📚 উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিল্প ও সংস্কৃতির ইতিহাস:অধ্যায়-১: বাংলা গানের ধারা(MCQ+DAQ)📚
✍️MCQ:
১.চলচ্চিত্রে গান ব্যবহারের কারণ হলো-
A. গানকে ছড়িয়ে দিতে
B. চলচ্চিত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলতে
C. চলচ্চিত্রকে গতিশীল করার জন্য✔️
D. পরিচালকের শখ
২. জারি গানের অধিক প্রচলন লক্ষ্য করা যায়-
A. উত্তরবঙ্গে
B. পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহ জেলার মুসলমান সমাজে✔️
C. অসম ত্রিপুরায়
D. সুন্দরবন অঞ্চলে
৩. ঋত্বিক ঘটকের 'তিতাস একটি নদীর নাম' ছবির সঙ্গীত নির্দেশক ছিলেন-
A. আলী আকবর খাঁ
B. বিলায়েত খাঁ
C. বিসমিল্লাহ খাঁ
D. বাহাদুর খাঁ✔️
৪. ভাওয়াইয়া গান যে অঞ্চলের-
A. কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, রংপুর✔️
B. দার্জিলিং
C. মুর্শিদাবাদ
D. কোচবিহার
৫. মান্না দে'র প্রকৃত নাম-
A. প্রবোধ চন্দ্র দে
B. প্রবোধ কুমার দে✔️
C. প্রাণতোষ দে
D. প্রবীর চন্দ্র দে
৬. ভক্তি সংগীত এর শ্রেষ্ঠ উদগাতা কে?
A. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
B.অতুল প্রসাদ সেন
C. দিলীপ কুমার রায়
D. রজনীকান্ত সেন✔️
৭. শচীন দেব বর্মন বাংলা যে চলচ্চিত্রে নির্দেশনা দেন-
A. সুদূরের প্রিয়ে✔️
B. দেবদাস
C. মাটির ঘর
D. ছদ্ম বেশী
৮. সঙ্গীত পরিচালক রূপে চলচ্চিত্র জগতে সলিল চৌধুরীর আত্মপ্রকাশ ঘটে _______ ছবির সংগীত পরিচালনা এর মধ্য দিয়ে।
A. বাঁশের কেল্লা
B. গঙ্গা
C. পরিবর্তন✔️
D. বাড়ি থেকে পালিয়ে
৯. রবীন্দ্রসঙ্গীতের সংকলন হলো-
A. গীতবিতান✔️
B. গীতিমাল্য
C. গীতালি
D. গীতাঞ্জলি
১০. 'বঙ্গ আমার জননী আমার' গানটির রচয়িতা-
A. রজনীকান্ত সেন
B. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C. অতুলপ্রসাদ সেন
D.দ্বিজেন্দ্রলাল রায়✔️
১১. ভাটিয়ালি গান যে গানের অন্তর্গত-
A. উচ্চাঙ্গসংগীতের
B. লোকগীতির
C. পল্লীগীতির✔️
D. ভক্তিগীতির
১২. বাংলাদেশের প্রথম খেয়াল চর্চা শুরু করেন-
A. রাম শংকর ভট্টাচার্য্য
B. রঘুনাথ রায়✔️
C. রামনিধি গুপ্ত
D. কালী মির্জা
১৩. গম্ভীরা মূলত-
A. বৃষ্টি বাদলের সময় গাওয়া গান
B. মালদহ জেলার নিজস্ব লোকসংগীত✔️
C. গম্ভীরভাবে গাওয়া গান
D. দক্ষিণবঙ্গের লোকসংগীত
১৪. প্রথম যুগের যাত্রা গানের বিষয় ছিল-
A. কৃষ্ণলীলা বিষয়ক✔️
B. সমাজ সংস্কার বিষয়ক
C. বৌদ্ধ সহজিয়া বিষয়ক
D. মনসামঙ্গল বিষয়ক
১৫. বাংলায় জুড়ির গানের প্রবর্তক হলেন-
A. রামচাঁদ চট্টোপাধ্যায়
B. ঈশ্বর গুপ্ত
C. মদনমোহন চট্টোপাধ্যায়✔️
D. রূপচাঁদ পক্ষী
১৬. পান্নালাল ভট্টাচার্য হলেন-
A. রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী
B. শাক্ত সংগীত শিল্পী✔️
C. বাউল শিল্পী
D. লোক সংগীত শিল্পী
১৭. কীর্তন গানের যে বাদ্যযন্ত্রটি অবশ্য প্রয়োজনীয়-
A. শ্রীখোল✔️
B. হারমোনিয়াম
C. বাঁশি
D. করতাল
১৮. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মোট খন্ড-
A.১৬টি
B.১৫টি
C.১৪টি
D.১৩টি✔️
১৯. মনসা গীতি দক্ষিণবঙ্গে __________ নামে পরিচিত।
A. ঝাপান
B. রয়ানী
C. ভাসান✔️
D. শ্যামা সংগীত
২০. গীতগোবিন্দম্ কাব্যটি কোন ভাষায় রচিত?
