📚রূপনারানের কূলে: প্রশ্নোত্তর (MCQ+SAQ+DAQ)📚
MCQ প্রশ্নোত্তর [মান ১]:
1. রক্তের অক্ষরে কবি কী দেখেছিলেন?
(খ) শহিদের আত্মদান (গ) শোষকের অত্যাচার (ঘ) সম্প্রীতির চেহারা
Ans. (ক) আপনার রূপ
2. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি যে কাব্যের অন্তর্গত
(ক) শেষ সপ্তক (গ) মানসী (ঘ) মহুয়া
Ans. (খ) শেষলেখা
3. ‘এ জীবন’ হলো—
(ক) দুঃখের তপস্যা (খ) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা (গ) আমৃত্যু তপস্যা (ঘ) তপস্যা
Ans. (খ) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা
4. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় জীবন নিয়ে যে পঙক্তিটি আছে—
(ক) জানিলাম এ জীবন স্বপ্ন নয় (খ) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন (গ) কঠিন সত্যকে জানিলাম এ জীবনে (ঘ) কোনোটিই নয়
Ans. (খ) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন
5. “চিনিলাম আপনারে” – রবীন্দ্রনাথ যেভাবে নিজেকে চিনেছেন—
(ক) আঘাতে ও বেদনায় (খ) আঘাতে আঘাতে বেদনায় (গ) আঘাত ও বেদনায় (ঘ) আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়
Ans. (ঘ) আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়
6. “সে কখনো করে না _________।"
(ক) বিভ্রান্ত (খ) বঞ্চনা (গ) আশাহত (ঘ) মোহগ্রস্ত
Ans. (খ) বঞ্চনা
7. “সে কখনো করে না বঞ্চনা” –‘সে’ হলো—
(ক) মৃত্যু (খ) সত্য (গ) কঠিন সত্য (ঘ) কঠিন মিথ্যা
Ans. (গ) কঠিন সত্য
8. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি ভালোবেসেছেন—
(ক) কঠিনকে (খ) সত্যকে (গ) নিজেকে (ঘ) কঠিন সত্যকে
Ans. (ঘ) কঠিন সত্যকে
9. “সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে...” তারপর কবি যা করবেন—
(ক) সকল দেনা শোধ করে দেবেন (খ) মৃত্যুবরণ করবেন (গ) মৃত্যুর মাধ্যমে সকল দেনা বা সত্যের দারুণ মূল্য শোধ করে দেবেন (ঘ) নতুন করে জন্মাবেন
Ans. (গ) মৃত্যুর মাধ্যমে সকল দেনা বা সত্যের দারুণ মূল্য শোধ করে দেবেন
10. “কঠিনেরে ভালোবাসিলাম” – যিনি ভালোবাসেন
(ক) নীরেন্দ্রনাথ (খ) জগদীশচন্দ্র (গ) দ্বিজেন্দ্রনাথ (ঘ) রবীন্দ্রনাথ
Ans. (ঘ) রবীন্দ্রনাথ
11. “জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়” – যিনি জানলেন—
(ক) রানি চন্দ (খ) রবীন্দ্রনাথ (গ) অবনীন্দ্রনাথ (ঘ) রথীন্দ্রনাথ
Ans. (খ) রবীন্দ্রনাথ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর [মান ১]:
1. “সে কখনো করে না বঞ্চনা”– এখানে ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
Ans. 'শেষলেখা' কাব্যের অন্তর্গত ‘রূপনারানের কূলে’ নামাঙ্কিত কবিতায় ‘সে’ বলতে ‘কঠিনের কথা বলা হয়েছে।
2. “সত্য যে কঠিন”– কবি ‘সত্য’কে ‘কঠিন’ বলেছেন কেন ?
