📚বাংলা মেজর Sec সাজেশন:1st Semester 📚
✍️ প্রশ্নের মান-৫/১০:
1.ব্যাকরণ কাকে বলে? ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব লেখ।
উঃ 👉‘ব্যাকরণ’ (বি+আ+কৃ+অন) শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশ্লেষণ। ভাষা বিশ্লেষণ করাই ব্যাকরণের কাজ। যে শাস্ত্রে কোনো ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচিত হয়, তাকে ব্যাকরণ বলে।
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, যে শাস্ত্রে কোনো ভাষাকে বিশ্লেষণ করে তার স্বরূপ, প্রকৃতি ও প্রয়োগরীতি বুঝিয়ে দেওয়া হয়, সে শাস্ত্রকে বলে সে ভাষার ব্যাকরণ।
👉ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা: পৃথিবীর প্রতিটি ভাষা একটি শৃঙ্খলা ও নিয়মবিধির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ভাষার এ নিয়মবিধি জানার জন্যই ব্যাকরণ পাঠ অপরিহার্য। একটা ভাষা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করার জন্যই সে ভাষার ব্যাকরণ জানতে হবে। ব্যাকরণ পাঠ করে ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় এবং সেগুলোর সুষ্ঠু ও সঠিক ব্যবহার বা প্রয়োগবিধি সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করা যায়। এ ছাড়া ব্যাকরণ জানা
2.অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য লেখ।
উঃ 👉অবিভাজ্য ধ্বনি:
প্রতিটি ভাষায় কিছু ধ্বনি-উপাদান থাকে, যেগুলিকে স্বাভাবিক বা কৃত্রিম কোনােভাবেই বিভক্ত বা খণ্ডিত করা যায় না এবং সেগুলি একাধিক ধ্বনিখণ্ড জুড়ে অবস্থান করে। এরাই অবিভাজ্য ধ্বনি। অবিভাজ্য ধ্বনি মূলত চারপ্রকার-
শ্বাসাঘাত : একাধিক দল (Syllable) যুক্ত শব্দের কোনাে একটি দলকে যদি অপেক্ষাকৃত বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করা যায়, তবে তাকে বলা হয় শ্বাসাঘাত। শ্বাসাঘাত পুরাে দল জুড়েই হয় বলে তা অবিভাজ্য ধ্বনি। যেমন 'মাখন', 'শব্দ' শব্দের 'মা' এবং 'শ’ দলে শ্বাসাঘাত পড়েছে।
স্বরদৈর্ঘ্য : দলের অন্তর্গত স্বরধ্বনির উচ্চারণগত দৈর্ঘ্যের রেশ কম ঘটে। এটাই স্বরদৈর্ঘ্য। যেমন, বাংলায় বহুদল শব্দের প্রতিটি দলের অন্তর্গত স্বরধ্বনির তুলনায় একদল শব্দের স্বরের দৈর্ঘ্য বেশি। ফলে একদল শব্দের দৈর্ঘ্যও বেশি। যেমন আমার শব্দের [আ]-এর চেয়ে 'আখ' শব্দের [আ] বেশি দীর্ঘ।
যতি : কথা বলার সময় শব্দমধ্যে দলশেষে বা শব্দশেষে এবং বাক্যমধ্যে বা বাক্যশেষে যে বিরতি নেওয়া হয়, তাই-ই হল যতি। যেমন—'রহিম একা। দশজনকে চ্যালেঞ্জ করছে' এবং 'রহিম একাদশজনকে চ্যালেঞ্জ করছে'—এ দুইয়ের প্রথম বাক্যে একা-এরপর আমরা যতি ব্যবহার করি কিন্তু একাদশজনকে-এর পরে নয়।
সুরতরঙ্গ : বাক্যমধ্যে সুরের ওঠাপড়াকে বলে সুরতরঙ্গ। যেমন বিবৃতিবাক্য বা নির্দেশক বাক্য হল—রাম যায়। এবং প্রশ্নবােধক বাক্য হল—“রাম যায় ?
এই দুই বাক্যের সুরের ওঠাপড়া হল
রাম যায়।—বিবৃতিবাক্য
রাম যায় ?—প্রশ্নবােধক বাক্য
👉ধ্বনি ও বর্ণের ৫টি পার্থক্য:
ধ্বনি ও বর্ণ বলতে অনেকে একই জিনিস বোঝেন। আসলে কিন্তু তা নয়। ধ্বনি ও বর্ণ পরস্পরের পরিপূরক, কিন্তু অভিন্ন নয়। নিচে আমরা ধ্বনি বর্ণের পার্থক্যগুলি দেখে নেবো।
১: ধ্বনি কানে শোনা যায়। বর্ণকে চোখে দেখা যায়।
২: ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগ্যন্ত্রে। বর্ণকে অঙ্কন করা হয়।
৩: ধ্বনি এক ধরনের আওয়াজ-সংকেত। বর্ণ এক ধরনের চিত্র-সংকেত।
৪: ধ্বনি ক্ষণস্থায়ী। বর্ণ দীর্ঘস্থায়ী।
৫: ধ্বনি হল ভাষার প্রাথমিক উপাদান। বর্ণ হল ভাষার একটি বিকল্প উপাদান।
3.স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির পার্থক্য লেখ।
উঃ 👉 স্বর ও ব্যঞ্জনের পার্থক্য:
১: স্বরধ্বনিগুলি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই উচ্চারিত হতে পারে। ব্যঞ্জনধ্বনিগুলি স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না।
২: স্বরধ্বনিকে যতক্ষণ দম থাকে, ততক্ষণ ধরে উচ্চারণ করা যায়, অর্থাৎ টেনে উচ্চারণ করা যায় বা দীর্ঘায়িত করা যায়। ব্যঞ্জনধ্বনিকে টেনে উচ্চারণ করা যায় না ।
৩: স্বরধ্বনিকে উচ্চারণ করার সময় শ্বাসবায়ুকে কোথাও বাধা পেতে হয় না। ব্যঞ্জনের ক্ষেত্রে শ্বাসবায়ুকে বাগ্যন্ত্রের কোথাও না কোথাও কম-বেশি বাধা পেতে হয়।
৪: স্বরধ্বনির সংখ্যা কম হয়। ব্যঞ্জন ধ্বনির সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বর মাত্র সাতটি। অন্য দিকে ব্যঞ্জন ৩০টি।
4.পদ কাকে বলে? পদ কয় প্রকার ও কি কি উদাহরণ সহ সংজ্ঞা দাও।