A. বাংলা
B. মৈথিলী
C. পালি
D. সংস্কৃত✔️
২১. নিম্নলিখিত রাগগুলির মধ্যে কোন্ রাগটি বর্তমানে বিলুপ্ত?
A. শবরী✔️
B. মোল্লারী
C. রামকেলি
D. ভৈরবী
২২. যাঁকে ছাড়া টপ্পা গান ভাবা যায় না, তিনি হলেন-
A. রামপ্রসাদ
B. কমলাকান্ত
C. রামনিধি গুপ্ত✔️
D. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৩. শিশির রায়চৌধুরী হলেন বিশিষ্ট-
A. বাঁশি শিল্পী
B. বীণা শিল্পী
C. সন্তুর শিল্পী
D. ভায়োলিন শিল্পী✔️
২৪. কত সালে টেলিভিশনে বাংলা বিজ্ঞাপন এর প্রচলন শুরু হয়?
A.১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে।✔️
B.১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে।
C.১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে।
D.১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে।
২৫. 'তুমি নির্মল করো, মঙ্গল করো' গানটির রচয়িতা হলেন-
A. অতুলপ্রসাদ সেন✔️
B. রামপ্রসাদ সেন
C. রজনীকান্ত সেন
D. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
২৬.বাংলা সঙ্গীত জগতে ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম গীতশৈলী হল-
ক) খেয়াল✔️
খ) ধ্রুপদ
গ) টপ্পা
ঘ) ঠুংরি
২৭. শ্রী কৃষ্ণ কীর্তনের খণ্ডিত পুঁথিটি পাওয়া গিয়েছিল-
ক) বাঁকুড়া জেলার ক্যাকিলা গ্রামে✔️
খ) নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থ গারে
গ) নদিয়া জেলার নবদ্বীপে
ঘ) মথুরার কৃষ্ণ মন্দিরে
২৮. ভাটিয়ালি গানের উদ্ভব হয়েছিল-
ক) পাঞ্জাবে
খ) রাজস্থানে
গ) অবিভক্ত বাংলায়✔️
ঘ) ছোটোনাগরপুর অঞ্চলে
২৯. চর্যা গান গুলির আবিষ্কারক হলেন-
ক) বসন্ত রঞ্জন রায়
খ) মুনি দত্ত
গ) দীনেশ রঞ্জন সেন
ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী✔️
৩০. 'কবি ঈশ্বর গুপ্ত' কাকে পক্ষীর দলের প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন-
ক) নবকৃষ্ণদেবকে
খ) রামনারায়ান মিশ্রকে
গ) রামচন্দ্র মিত্রকে
ঘ) শিবচন্দ্র ঠাকুরকে✔️
৩১. সন্তুর বাদ্য যন্ত্রের বিখ্যাত শিল্পী হলেন-
ক) জ্যোতি গোহ
খ) মনিরার নাগ
গ) দুলাল রায়✔️
ঘ) মহম্মদ আলি খাঁ
৩২. সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী' সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন-
ক) রবি শংকর✔️
খ) সত্যজিৎ রায়
গ) বিসমিল্লা খাঁ
ঘ) বিলায়েত খাঁ
৩৩. বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত 'আমার সোনার বাংলা' গানের সুরের উৎস হলো-
ক) লালন গীতি✔️
খ) সেতার
গ) মীরার ভজন
ঘ) হিন্দি লঘুসংগীত
৩৪. একজন বিখ্যাত কবিয়াল হলেন-
ক) নজরুল ইসলাম
খ) লালন শাহ✔️
গ) লালন ফকির
ঘ) ভি . বালসারা
৩৫. চারণ কবি বলা হয়-
ক) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে
খ) রজনীকান্তকে
গ) অতুল প্রসাদ সেনকে
ঘ) মুকুন্দ দাসকে✔️
৩৬. দ্বিজেন্দ্র গীতির বিখ্যাত শিল্পী হলেন-
ক) নির্মলা মিশ্র