Ans. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যকে উপলব্ধি করেছেন কঠিন আঘাত ও চরম বেদনার মধ্যে দিয়ে। তাই যে জীবন সাধারণ কল্পনায় আসে, যে জীবন রোমান্টিক স্বপ্ন বিলাসের, সেই জীবনকে প্রত্যাশা করেননি কবি। তাই সত্যকে তিনি খুঁজেছেন কঠিনের মধ্যে।
3. “সত্যের দারুণ মূল্য” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
Ans. মৃত্যুপথযাত্রী কবি জগৎকে সত্য হিসেবে দেখেছেন। দুঃখের তপস্যায় তিনি নিজেকে চিনেছেন। সত্যের সাধনা যে কত কঠিন এবং তার জন্যে কতখানি ত্যাগ করতে হয় সেই উপলব্ধিকে ব্যক্ত করতে গিয়ে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন কবি।
4. "রক্তের অক্ষরে দেখিলাম।” “রক্তের অক্ষরে’ কবি কী দেখেছিলেন ?
Ans. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'রক্তের অক্ষরে' দেখেছিলেন তার আত্মরুপ তথাৎ 'আপনার রূপ' দেখেছিলেন রক্তের অক্ষরে।
5. “চিনিলাম আপনারে” – কবি আপনাকে কীভাবে চিনেছিলেন?
Ans. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, তিনি আঘাতের মধ্যে দিয়ে, বেদনার মধ্যে দিয়ে নিজের স্বরূপকে চিনতে পেরেছিলেন।
6. “রূপনারানের কূলে জেগে উঠলাম।” কে রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছিলেন ?
Ans. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছিলেন।
7. “আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এ জীবন।” জীবন’-কে দুঃখের তপস্যা’ বলা হয়েছে কেন?
Ans. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানতেন, জীবনে দুঃখের আধার রাত্রি বার বার ঘনিয়ে আসে। কোনো এক অদৃশ্য নাগপাশে আমরা বাঁধা পড়ে থাকি। ফলে আমাদের শান্তি বিঘ্নিত হয়। এজন্যে কবি জীবন’কে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন।
8. “জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়” কীভাবে কবি একথা জেনেছিলেন?
Ans. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ যখন জেগে উঠেছিলেন, অর্থাৎ তিনি যখন মানবসংসারে জেগে উঠেছিলেন, তখনই জেনেছিলেন এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
9. কবি কোন সত্যকে ভালোবেসেছিলেন?
Ans. সে সত্য রূঢ় বাস্তব, যাকে মানুষ মেনে নিতে বাধ্য কবি একথা উপলব্ধি করে সেই সত্যকেই ভালোবেসেছিলেন।
10. সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কবির বক্তব্য কী?
Ans. সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কবির বক্তব্য – সত্য অপ্রকাশিত থাকে না।
11. রূপনারানের কূলে কবিতায় মৃত্যুতে সকল দেনা’ কীভাবে শোধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছিলেন?
Ans. জীবনের পদে পদে বিচিত্র দুঃখ-বেদনার আঘাতে আঘাতে কঠিন সত্যকে স্বীকার করে মৃত্যুকে বরণ করলেই জীবনের ঋণ শোধ করা সম্ভব।
12.‘ রুপনাৱানের কুলে’ কবিতাটি কোন্ কবির জীবনের কোন পর্বের রচনা?
উ: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের অন্তিম পর্বে মৃত্যুর কিছুদিন আগের রচনা।
13.‘রূপনাৱানেৱ কূলে’ কবিতাটি কোথায়, কোন সময়ে রচিত হয়?
উ: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি শান্তিনিকেতনের উদয়নে ৩০ বৈশাখ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে (১৩ মে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে) রাত্রি ৩টে ১৫ মিনিটে রচিত হয়।
14.‘রূপনাৱানেৱ কূলে’ কবিতাটি কার লেখা, কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উ: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘শেষলেখা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।
15. রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি কী জানলেন?
উ: রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি জানলেন, এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
16. কবি রক্তের অক্ষৱে কী দেখলেন?
উ: কবি রক্তের অক্ষরে দেখলেন আপনার রূপ।
17. কবি নিজেকে কীভাবে চিনলেন?
উ: কবি নিজেকে চিনলেন আঘাতে আঘাতে, বেদনায় বেদনায়।
18.কবিৱ কী উপলব্ধি হলো এবং তাৱ ফলই বা কী হল?
উ: কবির উপলব্ধি হল যে, সত্য কঠিন এবং তার ফল হল যে, কবি কঠিন সত্যকে ভালােবাসলেন।
19. কবি উপলব্ধিজাত কঠিন সত্যকে ভালােবাসলেন, কেন?