উঃ 👉 পদ :- বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত অর্থপূর্ণ শব্দকে পদ বলা হয়। বিভক্তিযুক্ত শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন সেটি পদ। বাক্যে ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে শব্দ না বলে পদ বলাই ভালো।
যেমন – আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। এই বাক্যে চারটি শব্দ আছে – ‘আমি’ ‘নবম’ ‘শ্রেণি’ এবং ‘পড়ি’। এই বাক্যে পদও আছে চারটি – আমি, নবম, শ্রেণিতে, পড়ি।
👉পদের শ্রেণীবিভাগ :- পদ প্রধানত দুই প্রকার –
(ক) নাম পদ
(খ) ক্রিয়াপদ
নামপদ চার ভাগে বিভক্ত। যথা – বিশেষ্য পদ, বিশেষণ পদ, সর্বনাম পদ ও অব্যয় পদ। অর্থাৎ পদ পাঁচ প্রকার – বিশেষ্য পদ, বিশেষণ পদ, সর্বনাম পদ, অব্যয় পদ ও ক্রিয়াপদ।
(ক) নাম পদ :- শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে যে পদ গঠিত হয় তাকে নাম পদ বলে।
উদাহরন :– আকাশে অসংখ্য তারা জ্বলজ্বল করছে। এখানে আকশ হল একটি শব্দ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘এ ‘ বিভক্তি। এর ফলে নাম পদ তৈরি হয়েছে।
(খ) ক্রিয়াপদ :-
যে পদ দ্বারা কোন কাজ করা, সম্পন্ন হওয়া ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
উদাহরন :- পড়ছে, খেলছে, কাঁদছে ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদ:
বিশেষ্য পদ কোনো কিছুর নামকে নির্দেশ করে।
যেমন – রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি। এখানে রবীন্দ্রনাথ বিশেষ্য পদ। কারণ, এই শব্দটি দ্বারা কারো নাম বোঝানো হয়েছে। যে পদ কোনো বস্তু, ব্যক্তি, গুণ, জাতি বা ক্রিয়ার নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে।
বিশেষণ পদ :-
বিশেষণ পদ অন্য পদগুলির আগে বসে ওই পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদিকে বোঝায়।
যেমন – জোরে দৌড়াও। এখানে দৌড়ানো ক্রিয়াপদকে নির্দেশ করছে ‘জোরে’ পদটি। এখানে ‘জোরে’ বিশেষণ পদ।
বিশেষণ পদের সংজ্ঞা :- যে পদ বিশেষ্য, (বিশেষণ), অব্যয়, সর্বনাম, ক্রিয়া ইত্যাদি পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, সংখ্যা ইত্যাদি নির্দেশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে।
যেমন – অনেক, ছোটো, জটিল, অল্প, ভালো ইত্যাদি।
সর্বনাম পদ:
সংজ্ঞা :- বাক্যের মধ্যে কোনো নাম বা ওই জাতীয় কোনো পদের পরিবর্তে বা পূর্বে লিখিত প্রসঙ্গের পুনরুক্তি না করে যে সব পদ ব্যবহার করা হয় তাদের সর্বনাম বলে।
যেমন – আমি, তুমি, সে, ইহা, তিনি, কে, কাহারা, কেউ কেউ, কোনো কিছু প্রভৃতি।
অব্যয় পদ :-
অব্যয় – এই নামটি বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝতে পারি কথাটির ভিতরেই এর অর্থ লুকিয়ে রয়েছে। যার ব্যয় নেই সেই হল অব্যয়। তাই পদটি বিকারহীন।
উদাহরণ -এবং, কিন্তু ইত্যাদি।
সংজ্ঞা :- লিঙ্গ, বচন, পুরুষ ও বিভক্তি ভেদে যেসব পদের কোনো পরিবর্তন ঘটে না তাদের বলে অব্যয়।
ক্রিয়াপদ:
ক্রিয়ার অর্থ কাজ করা। ক্রিয়াপদ বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি বাক্য ক্রিয়াপদ ছাড়া গঠিত হয় না। তবে বিভিন্ন বাক্যে ক্রিয়াপদ উহা অবস্থায় থাকতে পারে।
সংজ্ঞা :- যে সকল পদের দ্বারা কাজ করা বোঝায় তাই হল ক্রিয়াপদ।
বাক্যমধ্যস্থ ক্রিয়াপদের অবস্থানগত বিচারে ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় – (ক) সমাপিকা ক্রিয়া এবং (খ) অসমাপিকা ক্রিয়া।
বাক্যমধ্যস্থ অন্য পদের সঙ্গে সম্বন্ধ বিচারে ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা – (ক) সকর্মক ক্রিয়া এবং (খ) অকর্মক ক্রিয়া।
5.সন্ধি কাকে বলে? সন্ধি ও সমাসের পার্থক্য লেখ।
উঃ 👉 সন্ধি: দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দু‘ বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে।
যেমন, সিংহাসন = সিংহ + আসন
সমাস: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে ।
যেমন, বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন
👉সন্ধি ও সমাসের দৃষ্টান্তসহ পাঁচটি মূল পার্থক্য নিচে দেয়া হলোঃ
১. পরস্পর সন্নিহিত দু বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে ।
যেমন, বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয় ।
পরস্পর অর্থ সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে । যেমন, সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন ।
২. সন্ধি তিন প্রকার।
যথাঃ স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জন্সন্ধি ও বিসর্গ সন্ধি ।