খ) কৃষ্ণা চট্টোপধ্যায়✔️
গ) প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়
ঘ) লোপামুদ্রা মিত্র
৩৭. বাঁশিতে বিখ্যাত ছিলেন-
ক) মেহেদী হুসেন খাঁ✔️
খ) আফতাবউদ্দিন খাঁ
গ) বাহাদুর খাঁ
ঘ) কৃষ্ণচন্দ্র দে
৩৮. মাঝি মাল্লাদের গান হল-
ক) টপ্পা
খ) ভাওইয়া
গ) ভাটিয়ালি✔️
ঘ) ঝুমুর
৩৯. নিখিল ব্যানার্জি বাজাতেন-
ক) বাঁশি
খ) সরোদ
গ) তবলা
ঘ) সেতার✔️
৪০. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পিতা কার্তিকেয়চন্দ্র রায় কোন গানের শিল্পী ছিলেন-
ক) ধ্রুপদ
খ) টপ্পা
গ) খেয়াল✔️
ঘ) ঠুংরী
৪১. ভূপেন হাজারিকা মূলত যে ভাষায় গান লিখতেন-
ক) ওড়িয়া
খ) অহমিয়া✔️
গ) বাংলা
ঘ) হিন্দি
৪২. আখড়াই গানের বিশিষ্ট শিল্পী হলেন-
ক) রামনিধি গুপ্ত✔️
খ) রাম ঠাকুর
গ) শ্রীদাম দাস
ঘ) মোহনচাঁদ বসু
৪৩. রূপচাঁদ পক্ষীর আসল নাম হল-
ক) রামনারায়ন মিশ্র
খ) শিবচন্দ্র ঠাকুর
গ) গৌরহরি দাস মহাপাত্র✔️
৪৪. বাংলায় প্রথম বীণা বাদক হিসেবে যার নাম করা যায়-
ক) মাধব ভট্টাচার্য✔️
খ) অতুল চন্দ্র মিত্র
গ) রাম শংকর ভট্টাচার্য্য
ঘ) ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী
৪৫. পূর্বরাগ কোন সঙ্গীত এর অন্তর্গত?
ক) মঙ্গল গীতি
খ) লোকসংগীত
গ) শ্যামা সংগীত
ঘ) বৈষ্ণব পদাবলী✔️
৪৬. বাউল শব্দের উল্লেখ আছে যে গ্রন্থে-
ক) চৈতন্যচরিতামৃত✔️
খ) গীতগোবিন্দ
গ) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
ঘ) রঘুবংশ
৪৭. 'নবজীবনের গান' নামক গণসংগীতটির রচয়িতা হলেন-
ক) সুকান্ত ভট্টাচার্য
খ) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
গ) জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র✔️
ঘ) সলিল চৌধুরী
৪৮. চর্যাগানের মোট সংখ্যা-
ক) ৪৯টি
খ) ৫০টি✔️
গ) ৫১টি
ঘ) ৫২টি
৪৯. মানুষের প্রথম সাংগীতিক যন্ত্র হলো-
ক) বাঁশি
খ) একতারা
গ) কন্ঠ✔️
ঘ) ঢোল
৫০. ঝুমুর হলো-
ক) কীর্তন
খ) শাক্ত গীতি
গ) ভক্তিগীতি
ঘ) লোকসংগীত✔️
৫১.চর্যা গান গুলির আবিষ্কারক
ক) বসন্ত রঞ্জন রায়
খ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী✔️
গ) দীনেশ রঞ্জন সেন
ঘ) মুনি দও
৫২.শ্রী কৃষ্ণ কীতনের খণ্ডিত পুঁথি টি পাওয়া গিয়েছিল
ক) বাঁকুড়া জেলার কাকিলো গ্রামে✔️
খ) নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থ গারে
গ) নদিয়া জেলার নবদ্বীপে
ঘ) মথুরার কৃষ্ণ মন্দিরে
৫৩.বিখ্যাত কবিয়াল হলেন
ক) লালন শাহ✔️
খ) নজরুল ইসলাম
গ) গোজলা গুই
ঘ) ভি . বালসারা
৫৪.নিখিল ব্যানার্জি বাজাতেন
ক) সেতার✔️
খ) সরোদ
গ) তবলা
ঘ) বাঁশি
৫৫.মাঝি মাল্লার গান-
ক) ঝুমুর
খ) টপ্পা
গ) ভাটিয়ালি✔️
ঘ) ভাওইয়া
৫৬.বাংলা সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ঐতিবাহবাহী ও প্রাচীনতম গীতশৈলী
ক) ধূর্পদ
খ) খেয়াল✔️
গ) টপ্পা
ঘ) ঠুংরি
৫৭.দ্বিজেন্দ্র গীতির প্রখ্যাত শিল্পী
ক) কৃষ্ণা চট্টোপধ্যায়✔️
খ) লোপামুদ্রা মিত্র