উ: কবি উপলব্ধিজাত কঠিন সত্যকে ভালােবাসলেন, কারণ সে কখনও বঞ্চনা করে না।
20. কবিৱ এ জীবন কী বলে মনে হল?
উ: কবির এ জীবন আমৃত্যু দুঃখের তপস্যার সিদ্ধি বলে মনে হল।
21. কবির মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দেওয়ার অভিপ্রায় কেন?
উ: কবির মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দেওয়ার অভিপ্রায় এজন্য যে, তাতে তিনি সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করবেন।
22.রূপনাৱানেৱ কূলে কবিতায় মৃত্যুতে সকল দেনা কীভাবে শােধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছিলেন?
উ: জীবনভর দুঃখের যে তপস্যা চলেছে তাতে সত্যের দারুণ মূল্য দিয়ে জীবনের সকল দেনা চুকিয়ে মৃত্যুতে নিজেকে সমর্পণে প্রয়াসী হয়েছেন কবি রবীন্দ্রনাথ।
23. “কঠিনেরে ভালােবাসিলাম’—কবি কেন ‘কঠিন’কে ভালােবাসলেন?
উ: অনেক দুঃখ, আঘাত ও বেদনাময় তপস্যায় উত্তীর্ণ উপলদ্ধিজাত সত্য হল ভয়ানক কঠিন। কবি সেই কঠিনকে ভালােবাসলেন কঠিনকে ভালােবাসার কারণ এই।
24.‘রূপনারায়ণের কূলে’ কবিতাটি কবে, কোথায় রচিত?
উত্তরঃ ‘রূপনারায়ণের কূলে’ কবিতাটি ১৩ মে, ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতনের ‘উদয়ন’ বাড়িতে রচিত।
25.‘এ জগৎ স্বপ্ন নয়’—কবির কখন এই উপলব্ধি হয়?
উত্তরঃ মৃত্যুর রূপ অভিজ্ঞতার পর যখন পূর্নবার চেতনা জাগরিত হল, তখন কবি উপলব্ধি করলেন ‘এ জগৎ স্বপ্ন নয়’।
26. ‘এ জগৎ স্বপ্ন নয়’—কবির চোখে জগৎ কেমন?
উত্তরঃ একসময় কবির ধারণা ছিল যে জগৎ স্বপ্নময়। মৃত্যুর রূপ অভিজ্ঞতার পর কবি কঠোর জীবন সত্যকে অনুভব করেন।
27. ‘চিনলাম আপনারে’—কবি নিজেকে কীভাবে চিনেলন?
উত্তরঃ কবি নিজেকে ছিলেন আঘাতে আঘাতে, বেদনায় বেদনায়।
28. ‘সত্য যে কঠিন’—সত্যকে কঠিন বলার কারন কী?
উত্তরঃ ক্রমাগত আঘাত ও বেদনালাভের পর কবি সত্যের কঠিন রূপকে উপলব্ধি করেন। তাই কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন।
29.‘কঠিনেরে ভালোবেসেছিলাম’—কবি কেন ‘কঠিন’ কে ভালবাসলেন?
উত্তরঃ সত্য কঠিন হলেও কবি সত্যকে ভালোবাসেন, কারন সত্য কখনো বঞ্চনা করে না।
30. ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন, ‘—কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন কেন?
উত্তরঃ সত্য কঠিন, তাকে লাভ করতে হলে আজীবন দুঃখের তিমিরকে জয় করতেই হয়। তাই কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন।
31. কবি দেন শোধ করে দিতে চান কেন?