সমাস ছয় প্রকার। যথাঃ দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, দ্বিগু ও অব্যয়ীভাব সমাস ।
৩. সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়।
সমাস ব্যাকরণের রুপতত্ত্বে আলোচিত হয়।
৪. সম্পর্ক শূন্য হলে সন্ধি হয় ।
যেমন- মিথ্যা + উক = মিথ্যুক
সম্পর্ক শূন্য হলে সন্ধি হয় কিন্তু সমাস হয় না।
যেমন, জমা ও খরচ = জমা-খরচ
৫. সন্ধিতে বিভক্তি লুপ্ত হয় না ।
যেমন, হিম + আলয় = হিমালয়, এখানে ‘আ‘ বিভক্তি লুপ্ত হয়নি।
সমাসে বিভক্তি লুপ্ত হয় ।
যেমন, ছাত্রের বৃন্দ = ছাত্রবৃন্দ। এখানে ‘র‘ বিভক্তি লুপ্ত হয়ে
ছাত্রবৃন্দ হয়েছে ।
6.কর্মধারয় সমাস কাকে বলে? সংক্ষেপে কর্মধারয় আলোচনা করো।
উঃ 👉
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের যে সমাস হয় ,এবং যে সমাসে পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে । এ সমাসের ব্যাস বাক্যে যে ,সে,যিনি ,তিনি ব্যবহৃত হয়।
যেমন-সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন , কাঁচা অথচ মিঠা= কাঁচামিঠা,মহতী যে কীর্তি=মহাকীর্তি ,মহান যে নবী=মহানবী ইত্যাদি।
প্রকারভেদ: কর্মধারয় সমাস ৪ প্রকার:
১.মধ্যপদলোপী
২.উপমান
৩.উপমিত
৪.ও রূপক কর্মধারয়
মধ্যপদলোপী সমাস:যে সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদ লোপ হয় ,তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।যেমন-সাহিত্য বিষয়ক সভা =সাহিত্যসভা,সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন, স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ=স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি।
উপমান কর্মধারয় সমাস:উপমান অর্থ তুলনীয় বস্তু।সাধারণ ধর্মবোধক পদের সাথে উপমান পদের যে সমাস হয় তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।প্রত্যক্ষ কোন বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোন বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে উপমেয় ও পরোক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমান। উপমান ও উপমেয়ের মধ্য একটি সাধারণ ধর্ম থাকবে।যেমন-ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ =ভ্রমরকৃষ্ণকেশ। এখানে ভ্রমর উপাদান আর কেশ উপমেয় এবং কৃষ্ণ সাধারণ ধর্ম।এরকম....
কাজলের ন্যায় কালো =কাজলকালো,তুষারের ন্যায় শুভ্র=তুষার শুভ্র,অরুণের ন্যায় রাঙা=অরুণরাঙা।
উপমিত কর্মধারয় সমাস:সাধারণ ধর্মবোধক পদের উল্লেখ না করে ্উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।এ সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে বসে এবং সাধারণ গুনটি অনুমান করে নেওয়া হয়্
যেমন-মুখ চন্দ্রের ন্যায়=চন্দ্রমুখ,পুরুষ সিংহের ন্যায়=সিংহপুরুষ।
রূপক কর্মধারয় সমাস:উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভিন্ন কল্পনা করা হলে রূপক কর্মধারয় সমাস হয়।এ সমাসে উপমেয় পদ পূর্বে বসে এবং উপমান পদ পরে বসে এবং সমস্যমান পদের ব্যাসবাক্যে ’রূপ ’অথবা ’ই ’যোগ থাকে।
যেমন=মন রূপ মাঝি=মনমাঝি,বিষ রূপ বৃক্ষ=বিষবৃক্ষ ,বিষাদ রূপ সিন্ধু=বিষাদসিন্ধু ।
7.তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে? সংক্ষেপে তৎপুরুষ সমাস আলোচনা করো।
উঃ 👉যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন- পরলোকে গত= পরলোকগত।
👉তৎপুরুষ সমাস সাধারণত ৯ প্রকার-
১.দ্বিতীয়া তৎপুরুষ বা কর্ম তৎপুরুষ
২.তৃতীয়া তৎপুরুষ বা করণ তৎপুরুষ
৩. চতুর্থী তৎপুরুষ বা উদ্দেশ্যবাচক তৎপুরুষ
৪. পঞ্চমী তৎপুরুষ বা অপাদান তৎপুরুষ
৫. যষ্ঠী তৎপুরুষ বা সম্বন্ধ তৎপুরুষ
৬. সপ্তমী তৎপুরুষ বা স্থান-কালবাচক তৎপুরুষ
৭.উপপদ তৎপুরুষ
৮. নঞ তৎপুরুষ
৯.অলুক (অলোপ) তৎপুরুষ
এই নয় প্রকার তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কে উদাহরণ সহযোগে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
১.দ্বিতীয়া তৎপুরুষ বা কর্ম তৎপুরুষ:
পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে, এরে) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বা কর্ম তৎপুরুষ বলে।
উদাহরণঃ
• দুঃখকে প্রাপ্ত= দুঃখপ্রাপ্ত,
• বিপদকে আপন্ন= বিপদাপন্ন,
• পরলোকে গত= পরলোকগত,
• গাকে ঢাকা=গা-ঢাকা,
• রথকে দেখা=রথদেখা,
• বীজকে বোনা= বীজবোনা,
• চিরকাল ব্যাপিয়া সুখী= চিরসুখী (ব্যাপ্তি অর্থেও দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়)
২.তৃতীয়া তৎপুরুষ বা করণ তৎপুরুষ:
পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।