গ) প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়
ঘ) নির্মলা মিশ্র
৫৮.হেমাঙ্গ বিশ্বাস গাইতেন
ক) রজনীকান্তের গান
খ) গণসঙ্গীত✔️
গ) ব্যান্ডর গান
ঘ) উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত
৫৯." আমরা করব জয় " গানটির গীতিকার
ক) রুমা গুহঠাকুরতা
খ) হেমাঙ্গ বিশ্বাস
গ) শিবদাস বন্দোপাধ্যায়✔️
ঘ) ভি . বালসারা
৬০. ভি . বালসারা কে ' ডি . লিট ' উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে কোন বিশ্ববিদ্যাল়য়া
ক) কলকাতা
খ) রবীন্দ্র ভারতী
গ) বিশ্ব ভারতী✔️
ঘ) বর্ধমান
৬১.মান্না দের পোশাকি নাম কি ছিল
ক) প্রবোধচন্দ্র দে✔️
খ) প্রকাশচন্দ্র দে
গ) প্রবোধচন্দ্র দাস
ঘ) প্রবোধকুমার দে
৬২.সত্যজিৎ রায়ের " পথের পাঁচালী " সঙ্গীত পরিচালক করেছিলেন
ক) রবি শংকর✔️
খ) বিলায়েত খাঁ
গ) বিসমিল্লা খাঁ
ঘ) সত্যজিৎ রায়
৬৩.বাঁশিতে বিখ্যাত ছিলেন
ক) মেহেদী হুসেন খাঁ✔️
খ) বাহাদুর খাঁ
গ) কৃষ্ণচন্দ্র দে
ঘ) আফতাবউদ্দিন খাঁ
৬৪.রবারে বিখ্যাত শিল্পী
ক) মহম্মদ আলি খাঁ✔️
খ) দুলাল রায়
গ) ইন্ধাস খাঁ
ঘ) মনিলাল নাগ
৬৫. সন্তুরের বিখ্যাত শিল্পী
ক) জ্যোতি গোহ
খ) ইন্ধাস খাঁ
গ) দুলাল রায়✔️
ঘ) মহম্মদ আলি খাঁ
৬৬.রাগ –রাগিণী সংবলিত জুড়ির গান কে প্রবর্তন করেন ?
(A) পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী
(B) উস্তাদ রশিদ খান
(C) মদনমোহন চট্টোপাধ্যায়✔️
(D) লালাচাদ বড়াল ।
৬৭.সাতবাবুর প্রকৃত নাম কী ?
(A) আশুতোষ দেব ✔️
(B) কালীপ্রসন্ন সিংহ
(C) শরতচন্দ্র ঘোষ
(D) মনমোহন সরকার
৬৮.সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী সঙ্গীত পরিচালকের নাম কী ?
(A) আলাউদ্দিন খান
(B) আলী আকবর খান
(C) উস্তাদ রশিদ খান
(D) পণ্ডিত রবিশঙ্কর✔️
৬৯.‘পক্ষির জাতিমালা ‘ নামে সমের পাঁচালী দল কে গড়েন ?
(A) শিবচন্দ্র ঠাকুর
(B) রামনারায়ণ মিশ্র
(C) গৌড়হরি দাস মহাপাত্র✔️
(D) যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর
৭০.১৯৬৯ সালে শচিন দেব বর্মন কোন পুরস্কার পান ?
(A) এশিয়া ফিল্ম সোসাইটি পুরস্কার
(B) সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার
(C) ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার
(D) পদ্মশ্রী ।✔️
৭১.চর্যার যুগে সঙ্গীতে কটি অঙ্গ দেখা যায় ?
(A) একটি
(B) পাঁচটি
(C) চারটি
(D) ছয়টি✔️
৭২.একজন উল্লেখযোগ্য কবিয়ালের নাম –
(A) লালন ফকির
(B) হরু ঠাকুর ✔️
(C) রামপ্রসাদ সেন
(D) গোবিন্দদাস কবিরাজ
৭৩.“মিলে সবে ভারত সন্তান” – গানটি কার লেখা ?
(A) সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ✔️
(B) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(C) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
(D) অতুলপ্রসাদ সেন
৭৪.মঙ্গলগীতির মধ্যে বিশেষত মনসাগীতি এখনও রাড় বঙ্গে কী নামে অত্যন্ত জনপ্রিয় ?
