমাছির খবর জানা আছে।
👉আমাদের দেশে আছে তিন-চার জাতের মৌমাছি।
55.কোন্ মহাদেশে কোনো মৌমাছি ছিল না? কারা সেখানে মৌমাছি এনেছিল?
উঃ 👉আমেরিকা মহাদেশে কোনো মৌমাছি ছিল না।
👉ইউরোপের মানুষ প্রথম সেখানে মৌমাছিদের নিয়ে গিয়েছিল।
56.স্থলভাগের সবচেয়ে বড় প্রাণী কোনটি? ভারতীয় হাতির ওজন ও উচ্চতা কত?
উঃ 👉স্থলভাগের সবচেয়ে বড় প্রাণী হলো হাতি।
👉 ভারতবর্ষে যে হাতিরা থাকে তাদের একেকটার ওজন কম করে দু-হাজার কিলোগ্রাম, মাটি থেকে মাথা পর্যন্ত এগারো ফুট উঁচু হতে পারে।
57.হাতি শুঁড় দিয়ে কী কী কাজ করে?
উঃ উপরে তুলে বাতাসে গন্ধ শোঁকা, গাছের ডাল মড়মড় করে ভাঙা, জল শুষে মুখে ঢালা, ঘাস ছিঁড়ে মাটি ঝেড়ে মুখে পোরা- ইত্যাদি কাজে লাগে হাতির শুঁড়। এমনকি মাটিতে যদি ছোট্ট একটা ফল পড়ে থাকে সেটাও শুঁড়ের ডগা দিয়ে তুলতে অসুবিধা হয় না হাতিদের।
58.জীবজগতে কোন্ প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সবচেয়ে বেশি মিল আছে? শিম্পান্জি কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
উঃ 👉জীবজগতে শিম্পান্জির সঙ্গে মানুষের সবচেয়ে বেশি মিল আছে।
👉 আফ্রিকার জঙ্গলে শিম্পান্জি দেখতে পাওয়া যায়।
59.বর্তমানে শিম্পান্জির সংখ্যা কমে যাচ্ছে কেন?
উঃ চোরাশিকারির উপদ্রব আর শিম্পাঞ্জিদের বাসস্থানের জঙ্গল কমে যাওয়ায় শিম্পাঞ্জিদের সংখ্যা খুব কমে আসছে।
60.শিম্পাঞ্জি কী কী খায়?
উঃ শিম্পাঞ্জিরা শাকপাতা-ফলমূলই বেশি খায়। কিন্তু মাঝে মাঝে উইপোকা বা ছোটোখাটো হরিণ শিকার করেও খেয়ে থাকে।
61.পরিযায়ী পাখি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব পাখি শীত পড়লে শীতের দেশ থেকে গরমের দেশে চলে আসে। শীত কাটলে আবার সেখানে ফিরে যায় তাদের বলে পরিযায়ী পাখি। যেমন-বুনো হাঁস,খঞ্জনা পাখি,কাজল পাখি ইত্যাদি।
62.পরিযায়ী পাখিরা কোথা থেকে ভারতে আসে? কোন্ পাখি লেজ উঁচিয়ে ঘুরে বেড়ায়? কোন্ পাখি মাঠে বা কুল গাছে শিকারের জন্য চুপ করে বসে থাকে?
উঃ 👉অনেক পরিযায়ী পাখি আছে যারা শীতের সময় তিব্বত, ভুটান, লাদাখ-হিমালয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চল, যেখানে খুব শীত পড়ে, বরফে ঢেকে যায়, খাবারদাবার মেলা মুশকিল-সেখান থেকে আমাদের সমতলের দেশে নেমে আসে।
👉 খঞ্জনা পাখি লেজ উঁচিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
👉কাজল পাখি মাঠে বা কুল গাছে শিকারের জন্য চুপ করে বসে থাকে।
63.ঝাড়ুদার পাখি কাকে বলে? একটি বুদ্ধিমান পাখির নাম লিখো।
উঃ 👉 কাককে ঝাড়ুদার পাখি বলে।
👉একটি বুদ্ধিমান পাখি হলো কাক।
64.পৃথিবীতে মোট কত জাতের কাক আছে? পাতিকাক ও দাঁড়কাকের পার্থক্য কি?