উত্তরঃ কবি মৃত্যুর হাতে নিজেকে নিশ্চিতে সমর্পন করতে চান। তাই জীবনের যাবতীয় দেনা তিনি শোধ করে দিতে চান।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (প্রশ্নের মান-৫):
1."রূপনারানের কূলে / জেগে উঠিলাম" - কে জেগে উঠলেন ? জেগে ওঠার আসল অর্থ কবিতাটির মধ্যে কিভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা আলোচনা করো।
অথবা, “রূপনারাণের কূলে” কবিতাটির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
উঃ 👉 প্রশ্নে উদ্ধৃত আলোচ্য লাইনটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষলেখা’ কাব্যগ্রন্থের “রূপনারানের কূলে” কবিতার একটি অংশ। এই লাইনটি তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে রূপনারানের তীরে জেগে উঠেছেন।
👉 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ সমাপ্তিতে দাঁড়িয়ে যে গভীর জীবন উপলব্ধি অর্জন করেছিলেন তা হল জীবন কোন স্বপ্ন নয় তা অত্যন্ত বাস্তব ও কঠিন। আর প্রতিটি জীবনের সত্য কঠিন গুলি অনিবার্যভাবে জীবনে নেমে আসে আর তাকে আমাদের উদাহর ভাবে আমন্ত্রণ জানানো উচিত বলে তিনি মনে করেছেন।
কবিতা টি তে তিনি যে রূপনারায়ণ নদী বলেছেন তা বিশেষ অর্থে কোন নদী নয় তা রূপময়ী জগতকে বুঝিয়েছেন। তিনি জীবনের প্রকৃত সত্য হিসাবে উপলব্ধি করেছেন যে স্বপ্ন নয় বরং আঘাত আর বেদনার মধ্য দিয়েই জীবনকে প্রকৃতরূপে চেনা যায়। যেমন কবি নিজে বিভিন্ন সংঘাত আর কঠিনকে অবলম্বন করে নিজের জীবনকে চিনেছেন।
জীবন সায়ান্নে কবি আরো উপলব্ধি করেছেন যে আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা হল জীবন। আর দুঃখের তপস্যার মধ্য দিয়ে জীবনের সমস্ত চরম মূল্য কে আমাদের মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে হয়। এই কারণে তিনি রূপনারানের নদী থেকে জেগে উঠেছেন বাস্তবের মাটিতে, যেখানে তিনি জানেন মৃত্যু অনিবার্য তবুও সেই কঠিন সত্য কে তিনি মনেপ্রাণে মেনে নিয়েছেন।
2."সে কখনো করে না বঞ্চনা " - কে কখনও বঞ্চনা করেনা ? কবি কিভাবে এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন।
উঃ 👉 আলোচ্য লাইনটিতে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতে চেয়েছেন যে সত্য কখনও বঞ্চনা করেনা। কারন সে অনিবার্য ও বাস্তব।
👉জীবনের পরিপূর্ণতা যে কঠিন সত্যকে মেনে নিয়ে ও বিভিন্ন কষ্টের আঘাতে আর বেদনায় তা জীবনের শেষ পরিস্থিতিতে পৌঁছে কবি রবীন্দ্রনাথ অনুভব করতে পেরেছেন। তিনি সমস্ত জীবন শেষে রূপনারানের তীরে জেগে উঠে নিজেকে বাস্তবের সাথে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন।
আর এখানে পৌঁছে তিনি জীবনের সব থেকে কঠিন উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন তা হলো সত্য। কারন সত্য কঠিন হলেও তাকে সাদরে আমাদের জীবনে বরণ করে নিতে হয়। তাই সেই সত্যের মধ্যে যত কঠিন পরিস্থিতি লুকিয়ে থাকুক না কেন তাকে মেনে নিতেই হয় আমাদের।
কল্পনাবিলাস আমাদের জীবনে সাময়িক আনন্দের আভাস দিলেও সে যে পুরো জীবন হতে পারে এটি এক নিছক কল্পনা মাত্র। এই কারণে কবি নিজেই রূপ জগত থেকে বাস্তবের জগতে ফিরে এসে দাঁড়িয়েছেন। আসলে প্রকৃত জীবনকে উপলব্ধি করতে হলে তা কল্পলোকে সম্ভব নয় বাস্তবের মাটিতে থাকতে হয়।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের শেষে পৌঁছে নিজেকে এক দীর্ঘসময়ের রূপ জগতের নদী থেকে জাগিয়ে তুলেছেন অনুভব করেছেন জীবনের কঠিন সত্য গুলিকে। আর এই উপলব্ধির সূত্র ধরে তিনি বুঝতে পেরেছেন একমাত্র জীবনে সত্য, সে যত কঠিনই হোক কখনো বঞ্চনা করেনা।
...............