(A) সার্দুটোল বিষহরী
(B) রয়ানী
(C) ঝাপান✔️
(D) ভাসান
৭৫.কত সালে মান্না দে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পান ?
(A) ১৯৭১ সালে
(B) ২০০৫ সালে
(C) ২০১১ সালে
(D) ২০০৭ সালে ✔️
৭৬.বাংলা গানে সঞ্চারির প্রবর্তন কে করেন ?
(A) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
(B) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর✔️
(C) রজনীকান্ত সেন
(D) রামনিধি গুপ্ত
৭৭.‘ কীর্তন ‘ সম্রাট কাকে বলা হয় ?
(A) নিমাই ভারতী
(B) সত্যসাধন বৈরাগী
(C) সন্তোষ বৈদ্য
(D) নন্দকিশোর দাস ✔️
৭৮.“ওই মহাসিন্ধুর ওপার হতে” – গানটির রচয়িতা কে ?
(A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(B) অতুলপ্রসাদ সেন
(C) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়✔️
(D) রজনীকান্ত সেন
৭৯.“মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই” – গানটি কার রচনা ?
(A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(B) অতুলপ্রসাদ সেন
(C) কাজীনজরুল ইসলাম
(D) রজনীকান্ত সেন✔️
৮০.ঋত্বিক ঘটকের ‘ বাড়ি থেকে পালিয়ে ‘ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা কে করেন ?
(A) সলিল চৌধুরী✔️
(B) বাহাদুর খা
(C) পণ্ডিত রবিশঙ্কর
(D) জ্যতীন্দ্র মৈত্র
✍️বড় প্রশ্ন (মান-৫):
১.বাংলা গানের ধারায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা কর।
উত্তর- বাংলা গানের ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য নাম হল হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (১৯২০- ১৯৮৯)। তিনি একাধারে গায়ক, সংগীত নির্দেশক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি বাংলা আধুনিক গানের স্বর্ণযুগের অন্যতম একজন কারিগর।
১৯৩৭ সালে শৈলেশ দত্তগুপ্তের তত্ত্বাবধানে বেসিক ডিস্কের গানে গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ১৯৪১ সালে ‘নিমাই সন্ন্যাস’ ছবিতে গান গেয়ে নেপথ্য শিল্পী হিসাবে তাঁর পথচলা শুরু হয়। এরপর একে একে ‘শাপমােচন, ‘হারানাে সুর’, ‘সন্দীপন পাঠশালা’, ‘সূর্যতােরণ’, ‘বালিকা বধূ’, ‘সাত পাঁকে বাঁধা’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘নীল আকাশের নীচে’ প্রভৃতি অসংখ্য ছবিতে তিনি গান গেয়েছেন। বাংলা ছায়াছবিতে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে যেমন তাঁর খ্যাতি, তেমনি সুরকার হিসেবেও তিনি বহু ছবিতে কাজ করেছেন।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীতপ্রতিভা কেবল বাংলা ছায়াছবির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, গায়ক এবং সুরকার হিসাবে তিনি বহু হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন। হিন্দি গানের জগতে তিনি হেমন্তকুমার নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি’, ‘আমায় প্রশ্ন করে’, ‘ও নদী রে’, ‘পথের ক্লান্তি ভুলে’, ‘এই মেঘলা দিনে একলা’, ‘এই রাত তােমার আমার’, ‘আয় খুকু আয়’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘নীড় ছােটো ক্ষতি নেই’, প্রভৃতি গানগুলি এখনো সমান জনপ্রিয়।
শুধুমাত্র ছায়াছবির গান বা বাংলা আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে নয়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্রসঙ্গীতেরও একজন খ্যাতনামা শিল্পী ছিলেন। হেমন্তর কন্ঠে রবি ঠাকুরের গান বাঙালি শ্রোতার হৃদয় স্পর্শ করে।
২.বাংলা সংগীতের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের অবদান আলোচনা করো। (৫)
উত্তর- বাংলা সঙ্গীতের ধারায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯- ১৯৭৬) নিজেই যেন একটা অধ্যায়। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সর্বোপরি একজন সঙ্গীতজ্ঞ।