উঃ 👉 সারা পৃথিবীতে চল্লিশটারও বেশি জাতের কাক আছে।
👉পাতিকাক-এর ডানা, লেজ, গলা, মাথা, ঠোঁট চকচকে কালো, কিন্তু ঘাড় আর পেট ছাই-ছাই ধূসর রং-এর। দাঁড়কাকের পুরো শরীর কুচকুচে কালো, চেহারাতেও পাতিকাকের থেকে বড়োসড়ো।
65.আমাদের দেশে কত জাতের কাক দেখা যায় ও কী কী?
উঃ আমাদের দেশে আমরা দুটো জাতকে খুব দেখি। পাতিকাক আর দাঁড়কাক।
66.মশা কি খায়?
উঃ পুরুষ মশা গাছের রস এবং স্ত্রী মশা প্রাণীর রক্ত খায়।
67.কোন্ কোন্ মশা ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও ডেঙ্গি রোগ ছড়ায়?
উঃ স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া,ইডিস মশা ডেঙ্গি এবং কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া রোগ ছড়ায়।
68.কোন্ মশা ওড়ার সময় আওয়াজ করে? কোন্ মশা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে?
উঃ 👉অ্যানোফিলিস মশা ওড়ার সময় আওয়াজ করে।
👉স্ত্রী অ্যানোফিলিস ও ইডিস মশা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে।
69.কোন্ মশা দিনের বেলায় কামড়ায়? কোন্ মশা গভীর রাতে কামড়ায়?
উঃ 👉ইডিস মশা দিনের বেলায় কামড়ায়।
👉 কিউলেক্স মশা গভীর রাতে কামড়ায়।
70.একটি জলচর প্রাণীর নাম লেখো। মাছ কীসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
উঃ 👉 একটি জলচর প্রাণী হলো মাছ।
👉মাছ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
71.তেলাপিয়া মাছ কীভাবে বাসা তৈরি করে?
উঃ তেলাপিয়া জলের নীচে নরম মাটিতে লম্বা করে অনেকগুলো খাঁজ কাটে। তারপর সেখানে বাসা বানায়। আর বাবা তেলাপিয়া ওপর থেকে পাহারা দেয়।
72.কোন্ মাছের লেজের কাছে একটি বিশেষ থলি থাকে? একটি রঙিন মাছের নাম লেখ। কোন্ মাছকে অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়?
উঃ 👉 সী হর্স নামক মাছের লেজের কাছে একটি বিশেষ থলি থাকে।
👉একটি রঙিন মাছ হলো প্যারাডাইস মাছ।
👉প্যারাডাইস মাছকে অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়।
73.কোন্ মাছ বায়ুর বুদবুদ দিয়ে বাসা তৈরি করে? বিপদের সময় মাছেরা কী করে?
উঃ 👉প্যারাডাইস মাছ বায়ুর বুদবুদ দিয়ে বাসা তৈরি করে।
👉 মাছরা বিপদে পড়লে গা থেকে একটা অদ্ভুত গন্ধ ছড়ায়। টের পেলে অন্যান্য মাছরা সতর্ক হয়ে যায়। আর বিপদ বুঝে জলের মধ্যে ছোটাছুটি করে।
74.কয়েকটি বিষধর সাপের নাম লেখ।
উঃ কালাচ বা ডোমনাচিতি, চন্দ্রবোড়া, কেউটে, গোখরো, শঙ্খচূড়, শাঁখামুটি ইত্যআদই।
75.কোন্ সাপের বিষ নেই?
উঃ মেটুলি ও ডোরা সাপের কোনো বিষ নেই।
76.সাপ তার মুখের চেয়েও বড়ো ইঁদুর বা পাখি শিকার করতে পারে কেন?
উঃ সাপের মাথার হাড় এমনভাবে সাজানো যে সাপ চোয়াল দুটোকে দু-পাশে ছড়িয়ে বিশাল হাঁ করতে পারে। তাই সাপ নিজের মুখের থেকেও বড়ো ইঁদুর বা পাখি শিকার করে গিলতে পারে।
77.সাপ তার বিষকে কীভাবে কাজে লাগায়?