উদাহরণঃ
• মন দিয়ে গড়া= মন গড়া
• শ্রম দ্বারা লব্ধ= শ্রমলব্ধ
• মধু দিয়ে মাখা= মধুমাখা
• ঈশ্বর দ্বারা দত্ত= ঈশ্বরদত্ত
• ঢেঁকি দ্বারা ছাঁটা= ঢেঁকিছাঁটা
• আইন দ্বারা সংগত= আইনসংগত
• বায়ু দ্বারা চালিত= বায়ুচালিত
৩. চতুর্থী তৎপুরুষ বা উদ্দেশ্যবাচক তৎপুরুষ:
পূর্বপদে চতুর্থ বিভক্তি (কে, রে) কিংবা নিমিত্তবাচক অনুসর্গ (নিমিত্ত, জন্য, উদ্দেশ্য) লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে।
উদাহরণঃ
• রণের জন্য সজ্জিত=রণসজ্জিত।
• সর্বের জন্য হিত= সর্বহিত
• ডাকের জন্য মাশুল= ডাকমাশুল
• বালিকাদের নিমিত্ত বিদ্যালয়= বালিকাবিদ্যালয়
• শিশুর নিমিত্ত সাহিত্য=শিশুসাহিত্য
• রান্নার নিমিত্ত ঘর= রান্নাঘর
৪. পঞ্চমী তৎপুরুষ বা অপাদান তৎপুরুষ:
পূর্বেপদে পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, থেকে, চেয়ে) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ বলে।
উদাহরণঃ
• বিলাত থেকে ফেরত= বিলাতফেরত
• স্কুল থেকে পালানো= স্কুলপালানো
• জেল থেকে মুক্ত= জেলমুক্ত
• স্বর্গ হতে চ্যুত-স্বর্গচ্যুত
• অগ্নি হতে ভয়-অগ্নিভয়
• পাপ থেকে মুক্ত= পাপমুক্ত
৫. যষ্ঠী তৎপুরুষ বা সম্বন্ধ তৎপুরুষ:
পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তির (র, এর) লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।
উদাহরণঃ
• চায়ের বাগান= চাবাগান
• রাজার পুত্র= রাজপুত্র
• খেয়ার ঘাট= খেয়াঘাট
• বামনের পাড়া=বামনপাড়া
• মাতার তুল্য=মাতৃতুল্য
• ফুলের গাছ=ফুলগাছ
• বটের তলা= বটতলা
৬. সপ্তমী তৎপুরুষ বা স্থান-কালবাচক তৎপুরুষ:
পূর্বপদে সপ্তমী বিভক্তির (এ, তে, এতে, য়) লোপ পেয়ে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস হয়। এই সমাসে পরপদের সঙ্গে পূর্বপদের অধিকরণ সম্পর্ক তৈরি হয়।
উদাহরণঃ
• গাছে পাকা=গাছপাকা
• গৃহে বন্দী=গৃহবন্দী
• মাথাতে ব্যথা=মাথাব্যথা
• গৃহে প্রবেশ=গৃহপ্রবেশ
• অকালে পক্ব=অকালপক্ব
• সংখ্যায় গরিষ্ঠ=সংখ্যাগরিষ্ঠ
• জলে মগ্ন= জলমগ্ন
৭.উপপদ তৎপুরুষ:
উপসর্গ ভিন্ন শব্দকে উপপদ বলে। এভাবে উপপদের সাথে কৃদন্ত পদের (কৃৎ প্রত্যয়ান্ত পদ) যে সমাস হয় তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। এক্ষেত্রে প্রথমে উপপদ এবং পরে কৃদন্ত পদ বসে। বিভক্তি যুক্ত ক্রিয়াপদকে এক্ষেত্রে সাধারণত কৃদন্ত পদ বলা হয়।
উদাহরণঃ
• যেতন ভোগ করে যে=বেতনভোগী
• ভেক ধরে যে=ভেকধারী
• ইঁদুর মারা যায় এমন বিষয়=ইঁদুরমারা
• মাছি মারা যায় এমন বিষয়=মাছিমারা
• মধু করে যে=মধুকর
• আকাশে চারণ করে যে=আকাশচারী
৮. নঞ তৎপুরুষ:
বাংলায় না, নাই, অথবা নয় এর অর্থে সংস্কৃতে ‘নঞ’ প্রত্যয় আছে। না-বাচক পূর্বপদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষণ রূপে পরপদের যে সমাস হয় তাকে নঞ তৎপুরুষ সমাস বলে। পূর্বপদে অ, অন, অনা, আ, গর, ন, না, বি, বে এসব বসে না অর্থ প্রকাশ করে।
উদাহরণঃ
• নয় কথ্য=অকথ্য
• অভিজ্ঞ=অনভিজ্ঞ
• নয় উর্বর=অনুর্বর
• নেই নাথ=অনাথ
• নয় পবিত্র=অপবিত্র
• নয় মানুষ=অমানুষ
• নেই খুঁত=নিখুঁত
• নয় চেনা=অচেনা
৯. অলুক (অলোপ) তৎপুরুষ:
তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ না হলে তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে। প্রায় সবগুলো তৎপুরুষ সমাসে অলুক হয়ে থাকে।
উদাহরণঃ
• সোনার তরী= সোনারতরী
• তেলে ভাজা= তেলেভাজা
• খেলার মাঠ= খেলার মাঠ
8.সমাস কাকে বলে? প্রত্যেক প্রকার সমাস সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উঃ 👉 সংজ্ঞা :- পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদের এক পদে রূপান্তরিত হওয়াকে সমাস বলে ৷
সমাস উদাহরণ :-
যেমন- ফল ও মূল = ফলমূল, ভাজা যে বেগুন = বেগুন ভাজা রাজার পুত্র = রাজপুত্র, জন যে এক = জনৈক, ভাই ও বোন = ভাই বোন। বীণা পানিতে যার = বিনাপানি ।
👉সমাস ছয় প্রকার । যথা :
১। দ্বন্দ্ব সমাস; ২। তৎপুরুষ সমাস; ৩। কর্মধারয় সমাস; ৪। দ্বিগু সমাস; ৫। বহুব্রীহি সমাস ও ৬। অব্যয়ীভাব সমাস।
দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে দুই বা ততোধিক পদের মিলন হয় এবং সমস্যমান পদের অর্থ প্রধান থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: মা ও বাবা = মা-বাবা; দা ও কুমড়া= দা-কুমড়া; জন্ম ও মৃত্যু= জন্ম-মৃত্যু।
দ্বিগু সমাস: যে সমাসের পূর্ব পদে সংখ্যাবাচক শব্দ সমাহার বা মিলন অর্থে থাকে এবং তারপর বিশেষ্য পদের সঙ্গে মিলে যে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন: চৌ রাস্তার সমাহার = চৌরাস্তা; তিন মাথার সমাহার= তেমাথা; সপ্ত অহের সমাহার= সপ্তাহ।