নজরুলের সঙ্গীত প্রতিভা বিচিত্র এবং বহুমুখী। তাঁর গানগুলিকে নিম্নোক্ত শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।
দেশাত্মবোধক গান– ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘ঊর্ধ্বগগনে বাজে মাদল’ ইত্যাদি।
গজল– ‘আসে বসন্ত ফুলবনে’, ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই’, ‘দুরন্ত বায়ু পুরবইয়া’, ‘চেয়ো না সুনয়না’, ‘বসিয়া নদীকূলে’ ইত্যাদি।
রাগাশ্রয়ী– বিভিন্ন রাগ-রাগিনী ব্যবহার করে নজরুল অসংখ্য গান লিখেছেন। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল- ‘ভোরের হাওয়া এলে ঘুম ভাঙাতে’ (রামকেলী), ‘আমার কোনো কূলে আজ ভিড়লো তরী’ (খাম্বাজ-দাদরা) ইত্যাদি।
হিন্দু ভক্তিগীতি– ‘শ্যামা বড়ো লাজুক মেয়ে’, ‘জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী’, ‘জাগো হে রুদ্র জাগো রুদ্রাণী’ ইত্যাদি।
ইসলামি গান- ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে’, ‘ইসলামের ঐ সওদা লয়ে’, ‘তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে’ প্রভৃতি।
লোকসংগীত– ‘আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল’, ‘সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ’, ‘কুচ বরণ কন্যারে’ ইত্যাদি।
প্রভাবিত গান– দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গানের সুরে প্রভাবিত হয়ে নজরুল যেসব গান রচনা করেছিলেন, সেগুলিকে প্রভাবিত গান বলা হয়। যেমন, ‘মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে’, ‘দূর দ্বীপবাসিনী’ ইত্যাদি।
এছাড়াও রয়েছে হাস্যরসাত্মক এবং প্যারোডি গান, নতুন তালের গান, হিন্দি গান এবং ছায়াছবির গান। এইভাবে তাঁর গানে বাংলা সঙ্গীতের সমস্ত ধারার মিলন ঘটেছে।
৩.বাংলা গানের ধারায় সলিল চৌধুরীর বিশিষ্টতা সম্পর্কে আলোচনা করো। ৫
উত্তর– বাংলা তথা ভারতীয় সংগীতের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হল সলিল চৌধুরী (১৯২৩- ১৯৯৫)। প্রথম জীবনে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ‘বিচারপতি’, ‘রানার’, ‘অবাক পৃথিবী’র মতো বহু সার্থক গণসঙ্গীতের স্রষ্টা তিনি।
বাংলা চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৪৯ সালে ‘পরিবর্তন‘ ছবির মাধ্যমে। ‘বাঁশের কেল্লা’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘গঙ্গা’, ‘কিনু গোয়ালার গলি’, ‘লালপাথর’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘হারানের নাতজামাই’ প্রভৃতি বহু বাংলা ছবিতে তিনি সুরারোপ করেছিলেন।
১৯৫৩ সালে নির্মিত ‘দো বিঘা জমিন‘ ছবির মাধ্যমে হিন্দি সিনেমার সংগীতকার হিসেবে তাঁর পথচলা শুরু হয়। এরপর একে একে ‘জাগতে রহো’, ‘মুসাফির’, ‘মধুমতি’, ‘হাফটিকিট’, ‘আনন্দ’, ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ সহ প্রায় ৭৫ টি হিন্দি সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন।
বাংলা, হিন্দি ছাড়াও তিনি প্রায় ২৬টি মালায়ালাম ছবিতে এবং বেশ কিছু তামিল, কন্নড়, তেলুগু, মারাঠি, অসমিয়া, গুজরাটি ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
বিশেষত্ব:
১) তিনি একাধারে একজন সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার, কবি, গল্পকার এবং একজন সার্থক আয়োজক ছিলেন।
২) তাঁর গানে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সংগীতের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
৩) বাংলা গানে পাশ্চাত্য সংগীতের ব্যবহারের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রপথিক।
৪) তিনি প্রথম ‘কয়্যার’ সংগীতের প্রবর্তন করেন।
৫) তিনি প্রকৃত অর্থেই সুরের জাদুকর ছিলেন। সুর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন এবং তাঁর গানে সেগুলি প্রয়োগ করতেন। তাঁর সংগীতপ্রতিভা ছিল বহুমুখী এবং সৃজনশীল।
৪.বাংলা সঙ্গীতের ধারায় অতুলপ্রসাদ সেনের কৃতিত্ব আলোচনা কর ?