উঃ বিষাক্ত সাপরা বিষকে শিকার মারতে ও হজম করতে কাজে লাগায়।
78.সাপের বিষ প্রাণীর কোথায় আঘাত করে?
উঃ সাপের বিষ শিকারের স্নায়ুতন্ত্রে ও রক্তসংবহনতন্ত্রে আঘাত করে।
79.সাপ মানুষকে কাঁমড়ায় কেন?
উঃ সাপ মানুষের সামনে পড়ে নিজেকে বিপদগ্রস্ত মনে করলে প্রথমে ভয় দেখিয়ে সতর্ক করে। যেমন কেউ জোরে নিশ্বাস ছাড়ে, হিসহিস শব্দ করে বা কেউ বা ফণা তোলে বা লেজের প্রান্ত নাড়ায়। তারপর বাঁচার রাস্তা না পেয়ে মানুষকে কাঁমড়ায়।
80.বাঘের চোঁয়ালে যে ধারালো দাঁত থাকে তার নাম কি? এদের দর্শন ও শ্রবণ শক্তি কেমন?
উঃ 👉 ক্যানাইন বা শ্বদন্ত দাঁত।
👉এদের দর্শন ও শ্রবণ শক্তি প্রখর।
81.বাঘের দর্শন শক্তি প্রখর হয় কেন? বাঘ কি কি খায়?
উঃ 👉 বাঘের চোখের রেটিনায় ট্যাপেটাম লুসিডাম নামে একরকম বস্তু থাকে।তাই বাঘ অল্প আলোতেও মানুষের চেয়ে ছয়গুন ভালো দেখতে পায়।
👉হরিণ আর শুয়োরের মাংস এদের খুব প্রিয় খাদ্য। সুন্দরবনের বাঘ, কাঁকড়া, মাছ, গোসাপ পর্যন্ত খায়।
82.সুন্দরবনের বাঘের বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?
উঃ সুন্দরবনের বাঘের গায়ের চামড়া হালকা হলুদ থেকে লালচে হলুদ রং-এর হয়। আর এর গায়ে ডোরাকাটা কালো দাগ থাকে আঙুলের ছাপের মতো। ত্বকের এই বৈশিষ্ট্যের জন্য এদের বাদাবনের হেঁতাল গাছে লুকিয়ে থাকতে সুবিধা হয়।
83.বাঘ কোন্ সময়ে শিকার করে? বাঘিনী কীভাবে তার বাচ্ছাদের লালন পালন করে?
উঃ 👉সাধারণত সূর্যাস্ত থেকে গোধূলির মধ্যেকার সময়ে বাঘ শিকার করে।
👉বাঘ ও বাঘিনি দুজনেই হিংস্র। কিন্তু সন্তান পালনের ব্যাপারে বাঘিনির স্নেহ-শাসন লক্ষ করার মতো। বাচ্চা দেওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করা জায়গা তৈরি করে। বাচ্চা দেওয়ার পর তাদের কাছে সমস্ত দিন ঠায় বসে থাকে। অনেক সময় পাহারা দিতে। গিয়ে নিজের খাওয়া পর্যন্ত হয় না। কিন্তু ওর বাসা যদি কেউ চিনে ফেলে তবে বাঘিনি সঙ্গে সঙ্গে নতুন বাসা খুঁজে চলে যায়। বাসা বদলের সময় যদি কোনো প্রাণী বা মানুষ তার মুখোমুখি হয় তবে, তার মৃত্যু নিশ্চিত।
84.বাঘিনী কীভাবে তার বাচ্ছাদের শিকার ধরা শেখায়?
উঃ বাচ্চারা একটু বড়ো হলে বাঘিনি তাদের শিকার শেখাতে নিয়ে যায়। প্রথম প্রথম শিকার করা প্রাণীর মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেতে দেয়। দাঁত বসিয়ে কীভাবে মাংস ছিঁড়ে খেতে হয় তাও শেখায়। তারপর একসময় একটা আধমরা প্রাণীকে বাচ্চাদের কাছে নিয়ে এসে তার থেকে দাঁত দিয়ে মাংস ছিঁড়তে শেখায়।
85.পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো প্রাণী কোনটি? তিমি কোন্ জাতীয় প্রাণী?