কর্মধারয় সমাস: যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সঙ্গে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রধান থাকে তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: যিনি দাদা তিনি সাহেব= দাদা-সাহেব; মহান যে নবী = মহানবী; সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন।
তৎপুরুষ সমাস: পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস হয় এবং যে সমাসের পরপদের অর্থ প্রধান থাকে তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: মধু দিয়ে মাখা= মধুমাখা; মেঘ থেকে মুক্ত= মেঘমুক্ত।
অব্যয়ীভাব সমাস: যে সমাসে পূর্বপদে অব্যয় থাকে এবং অব্যয়ের অর্ধ প্রধান হয় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমন: কূলের সমীপে= উপকূল; গ্রহের ক্ষুদ্র= উপগ্রহ; মরণ পর্যন্ত= আমরণ।
বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে পর্বপদ বা পরপদের কোন অর্থ না বুঝিয়ে তৃতীয় কোনো অর্থ প্রকাশ করে তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: আশিতে বিষ যার= আশীবিষ; নীল কণ্ঠ যার= নীলকণ্ঠ; ঘরের দিকে মুখ যার= ঘরমুখো ।
9.কর্তৃকারক ও কর্মকারকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উঃ 👉 কর্তৃকারক:
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্তৃকারক বলে।
যেমন: মেয়েরা ফুল তোলে।
কর্তৃকারকের প্রকারভেদ:
কর্তৃকারক বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের বৈচিত্র্য বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চার প্রকারের হয়ে থাকে।
মুখ্য কর্তা: যে নিজে নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে সে মুখ্য কর্তা।
প্রযোজক কর্তা: মূল কর্তা যখন অন্যকে কোনো কাজে নিয়োজিত করে তা সম্পন্ন করায় তখন তাকে প্রযোজক কর্তা বলে।
প্রযোজ্য কর্তা: মূল কর্তার করণীয় কার্য যাকে দিয়ে সম্পাদিত হয় তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে।
ব্যতিহার কর্তা: কোনো বাক্যে যে দুটো কর্তা একত্রে এক জাতীয় ক্রিয়া সম্পাদন করে তাদের ব্যতিহার কর্তা বলে।
👉কর্মকারক:
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্মকারক বলে। কর্ম দুই প্রকার:
মুখ্যকর্ম
গৌণকর্ম
সাধারণত মুখ্যকর্ম বস্তুবাচক ও গৌণকর্ম প্রাণিবাচক হয়ে থাকে।
এছাড়াও সাধারণত কর্মকারকের গৌণকর্মে বিভক্তি যুক্ত হয় আর মুখ্যকর্মে হয় না।
কর্মকারকের প্রকারভেদ:
কর্মকারক ৪ প্রকার:
সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম
প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম
সমধাতুজ কর্ম
উদ্দেশ্য ও বিধেয়
দ্বিকর্মক ক্রিয়ার দুটি পরস্পর অপেক্ষিত কর্মপদ থাকলে প্রধান কর্মটিকে বলা হয় উদ্দেশ্য। কর্ম এবং অপেক্ষিত কর্মটিকে বলা হয় বিধেয় কর্ম।
10.বিভক্তি ও অনুসর্গের পার্থক্য লেখ।
উঃ 👉 বিভক্তি ও অনুসর্গের মধ্যে পার্থক্যঃ
১। বাক্যের বিভিন্ন শব্দের সঙ্গে অন্বয় সাধনের জন্য নামপদ বা ক্রিয়াপদের সাথে যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয় তাকে বিভক্তি বলে। অপরদিকে বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।
২। বিভক্তি ও অনুসর্গের প্রধান পার্থক্য হলো অনুসর্গের স্বাধীন অর্থ ও স্বাধীন ব্যবহার আছে। অপরদিকে বিভক্তির স্বাধীন অর্থ ও স্বাধীন ব্যবহার নেই।
৩। বিভক্তি পদের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে। অপরদিকে অনুসর্গ পদের পরে আলাদা ভাবে বসে।
৪। বিভক্তি কোনো পদ নয়। অপরদিকে অনুসর্গ নিজে এক ধরনের অব্যয় পদ।
৫। বিভক্তি শব্দ ও ধাতু, উভয়ের সাথে যুক্ত হতে পারে। অপরদিকে অনুসর্গ শুধুমাত্র পদের পরে বসে, ধাতুর পরে বসে না।
11.কারক কাকে বলে? কারকের ভাগগুলি আলোচনা করো।
উঃ 👉 বাক্যের অন্তর্গত ক্রিয়াপদের সাথে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক, তাকেই বলা হয় কারক।
যেমন - জয়িতা বই পড়ে। এ বাক্যে ক্রিয়াপদ হলো ‘পড়ে'।
এই ক্রিয়াপদের সঙ্গে জয়িতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। কারণ জয়িতা একটি নামপদ।
👉কারকের প্রকারভেদ বা শ্রেনীবিভাগ :-
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের ছয় প্রকারের সম্পর্ক হয়ে থাকে ভিত্তিতে কারক ছয় প্রকার। যেমন:
১. কর্তৃকারক,
২. কর্মকারক,
৩. করণ কারক,
৪. সম্প্রদান কারক,
৫. অপাদান কারক ও
৬. অধিকরণ কারক