উত্তর- বাংলা সঙ্গীতের জগতে অতুলপ্রসাদ সেন একজন উল্লেখযোগ্য বাক্তি (১৮৭১-১৯৩৪খ্রি)। অতুলপ্রসাদ একধারে সঙ্গীতজ্ঞ, গীতিকার, সঙ্গীত বিশারদ এবং শিল্পী ছিলেন । তাঁর রচিত গান গুলিকে ৫ টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়-
রাগাশ্রয়ী গান– গানের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাগ মিশ্রণের ফলে তাঁর রাগাশ্রয়ী গান গুলি অনন্যসাধারণ হয়ে উঠেছে। ‘ডাকে কোয়েলা বারে বারে’ ‘মুরুলি কাঁদে রাঁধে রাঁধে’ প্রভৃতি গানগুলি বিশেষভাবে রসোত্তীর্ণ হয়েছে।
গজল, টপ্পা ও ঠুংরি – বাংলা ভাষার গজল রচনায় অতুলপ্রসাদ পথিকৃত ছিলেন। ‘কে গো তুমি বিরহিণী’, ‘কত গান তো হল গাওয়া’ প্রভৃতি গানগুলি উল্লেখযোগ্য। তাঁর টপ্পা ও ঠুংরি গানে উত্তরপ্রদেশের কাজরি ও লগনী গানের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
স্বদেশী সঙ্গীত – ‘ওঠো গো ভারত লক্ষী’, ‘বলো বলো বলো সবে’ প্রভৃতি স্বদেশ গীতিগুলি এখনো সমান জনপ্রিয়।
ঋতু সঙ্গীত– অতুল প্রসাদের অনেক গানের বিভিন্ন ঋতু সার্থকভাবে চিত্রিত হয়েছে। যেমন- ‘বধুয়া নিদ নাহি আঁখিপাতে’, ‘আইল আজি বসন্ত মরি মরি’ প্রভৃতি গানগুলি যথার্থ ঋতুসঙ্গীতে হয়ে উঠেছে।
অনান্য– উপরোক্ত শ্রেণী ছাড়াও অতুলপ্রসাদ বাউল কীর্তন, ভাটিয়ালি প্রভৃতি দেশজ সুরে বহু গান রচনা করেছেন। তাঁর লেখা গান গুলি ‘কাকলি’,‘কয়েকটি গান’,‘গীতগুঞ্জ’ এই তিনটি বইয়ে সংকলিত হয়েছে।
৫.বাংলা সঙ্গীতে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কৃতিত্ব আলোচনা কর।
উত্তর– বাংলা সঙ্গীতের ধারায় রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক আর একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব হলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায় । তাঁর পিতা কার্ত্তিকেয়চন্দ্র রায় ছিলেন কৃষ্ণনগর রাজসভার দেওয়ান এবং উনিশ শতকের প্রথম দিকে খেয়াল-চর্চাকারীদের মধ্যে অন্যতম । সেই সুত্রে দ্বিজেন্দ্রলালেরও ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের উপর বিশেষ দখল ছিল। ১৮৮৪ খ্রি ইংল্যান্ডে বসবাসকালীন বিদেশি সুরের সান্নিধ্যে আসেন এবং নিজ প্রতিভাবলে সেগুলি আত্মস্থ করেন। দ্বিজেন্দ্রলালের গানে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা, বাউল, স্বদেশী গান এবং প্যারোডি- ভারতীয় সঙ্গীতের বিচিত্র শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরন ছিল। ভারতীয় সঙ্গীতের কমনীয়তা এবং পাশ্চাত্য সঙ্গীতের প্রানশক্তি দ্বিজেন্দ্রলালের গানগুলিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
দ্বিজেন্দ্রলালের সবচেয়ে বেশী খ্যাতি নাট্যকার হিসেবে। প্রায় সমস্ত নাটকেই তিনি সার্থকভাবে গানের প্রয়োগ করেছেন। ‘সাজাহান’, ‘চন্দ্রগুপ্ত’, ‘রানাপ্রতাপ’, ‘মেবার পতন’ প্রভৃতি নাটকগুলির গানও বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁর ‘সোরাবরুস্তম’ নাটকটি বিদেশি অপেরার ঢঙে রচিত হয়েছিল। আবার কোরাস গানের প্রয়োগেও তিনি পথিকৃৎ ছিলেন।
তাঁরই সুযোগ্য পুত্র দিলীপ কুমার রায় দ্বিজেন্দ্রলালের গানগুলিকে ৫ ভাগে ভাগ করেছেন। যথা- পূজা , দেশ, প্রেম, প্রকৃতি, এবং বিবিধ। তবে স্বদেশসঙ্গীতগুলির কারনেই দ্বিজেন্দ্রলাল চিরস্মরনীয় থাকবেন । ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’, ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’ প্রভৃতি গানগুলি বাঙালির অন্তরে স্থায়ী আসন লাভ করেছে। ‘আর্যগাথা’ গীতি সংকলনে তাঁর গানগুলি লিপিবদ্ধ রয়েছে।
৬.বাংলা গানের ধারায় রজনীকান্ত সেনের ভূমিকা ?
উত্তর – রবীন্দ্রনাথের প্রায় সমকালীন আর একজন বাঙ্গালি সঙ্গীত বিশেষজ্ঞের নাম হল রজনীকান্ত সেন (১৮৬৫-১৯১০)। বয়সে তিনি রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ছোট ছিলেন। তবুও তাঁর স্বল্প আয়ুষ্কালে তিনি অসংখ্য গান রচনা করেছিলেন। ‘বাণী’ ও ‘কল্যাণী’ গ্রন্থদুটিতে রজনীকান্তের গানগুলি সংকলিত হয়ে আছে। তাঁর গানগুলিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায় –
স্বদেশ সঙ্গীত- ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই’, ‘নমো নমো নমো জননী বঙ্গ’ প্রভৃতি দেশাত্মবোধক গান একসময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। যদিও সংখ্যায় কম তবুও তার স্বদেশ সঙ্গীত গুলি যথেষ্ট উৎকৃষ্ট মানের ছিল।
হাসির গান- রজনীকান্ত বেশকিছু হাসির গান লিখেছিলেন – ‘যদি কুমড়োর মতো চালে ধরে রতো/ পান্তুয়া শত শত’, প্রভৃতি গান এই শ্রেণীতে পড়ে ।
ভক্তিগীতি– রজনীকান্ত মুলত তার ভক্তিগীতির জন্য বাঙালির হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন । তার লেখা ভক্তিগীতিগুলি বাণী, সুর, ভাব, কাব্যমাধুর্য, নিজস্বতা এবং সহজ চলনের জন্য বাংলা গানের ভুবনে বিশিষ্ট হয়ে আছে। এই পর্যায়ের একটি বিশিষ্ট গান হল—‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’।
বাঙ্গালী সমাজে রজনীকান্ত সেন ‘কান্ত কবি’ এবং তাঁর গান ‘কান্তগীতি’ নামে প্রসিদ্ধ। অনুপ ঘোষাল, পান্না লাল ভট্টাচার্য, হেমন্ত ভট্টাচার্য, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ স্বনামধন্য শিল্পীরা কান্তগীতি গেয়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন ।
৭.বাংলা গানের ইতিহাসের মান্না দের অবদান উল্লেখ কর ?
উত্তর- বাংলা আধুনিক গানের একজন খ্যাতনামা গায়ক হলেন মান্না দে তাঁর পিতৃদত্ত নাম ছিল প্রবোধ চন্দ্র দে । তাঁর সঙ্গীতশিক্ষা শুরু হয় কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে-র কাছে এবং তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তলিম নিয়েছিলেন ওস্তাদ দবির খাঁ-এর কাছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি ওস্তাদ আমন আলি খান, ওস্তাদ আব্দুল রহমান খান প্রমুখের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা নিয়েছিলেন ।
মান্না দে-র নেপথ্য শিল্পী হিসেবে কর্ম জীবনের শুরু হয় একটি হিন্দি ছবি দিয়ে । ১৯৪২ সালে মুক্তিপাপ্ত ‘তামান্না’ ছবিতে সুরাইয়া–র সঙ্গে ‘জাগো, আয়ি ঊষা’ গানটি । পরবর্তী কালে বাংলা ছায়াছবির নেপথ্য শিল্পী হিসেবে তিনি অনেক গান গেয়েছেন। ‘লালনফকির’, ‘বৈকুণ্ঠের উইল’, ‘গনদেবতা’, ‘দেবদাস’, ‘সন্ন্যাসিরাজা’, ‘মৌচাক’ প্রভৃতি বাংলা ছবিতে তিনি গান গেয়েছেন। বাংলা, হিন্দি ছাড়াও মান্না দে ভোজপুরি, মৈথিলী, পাঞ্জাবি, উড়িয়া, আসামিয়া, গুজরাঠি, মারাঠি, নেপালি, কন্নড় এবং মালয়ালম ভাষাতেও গান গেয়েছেন।
মান্না দের কণ্ঠে যে গান গুলি বাঙালির হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সেগুলি হল- ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’, ‘আমি যে জলসাঘরে’, ‘হাজার টাকার ঝাড়বাতিটা’, ‘আমায় একটু জায়গা দাও’ ইত্যাদি। ভারতীয় সঙ্গীতে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী (১৯৭১), পদ্মভূষণ (২০০৫), এবং দাদা সাহেব ফালকে (২০০৭) পুরষ্কারে ভূষিত করেছে। তাছাড়াও ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করে।
...................