উঃ 👉 পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো প্রাণী হলো নীল তিমি। তিমির গায়ে কেবল মাথার সামনে নাকের জায়গায় অংশে কিছু লোম থাকে।
👉 তিমি স্তন্যপায়ী সামুদ্রিক প্রাণী।
86.ব্লাবার কি? এর কাজ কী?
উঃ 👉তিমির চামড়ার নীচে চর্বির একটা পুরু স্তর থাকে যার নাম ব্লাবার (Blubber)।
👉এই চর্বির স্তর দু-ভাবে তিমিদের সাহায্য করে প্রয়োজনে চলাফেরার শক্তি জোগান দেওয়া আর দেহের তাপ বজায় রাখা।
87.ফ্লিপার কি? এর কাজ কী? তিমি কীসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
উঃ 👉তিমিদের পূর্বপুরুষদেরও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতোই দুটো হাত আর পা ছিল। জলের জীবনে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ওদের হাতদুটো পরিণত হয়েছে সাঁতার কাটার অঙ্গ ফ্লিপারে।(তিমির সাঁতার কাটার অঙ্গকে ফ্লিপার বলে।)
👉ফ্লিপার সাঁতার কাটতে সাহায্য করে।
👉তিমি ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
88.ব্লোহোল কী? তিমির নিঃশ্বাস বায়ুর উচ্চতা কত?
উঃ 👉 তিমির মাথার উপর যে দুটি নাকের ফুটো থাকে তাকে ব্লোহোল বলে।এর সাহায্যে তিমি খুব জোরে নিঃশ্বাস ছাড়ে।
👉তিমির নিঃশ্বাস বায়ুর উচ্চতা প্রায় ১০-৪০ ফুট।
89.তিমি কখনোই পুরো পুরি ঘুমোয় না কেন? তিমির দৈর্ঘ্য ও ওজন কত?
উঃ 👉 আমরা তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও শ্বাস-প্রশ্বাস চালাই। কিন্তু জলের মধ্যে তিমির সে সুবিধে নেই। তাই তিমিরা কখনোই পুরোপুরি ঘুমোয় না। তিমিরা যখন বিশ্রাম নেয়, তখন তাদের মস্তিষ্কের একটা অংশ জেগে থাকে অন্য অংশটা ঘুমোয়।
👉একটা নীল তিমির ওজন তিরিশটা হাতির ওজন বা 2000 মানুষের ওজনের প্রায় সমান। জন্মের সময় এরা লম্বায় 7 মিটার হয় আর ওজনে আড়াই হাজার কেজি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা পূর্ণবয়স্ক নীল তিমি প্রায় 30 মিটার লম্বা আর ওজনে প্রায় দেড় লক্ষ কেজি হয়।
90.তিমি কি খায়? কোন প্রাণী সুরেলা গানের সাহায্যে যোগাযোগ রক্ষা করে? কোন্ প্রাণীর আওয়াজ জেট ইঞ্জিনের চেয়েও জোরালো?
উঃ 👉দিনে এরা প্রায় তিন থেকে চার হাজার কেজি ছোটো চিংড়ি জাতীয় প্রাণী ক্রিল খায়।
👉হাম্পব্যাক তিমি সুরেলা গানের সাহায্যে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে।
👉নীল তিমির আওয়াজ একটা জেট ইঞ্জিনের আওয়াজের চেয়েও জোরালো।
91.বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও?