বিভিন্ন প্রকার কারকের সংজ্ঞা :-
কর্তৃকারক কাকে বলে :-
বাক্যে যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলা হয় কর্তা এবং এই কর্তার সঙ্গে ক্রিয়ার যে সম্পর্ক তাকে বলা হয় কর্তৃকারক।
যেমন -‘উপমা পড়ছে' এই বাক্যে উপমা হল কর্তা।
ক্রিয়াকে 'কে' বা 'কারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই কর্তৃকারক। সাগর দৌড়াচ্ছে। কে দৌড়াচ্ছে? সাগর। সুতরাং 'সাগর' কর্তৃকারক। তারা হাটছে। কারা হাটছে? তারা। "তারা" কর্তৃকারক।
কর্মকারক কাকে বলে :-
কর্তা যাকে অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকেই বলা হয় কর্মকারক।
ক্রিয়াকে 'কি' বা 'কাকে' জিজ্ঞেস করে যে উত্তর পাওয়া যায় তা কর্ম এবং ক্রিয়া পদের সঙ্গে কর্মের সম্বন্ধই কর্মকারক। যেমন -
সে ফল কিনছে । সে কী কিনছে? ফল। সুতরাং ফল কর্মকারক।
রাজু রীতাকে মারছে। রাজু কাকে মারছে? রীতাকে। রীতা কর্মকারক।
করণ কারক কাকে বলে :-
যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।
'করণ' শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়। বাক্যের ক্রিয়াপদকে 'কার দ্বারা বা কী উপায়ে জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক। যেমন -
নীলু ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। নীলু কী দিয়ে ঘর সাজায়? ফুল দিয়ে সুতরাং 'ফুল' করণ কারক।
কাঠুরে কুড়াল দ্বারা গাছ কাটে। কাঠুরে কী দ্বারা গাছ কাটে? কুড়াল দ্বারা। 'কুড়াল' করণ কারক।
সম্প্রদান কারক কাকে বলে :-
যার জন্য বা যার উদ্দেশে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দেওয়া যায় তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন -
গরীবের মেয়েটিকে ভাত দাও। এই বাক্যে গরীবের মেয়েটিকে সম্প্রদান কারক।
আধুনিক ব্যাকরণবিদেরা সম্প্রদান কারক স্বীকার করতে চান না। তাঁদের মতে এটি কর্মকারকের অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। তবু প্রথাগত বাংলা ব্যাকরণে সম্প্রদান কারক আছে।
অপাদান কারক কাকে বলে :-
যা থেকে বা যা হতে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় এবং ক্রিয়ার বিচিত্র ভাবের প্রকাশ ঘটে তাকে অপাদান কারক বলে। যেমন -
শায়েলী সেদিন বাড়ি থেকে কলেজ গিয়েছিল। এ বাক্যে 'যাওয়া' ক্রিয়া সম্পাদিত হয়েছিল বাড়ি থেকে।
আম হতে গুড় হয়। এই বাক্যে গুড় হওয়ার কাজটি সম্পন্ন হয় 'আখ' হতে।
সুতরাং 'বাড়ি' ও 'আখ' অপাদান কারক।
অধিকরণ কারক কাকে বলে :-
যে 'সময়' বা 'স্থান' কে আশ্রয় করে কর্তা তার কর্ম সম্পন্ন বা সম্পাদন করে সেই সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে।
অধিকরণ কারকে সর্বদা সপ্তমী বিভক্তি ব্যবহৃত হয়।
যেমন:
১. দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রার্থী, ভিক্ষা দেও তারে।
২. নদীতে নৌকা বাঁধা।
৩. বসন্তে কোকিল ডাকে।
এখানে যদি প্রশ্ন করা যায় প্রাণী কোথায় দাঁড়িয়ে তাহলে উত্তর আসে দুয়ারে। আর দুয়ারে একটি স্থান। আবার যদি বলা যায় কোকিল কখন ডাকে তাহলে উত্তর পাওয়া যায় বসন্তে। আর 'বসন্ত' সময় নির্দেশ করে।
কারক নির্ণয়ের প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি :-
১. ক্রিয়াকে 'কে' দ্বারা প্রশ্নের যে উত্তর পাওয়া যাবে তাই কর্তৃকারক।
২. ক্রিয়াকে 'কী' বা 'কাকে' দ্বারা প্রশ্নের উত্তরে মা পাওয়া যাবে তাই কর্মকারক।
৩. ক্রিয়াকে 'কী দ্বারা’ প্রশ্নের যে উত্তর পাওয়া যাবে তা করণ কারক।
৪. ক্রিয়াকে 'কাকে' (স্বত্ত্বত্যাগ করে প্রদান) দ্বারা প্রশ্নের উত্তরে যা পাওয়া যাবে তা সম্প্রদান কারক।
৫. ক্রিয়াকে 'কোথা হতে' প্রশ্নের উত্তরে যা পাওয়া
যাবে তা অপাদান কারক।
৬. ক্রিয়াকে ‘কোথায়', 'কখন' দ্বারা প্রশ্নের উত্তরে যা পাওয়া যাবে তাই অধিকরণ কারক।
নীচে একটি উদাহরণের সাহায্যে এই সম্পর্কের ব্যাখ্যা দেখানো হলো:
‘ মহারাজ সুব্রত প্রত্যহ সকালে রাজকোষ হতে স্বহস্তে দরিদ্রদেরকে ধন দান করতেন।'
১. কে দান করতেন ? সুব্রত (কর্তৃকারক)
২. কী দান করতেন? ধন (কর্মকারক)
৩. কী দ্বারা দান করতেন? স্বহস্তে (করণ কারক)
৪. কাদের দান করতেন? দরিদ্রদের (সম্প্রদান কারক)
৫. কোথা হতে দান করতেন? রাজকোষ হতে (অপাদান কারক)
৬. কখন দান করতেন? প্রত্যহ সকালে (অধিকরণ কারক)
12.বাক্য কাকে বলে? বাক্য নির্মাণের শর্তগুলি লেখ। গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণীবিভাগ করো ও আলোচনা করো।
উঃ 👉 বাক্যের সংজ্ঞা:পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা তার বেশি পদ একত্র মিলিত হয়ে যদি একটি সম্পূর্ণ ও সঙ্গত অর্থ প্রকাশ করে তাকে বাক্য (Sentence) বলা হয়।
👉বাক্য নির্মানের শর্ত:
যোগ্যতা, আকাঙ্খা ও আসত্তি- এই তিনটি হল বাক্য নির্মাণের শর্ত। অন্যভাবে বললে, যোগ্যতা, আকাঙ্খা ও আসত্তি- এই তিন প্রকার গুণ থাকলে তবেই তাকে বাক্য বলা হবে।
১) যোগ্যত্য [Compatibility]- বাক্য যে অর্থ প্রকাশ করতে চায় তা যেন বাস্তবতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়। বাক্যের এই বিশেষ গুণটিকে বলা হয় যোগ্যতা। যেমন, তাদের গোয়ালঘরে দুটো বাঘ বাঁধা আছে। কথাটি ব্যাকরণগত ভাবে ঠিক হলেও বাস্তবতা বর্জিত। গোয়ালঘরে গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি বাঁধা থাকতে পারে কিন্তু বাঘ বেঁধে রাখার ব্যাপারটা অবাস্তব, আর বাস্তবসম্মত নয় বলেই এটি বাক্য নয়।
তবে, অনেক সময় আপাতদৃষ্টিতে কোন বাক্যের অর্থ বাস্তবসম্মত মনে না হলেও গভীরভাবে অনুধাবন করলে বাক্যটির অন্তর্নিহিত অর্থ পরিস্ফুট হয়। নিচের বাক্যটি লক্ষণীয়- “তাদের গোয়ালঘরে দুটো বাঘ বাঁধা আছে। এমন রাক্ষুসে বলদ আমি জীবনে দেখিনি!” দ্বিতীয় বাক্যটি বলা হবার পরেই বোঝা যাচ্ছে প্রথম বাক্যে যাদের ‘বাঘ’ বলা হয়েছে সেগুলি আসলে দুটি বলদ। হয়তো সেগুলি খুব হৃষ্টপুষ্ট আর সকলকে গুঁতোতে যায়, সেইজন্য তাদেরকে বাঘ বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দুটো বাক্যেরই যোগ্যতা রয়েছে এবং দুটিই বাক্য।
২) আকাঙ্খা [Expectancy]- বাক্যের কাজ সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করা। কোনো বাক্য যদি সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে না পারে তবে শ্রোতার আকাঙ্খা পূরণ হয় না এবং সেটিকে বাক্য বলা চলে না। আকাঙ্খা হল বাক্যের সেই শর্ত যা বাক্যের অর্থকে সম্পূর্ণ করার নিশ্চয়তা দেয়। যেমন, “আমি সকালে..” বলে যদি আর কিছু না বলা হয় তবে শ্রোতার আকাঙ্খা পূরণ হয় না। যদি বলা হয় “আমি সকালে হাটতে যাই”- এবারে শ্রোতার আকাঙ্খা পূরণ হল এবং এটি যথার্থ বাক্য হল।
৩) আসত্তি [Proximity]- বাক্যে যথাযথ পদবিন্যাসের রীতিকে বলা হয় আসত্তি। বাক্যে একটির পর আরেকটি পদ বসে একটি অর্থবোধক পদক্রম সৃষ্টি হলে তবেই শ্রোতা বক্তার মনের ভাব বুঝতে পারে। পদগুলি উল্টোপাল্টা বসানো হলে বাক্যের উদ্দেশ্যে সিদ্ধ হয় না। যেমন- ‘পরের রবিবার রামের বাবা বাড়ি ফিরবেন’। এই বাক্যটিতে পদগুলি যথাযথভাবে বসেছে বলেই বক্তার মনের ভাব শ্রোতার কাছে বোধগম্য হবে। কিন্তু যদি বলা হত- ‘রামের রবিবার পরের বাবা বাড়ি ফিরবেন’- এই বাক্যটিতে একই পদ ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু কোনো সঙ্গত অর্থ প্রকাশ করতে পারছে না। সুতরাং আসত্তি না থাকলে বাক্যটি কেবল পদসমষ্টি বলে গণ্য করা হবে, সেটিকে বাক্য বলা যাবে না।
👉বাক্যের প্রকারভেদ:
গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
১) সরল বাক্য (Simple Sentence)- যে বাক্যে একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে তাকে সরল বাক্য বলা হয়। মনে রাখা প্রয়োজন, একটি সরলবাক্যে অনেকগুলি অসমাপিকা ক্রিয়া থাকতেই পারে কিন্তু সমাপিকা ক্রিয়া থাকবে একটি। যেমন-
১] রিতা বিদ্যালয় যাচ্ছে।
২] রহিম ফুটবল খেলছে।
৩] আয়েষা পাঁচপাতা বাংলা পড়ে দুপাতা ইংরেজি লিখে দশটি পাটিগণিতের অংক কষে এইমাত্র উঠে টিভি দেখতে গেল।
২) জটিল বাক্য (Complex Sentence)- একটি প্রধান উপবাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান উপবাক্য নিয়ে যে বাক্য গঠিত হয় তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন-
১] যে যায় সে তো আর ফেরে না।
২] যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।
৩] যদি বিকেলে বৃষ্টি আসে তাহলে সব পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে যাবে।
৩) যৌগিক বাক্য (Compound Sentence)- দুই বা তার বেশি সরলবাক্য সংযোজক, বিয়োজক বা সংকোচক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হলে সেই বাক্যটিকে বলা হয় যৌগিক বাক্য। যেমন-
১] অসীম প্রথম হয়েছে এবং আকাশ দ্বিতীয় হয়েছে।
২] তুমি আনতে পারো নতুবা আমি গিয়ে নিয়ে আসবো।
৩] প্রথমা আজ স্কুলে আসেনি কিন্তু সে অসুস্থ নয়।
13.বাচ্য কাকে বলে? বিভিন্ন ধরনের বাচ্যের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
উঃ 👉 বাচ্য শব্দের অর্থ হলো “বক্তব্য বলার উপযুক্ত কোনো কথা”। কোনো বাক্যের ক্রিয়ার প্রকাশের ধরণকে বলা হয় বাচ্য।
👉বাচ্য কয় প্রকার ও কি কি?