উঃ অপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিস পরিবেশে জঞ্জাল সৃষ্টি করে তাদের বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন-প্ল্যাষ্টিক, কাঁচের টুকরো, সবজির খোসা ইত্যাদি।
92.জৈব ভঙ্গুর ও জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ 👉 চারিদিকে ফেলে দেওয়া জিনিসের মধ্যে যেগুলো খুব তাড়াতাড়ি মাটিতে মিশে যায় তাদের বলে বায়োডিগ্ৰেডেবল বা জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ। যেমন-পচা সবজি,ফলের খোসা ইত্যাদি।
👉দীর্ঘদিন মাটিতে থাকার পরেও যেগুলোর কোনো রকম পরিবর্তন হয় না তাদের বলে নন্-বায়োডিগ্ৰেডেবল বা জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ। যেমন-প্ল্যাস্টিক, কাঁচের টুকরো ইত্যাদি।
93.পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ কিছু কিছু বর্জ্য পদার্থ আছে যাদের পুনরায় ব্যবহার করা যায় তাদের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন-ফেলে দেওয়া লোহা গলিয়ে নতুন জিনিস তৈরি করা,কলমের রিফিল ইত্যাদি।
94.বাড়ি থেকে এবং পৌরসভা বা পঞ্চায়েতের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া একটি করে বর্জ্যপদার্থের নাম লেখ।
উঃ👉 বাড়ি থেকে পাওয়া বর্জ্যপদার্থ হলো খালি বোতল।
👉পুরসভা/পঞ্চায়েতের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া বর্জ্যপদার্থ হলো ভাঙা লাইট।
95.কারখানা থেকে তৈরি বর্জ্য ও ব্যবসা থেকে তৈরি বর্জ্য পদার্থের দুটি করে নাম লেখ।
উঃ 👉কারখানা থেকে তৈরি বর্জ্য পদার্থ হলো নানারকম রাসায়নিক পদার্থ, তেল ইত্যাদি।
👉ব্যাবসা থেকে তৈরি বর্জ্য পদার্থ হলো প্যাকেট, কাঠের গুঁড়ো ইত্যাদি।
96.স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কি কি বর্জ্য পদার্থ পাওয়া যায়? বাড়ি তৈরি করার সময় কি কি বর্জ্য পদার্থ পাওয়া যায়?
উঃ 👉স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া বর্জ্য পদার্থ হলো ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, তুলো, গ্লাভস, প্লাস্টার ইত্যাদি।
👉বাড়ি তৈরি করার সময় উদ্ভূত বর্জ্য পদার্থ হলো পাইপের টুকরো, প্লাস্টিক, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি।
97.চাষের জমি এবং বাজার থেকে কি কি বর্জ্য পদার্থ পাওয়া যায়?
উঃ 👉 চাষের জমি থেকে পাওয়া বর্জ্য পদার্থ হলো ডিডিটি।
👉বাজার থেকে পাওয়া বর্জ্য পদার্থ পচা সবজি।
98.4R-সম্পূর্ণ কথাটি কি?
উঃ 4R পুরো কথাটি হলো-Reduce(কমিয়ে আনা), Refuse(প্রত্যাখ্যান করা), Reuse(পুনর্ব্যবহার), Recycle((আবার কাজে লাগানো)
99.4R-পদ্ধতি কাকে বলে?
উঃ আমাদের চারপাশে পড়ে থাকা নানাধরনের বর্জ্যকে আবার ব্যবহার করতে হবে। আর তার জন্য চাই সুপরিকল্পনা। এব্যাপারে যে পদ্ধতির সাহায্য আমরা নিতে পারি তাকে 4R (Reduce, Refuse, Reuse, Recycle) পদ্ধতি বলে ।
100.4R-পদ্ধতিটি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উঃ 👉4R-পদ্ধতি:
কমিয়ে আনা ( Reduce ) : যেসব বর্জ্য পরিবেশে জঞ্জাল বাড়ায়, সেগুলির ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারি।যেমন প্লাস্টিক ব্যাগ,
আবার কাজে লাগানো (Reuse) : ব্যবহার করা বর্জ্য ফেলে না দিয়ে আবার কাজে লাগানো। যেমন তরকারির খোসা।
পুনর্ব্যবহার (Recycle) : ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে নতুন কাজের জিনিস তৈরি করা।পুরোনো লোহা গলিয়ে ধাতুর নতুন কিছু জিনিস তৈরি করা।
প্রত্যাখ্যান করা (Refuse) : সুস্থ পরিবেশের জন্য আমরা কিছু জিনিস কিছুতেই ব্যবহার করব না।যেমন প্লাসটিক ব্যাগ।
🙂🙂🙂🙂🙂🙂