বাচ্যকে মোট ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমনঃ
কর্তৃবাচ্য (Active Voice)
কর্মবাচ্য (Passive Voice)
ভাববাচ্য (Neuter Voice)
কর্মকর্তৃবাচ্য (Quasi-Passive Voice)
কর্তৃবাচ্য (Active Voice) এর সংজ্ঞা :
যে সমস্ত বাচ্যের প্রধান হলো কর্তা ও বাক্যের ক্রিয়াপদ কর্তার অনুগামী, সেই সমস্ত বাচ্যকে কর্তৃবাচ্য (Active Voice) বলে।
যেমনঃ বাল্মীকি রামায়ণ লিখে গেছেন।
নেতাজি আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করে ছিলেন।
কর্তৃবাচ্য (Active Voice) এর বৈশিষ্ট :
১.বাক্যের ক্রিয়াপদ বর্তমান বা অতীত কাল হয়।
২.বাক্যটি সাধারণত কর্মবাচ্য বাক্যের চেয়ে আরও সরাসরি ও ছোট হয়ে থাকে।
৩. বাক্যটিতে প্রায়শই এমন একটি বস্তু অন্তর্ভুক্ত থাকে যা ক্রিয়ার ক্রিয়া গ্রহণ করে।
৪.কর্তা প্রায়ই বিভক্তিহীন হয়ে থাকে।
৫. কর্তা এই বাচ্যে প্রাধান্য পায়।
কর্তৃবাচ্য (Active Voice) এর উদাহরণ :
ডাক্তারবাবু খুব ভাল চিকিৎসা করেন।
রহিম গতকাল সকালে কাজটি শেষ করেছিল।
আজ পুকুরের জলে স্নান করলাম।
রামবাবু খুব ভোরে বাজারে যান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি রচনা করেছিলেন।
পাগলে সারাক্ষন বকে।
ইংরেজরা ভারতবাসীদের খুব অত্যাচার করতো।
রোহান বাংলাদেশে গিয়েছিলেন।
কর্মবাচ্য (Passive Voice) এর সংজ্ঞা:
যে বাচ্যে কর্মই প্রধান হয় ও ক্রিয়ার ঘটনার যোগ থাকে কর্তার থেকে বেশি কর্মের সঙ্গে। সেই সকল বাচ্যকে বলে কর্মবাচ্য বা Passive Voice.
কর্মবাচ্য (Passive Voice)এর উদাহরণ :
ভারতবাসীরা খুব অত্যাচারিত হতো ইংরেজদের দ্বারা।
চোরটিকে পুলিশের দ্বারা ধরা হয়েছিল ।
বাংলার মুখ তোমার দ্বারা দৃষ্ট হয়েছে।
সভ্যসমাজ কর্তৃক এই কাজ করা কখনোই যায় না।
রঙের দ্বারা ছবিটি সুন্দর ভাবে আঁকা যাবে।
বাড়িটি রাজমিস্ত্রীর দ্বারা তৈরী করা হয়েছে।
কর্মবাচ্য (Passive Voice)এর বৈশিষ্ট :
১. বাক্যের কর্তা কর্ম সম্পাদন করে না , বরং কর্মের ফল ভোগ করে।
২.বাক্যটির ক্রিয়াটি অতীত কালের রূপে অংশগ্রহণমূলক আকারে (যেমন “ছিল” বা “ছিলেন “) দেখা যায় ।
৩. বাক্যটিতে একটি “দ্বারা” বাক্যাংশ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা নির্দেশ করে যে কে বা কী কাজটি করছে।
৪. কর্ম বিভক্তি শুন্য হয়।
৫.বাক্যটিতে স্পষ্ট বা নির্দিষ্ট কর্তা নাও থাকতে পারে।
৬.বাক্যটি কর্মবাচ্য বাক্যের চেয়ে দীর্ঘ হতে পারে।
ভাববাচ্য (Neuter Voice) এর সংজ্ঞা ও উদাহরণ :
যে বাচ্যে কোনো কর্তা বা কর্ম প্রধান নয় কিন্তু ক্রিয়া বাক্যের মধ্যে প্রধান ভূমিকা পালন করে, সেই বাচ্যকে ভাববাচ্য বলে। সকর্মক ক্রিয়াতেও ভাববাচ্য হতে পারে।
যেমনঃ
আপনার কি কাজ করা হয়?
তোমার কি পড়া হয়ে গিয়েছে?
এবার তাহলে ওঠা যাক।
আপনার কোথায় থাকা হয়?
বিষয়টি সবার আগে দেখা হয়েছে।
কোথায় যাওয়া হচ্ছে?
আমার কখনও বিদেশ যাওয়া হয়নি।
ভাববাচ্যের বৈশিষ্ট :
১. সকর্মক ক্রিয়াতে ও ভাববাচ্য হয়।
২. ভাববাচ্য এর কর্তা “কে” বা “রে” অথবা “এর” বা “র” বিভক্তি যোগ দেখা যায়।
৩.এই বাচ্যে বাক্যের কর্ম যুক্ত হয়ে যায় ক্রিয়ার সাথে।
৪. ভাববাচ্যতে কর্মের উপস্থিতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায় না।
৫.ক্রিয়াপদটি সাধারণত (third person) একবচনে থাকে।
৬.বাক্যটি একটি স্পষ্ট বিষয়ের পরিবর্তে “এটি বলা হয়” বা “এটি বিশ্বাস করা হয়” এর মতো বাক্যাংশ ব্যবহার করা হয়।
৭. এই বাচ্যে বাক্যতে নৈর্ব্যক্তিক সর্বনাম পদ কোনো বিষয় উল্লেখ করতে ব্যবহার হতে পারে, যেমন “এটি” বা “সেখানে,” ইত্যাদি।
কর্মকর্তৃবাচ্য (Quasi-Passive Voice) এর সংজ্ঞা ও উদাহরণ :
যে বাচ্যে কোনো কর্তৃ পদ থাকে না কিন্তু কর্মপদকেই কর্তৃ পদ হিসেবে ধরা হয়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
যেমনঃ
গাড়ি চলে
বাঁশি বাজে
পাখা ঘোরে
মাইক বাজে
কলস ভরে
কর্মকর্তৃবাচ্য (Quasi-Passive Voice) এর বৈশিষ্ট :
১.ক্রিয়াকে কে বা কি দিয়ে প্রশ্ন করলে যদি উত্তর একটাই পাওয়া যায় তবে সেটা কর্মকর্তৃবাচ্য (Quasi-Passive Voice) হয়।
২.কর্মকর্তৃবাচ্য (Quasi-Passive Voice) তে ক্রিয়া প্রথম পুরুষেই প্রকাশ পায়।
৩.কর্মকর্তৃপদ না যদি হয় তবে কর্মকর্তৃবাচ্য কখনোই হবে না।
✍️ প্রশ্নের মান-২: