📚উচ্চমাধ্যমিক দর্শন: অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর: দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বচন📚
MCQ (বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী:
১। সাধারণত বচন হল--
( a ) প্রশ্নসূচক ( b ) আদেশসূচক ( c ) ইচ্ছা প্রকাশক ( ✓d ) ঘােষক বাক্য।
২। বচনের উৎস কী?
( a ) চিন্তা ( b ✓) বাক্য । ( c ) ইচ্ছা ( d ) যুক্তি
৩। বাক্যের মাধ্যম হল—
( a ) চিন্তা (b) অনুমান ( c ) ইচ্ছা ( ✓d ) ভাষা
৪। বাক্যের অংশ কয়টি?
( a ✓) দুটি ( b ) তিনটি ( c ) একটি ( d ) চারটি
*৫। বচন বলতে বােঝায়--
( a ) শব্দসমষ্টি ( b ) উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় আরােপ করে যে বাক্য ( c ✓) যুক্তিবিজ্ঞানে ব্যবহৃত বাক্যকে ( d ) একপ্রকার বাক্য
৬। আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হল—
( a ) দুটি ( b ) তিনটি ( c ✓) চারটি (d) পাঁচটি
৭। সম্বন্ধ অনুসারে বচন কয়প্রকার ?
( a ) একপ্রকার ( ✓b ) দুইপ্রকার ( c ) তিনপ্রকার ( d ) চারপ্রকার
৮। সংযােজক কার অংশ ?
( a ) বাক্যের ( b ✓) বচনের ( c ) যুক্তির ( d ) অনুমানের
৯। ক্রিয়া যার অংশ তাকে বলা হয়--
( a✓ ) বাক্য ( b ) বচন ( c ) বস্তু ( d ) জ্ঞান ।
১০। গুণ ও পরিমাণ অনুসারে বচন কয় প্রকার ?
( a ) দুইপ্রকার ( b ) তিনপ্রকার । ( ✓c ) চারপ্রকার ( d ) পাঁচপ্রকার
১১। বচনের যে অংশ সম্বন্ধে কিছু বলা হয় , তাকে বলে --
( a ) মানক ( ✓b ) উদ্দেশ্যপদ ( c ) সংযােজক ( d ) বিধেয়পদ
১২। উদ্দেশ্যের সঙ্গে বিধেয়কে যুক্ত করে যে চিহ্ন তা হল --
( a ) পরিমাণক ( b ) উদ্দেশ্যপদ ( c✓ ) সংযােজক ( d ) বিধেয়পদ
১৩। কেবলমাত্র সত্য বা মিথ্যা হতে পারে কোনটি?
( a ) পদ ( b✓ ) বচন । ( c ) যুক্তি ( d ) শব্দ
১৪। সত্য বা মিথ্যা হতে পারে না কোনটি ?
( a ✓) যুক্তি ( b ) বচন ( c ) পদ ( d ) শব্দ
১৫। কোনটি পদ নয় ?
( a ) শব্দ ( b✓ ) সংযােজক ( c ) উদ্দেশ্য ( d ) বিধেয়
১৬। বচন হবে কেবলমাত্র ( a✓ ) ঘােষক বাক্য ( b ) সামান্য বাক্য ( c ) বিশেষ বাক্য ( d ) সদর্থক বাক্য
১৭। যে বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে স্বীকার করা হয়, তা হল --
( a ) সামান্য বচন ( b ) বিশেষ বচন ( c✓ ) সদর্থক বচন ( d ) নঞর্থক বচন
১৮। যে বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে অস্বীকার করা হয় , তা হল--
( a ) দির্থক বচন ( ✓b ) নঞর্থক বচন ( c ) সামান্য বচন ( d ) বিশেষ বচন
১৯। নিরপেক্ষ বচন হল --
( a ) যে বচনে কোনাে সাধারণ ঘােষণা নেই
( b ) যে বচনে কয়েকটি শর্ত আছে
( c✓ ) যে বচনে কোনাে সাধারণ ঘােষণা আছে ।
( d ) যে বচনে কোনাে শর্ত নেই ।
২০। সাপেক্ষ বচন হল—
( a ✓) যে বচনে একটিমাত্র শর্ত থাকে
( b ) যে বচনে কোনাে ঘােষণা নেই
( c ) যে বচনে কোনাে শর্ত নেই ।
( d ) যে বচনের অর্থ আছে।
২১। নিরপেক্ষ বচনের স্বরূপে যা থাকে , তা হল--
a ) শর্ত ( b ) বিস্ময় ( d ) জিজ্ঞাসা ( ✓c ) নিঃশর্ত ঘােষণা
২২। সাপেক্ষ বচনের স্বরূপে যা থাকে , তা হল-
(a✓) শর্ত b ) জিজ্ঞাসা ( c ) নিঃশর্ত ঘােষণা d ) বিস্ময়
২৩। কোনাে চতুর্ভুজ নয় ত্রিভুজ — এটি কোন ধরনের ৰচন ?
( ✓a ) নিরপেক্ষ বচন । b ) সাপেক্ষ বচন ( c) মিশ্র বচন (d ) কোনােটিই নয়।
২৪। যদি সে আসে তাহলে আমি যাব — এটি কোন ধরনের বচন?
( a ) নিরপেক্ষ বচন ( b ) সাপেক্ষ বচন ( c✓) প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ বচন ( d ) বৈকল্পিক নিরপেক্ষ বচন
২৫। বচনাকারে থাকে -
( a ) সংযােজক ( b ) পরিমাণক ( c ) পদ ( d✓ ) উদ্দেশ্য,পরিমাণ,সংযোজকও বিধেয়।
২৬।. যৌগিক বচন হল -
( a ) সরল বচন ( b ) নিরপেক্ষ বচন (c✓ ) যার অঙ্গবাক্যগুলি স্বতন্ত্রভাবে বচন হতে পারে ( d ) যার অঙ্গবাক্যগুলি স্বতন্ত্রভাবে বচন হতে পারে না
২৭। যৌগিক বচন-
( a ) দুইপ্রকার (b ) তিনপ্রকার ( c ) চারপ্রকার (✓d) পাঁচপ্রকার
২৮। যে যৌগিক বচনের অঙ্গবাক্যগুলি এবং শব্দ দ্বারা যুক্ত হয় , তা হল -
( a ) নিষেধক বচন ( b ✓) সংযৌগিক বচন ( c ) প্রাকল্পিক বচন ( d ) বৈকল্পিক বচন
২৯। যদি - তাহলে ’ শব্দ দ্বারা যুক্ত হয় যে বচন , তা হল
( a ) দ্বিপ্রাকল্পিক বচন ( b ) নিরপেক্ষ বচন ( ✓c ) প্রাকল্পিক বচন ( d ) বৈকল্পিক বচন হয় অথবা
৩০। যে যৌগিক বচনের অঙ্গবাক্যগুলি হয় - অথবা ’ শব্দ দ্বারা যুক্ত তা হল -
( a ) নিরপেক্ষ ( b ) সংযৌগিক ( c ) প্রাকল্পিক ( d✓ ) বৈকল্পিক
৩১। প্রাকল্পিক বচন হল—
( a ) অনিবার্য বচন ( b ) নিরপেক্ষ বচন ( c ✓) সাপেক্ষ বচন ( d ) সরল বচন
৩২। 'হয় আমি স্কুলে যাবাে অথবা আমি বাজারে যাবাে' – এটি কোন প্রকার বচন?
( a ✓) সাপেক্ষ বচন ( b ) নিরপেক্ষ বচন ( c ) সরল বচন ( d ) সামান্য বচন ,
৩৩। প্রাকল্পিক বচনের প্রথম অংশকে বলা হয় --
( a ✓) পূর্বগ ( b ) অনুগ । ( c ) প্রথম বিকল্প ( d ) দ্বিতীয় বিকল্প
৩৪। প্রাকল্পিক বচনের দ্বিতীয় অংশকে বলা হয়—
( a ) পূর্বগ ( b✓ ) অনুগ ( c ) প্রথম বিকল্প ( d ) দ্বিতীয় বিকল্প।
৩৫। অনুগ কাকে বলে ?
( a ) যেখানে শর্তের উল্লেখ থাকে
( b✓ ) যে অংশে মূল ঘটনার উল্লেখ থাকে
( c ) যে অংশে বিকল্পের উল্লেখ থাকে।
( d ) কোনােটিই নয়
৩৬। বৈকল্পিক বচনের প্রথম অংশকে কী বলে ?
( a ✓) প্রথম বিকল্প ( b ) দ্বিতীয় বিকল্প ( c ) পূর্বগ ( d ) অনুগ ।
৩৭। ব্যাপ্যতার অর্থ কী ?
( a ) গুণের উল্লেখ ( b✓ ) পরিপূর্ণ ব্যক্তার্থের উল্লেখ ( c ) আকারের উল্লেখ ( d ) আংশিক ব্যক্তার্থের উল্লেখ।
৩৮। ব্যাপ্যতা শব্দটি কার সঙ্গে যুক্ত ?
( a ) বাক্যের সঙ্গে ( b ) সংযােজকের সঙ্গে ( c ) শব্দের সঙ্গে ( d✓ ) পদের সঙ্গে
৩৯। একটি বচন সর্বদা -
( a ) বৈধ-অবৈধ ( ✓b ) সত্য / মিথ্যা ( C ) নিশ্চিত /সম্ভাব্য ( d ) সবগুলি
*৪০। ব্যক্তার্থ শব্দটি যার সঙ্গে জড়িত তা হল-
( a ) বাক্যের সঙ্গে । ( b ) বচনের সঙ্গে ( c ) যুক্তির সঙ্গে ( d ✓) কোনােটির সঙ্গে নয়।
৪১। কেবলমাত্র উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য হয় --
( a ✓) A বচনে ( b ) E বচনে ( c ) I বচনে ( d ) 0 বচনে
৪২। যে বচনে কেবল বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয় তা হল--
( a ) A বচনে ( b ) E বচনে ( c ) I বচনে (✓ d ) 0 বচনে
৪৩। কোন্ বচনে ব্যাপ্যতার বিষয়টি অনুপস্থিত ?
( a ) E বচনে ( b ) O বচনে ( c ) A বচনে ( d✓ ) I বচনে
৪৪। কোন্ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্য ?
( a ) সার্বিক সদর্থক বচনে ( b✓ ) সার্বিক নঞর্থক বচনে ( c ) বিশেষ সদর্থক বচনে ( d ) বিশেষ নঞর্থক বচনে
৪৫। 0 বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয় , তা হল -
( a ) উদ্দেশ্যপদ । ( b✓ ) বিধেয়পদ ( c ) উভয়পদ । ( d ) কোনােটিই নয়
৪৬। কোন্ বচনের বিধেয়পদ অব্যাপ্য হয়?
( a ) A বচনের ( b ) E বচনের ( C✓ ) I বচনের ( d ) 0 বচনের
৪৭। সামান্য সদর্থক ( A ) বচনে ব্যাপ্য হয়-
(✓ a) উদ্দেশ্য পদ ( b ) বিধেয়পদ (c) উভয় পদ ( d ) কোনােটিই নয়।
৪৮। I বচনে ব্যাপ্য পদ হলো--
( a ) উদ্দেশ্যপদ ( b ) বিধেয়পদ ( c ) উভয়পদ (✓ d ) কোনােটিই নয়।
৪৯। E বচনের ব্যাপ্য পদ হল—
( a ) উদ্দেশ্যপদ (b) বিধেয় পদ ( c ✓) উভয়পদ ( d ) কোনােটিই নয়
৫০। বিশেষ সদর্থক বচনটির সাংকেতিক রূপ হল—
( a ) A (b) E ( ✓C ) I (d) O
৫১। সর্বদাই বিধেয়পদ ব্যাপ্য হয়—
( a ✓) নঞর্থক বচনে ( b ) সদর্থক বচনে ( c ) সামান্য বচনে । ( d ) বিশেষ বচনে
৫২। কেবলমাত্র বিধেয়পদ ব্যাপ্য হয়—
( a ) সামান্য সদর্থক বচনে ( b ) বিশেষ সদর্থক বচনে ( c ) সামান্য নঞর্থক বচনে ( d✓ ) বিশেষ নঞর্থক বচনে
৫৩। সর্বদাই বিধেয় পদটি অব্যাপ্য হয়-
( a✓ ) সদর্থক বচনে ( b ) নঞর্থক বচনে ( c ) সামান্য বচনে । ( d ) বিশেষ বচনে।
৫৪। উদ্দেশ্যপদটি অব্যাপ্য হয় কোন বচনে?
( a ) সামান্য বচনে ( ✓b ) বিশেষ বচনে ( c ) সদর্থক বচনে ( d ) নঞর্থক বচনে
৫৫। উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য হয় কোন বচনে?
( a✓ ) সামান্য বচনে । ( b ) বিশেষ বচনে ( c ) সদর্থক বচনে ( d ) নঞর্থক বচনে ।
৫৬। প্রাকল্পিক বচনের অংশ হল— ( a✓ ) দুইটি (b) তিনটি ( c ) চারটি
৫৭। পূর্বগ ও অনুগ — এই দুই - এর ব্যবহার হয়—
( a ) সরল বচনে ( b ) যৌগিক বচনে ( c✓ ) প্রাকল্পিক বচনে ( d ) নিরপেক্ষ বচনে
৫৮। যুক্তির অংশ কোনটি ?
( a ) শব্দ ( b ) পদ ( c ) বাক্য ( d✓ ) বচন।
৫৯। নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনা কার সৃষ্টি?
(a) সক্রেটিসের ( b ) প্লেটোর ( c✓ ) অ্যারিস্টটলের ( d ) জন ভেনের
৬০। ‘ সব বচনই বাক্য , কিন্তু সব বাক্য বচন নয় ’ — বাক্যটির সত্যমূল্য হবে—
( a✓ ) সত্য ( b ) মিথ্যা ( c ) সত্য - মিথ্যা উভয়ই ( d ) কোনােটিই নয়।
SAQ:
**১) বচন কাকে বলে ?
উঃ- দুটি পদের মধ্যে কোনো স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি যে ঘোষক বাক্যের মাধ্যমে করা হয় তাকে বচন বলে
**২) নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে ?
উঃ- যে বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয়- এর সম্বন্ধ অন্য কোনো শর্তের ওপর নির্ভরশীল নয়, তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে।
**৩) নিরপেক্ষ বচনের কয়টি অংশ ও কি কি ?
উঃ- একটি আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ যথা- পরিমানক, সংযোজক, উদ্দেশ্য ও বিধেয় । এবং একটি বিশিষ্ট নিরপেক্ষ বচনের তিনটি অংশ যথা- সংযোজক, উদ্দেশ্য ও বিধেয়।
৪) একটি বিশিষ্ট নিরপেক্ষ বচনের উদাহরণ দাও।
উঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হন বিশ্বকবি।
**৫) সংযোজক কাকে বলে ?
উঃ- যে শব্দ নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপন করে, তাকে সংযোজক বলে।
৬) সদর্থক বচন কাকে বলে ?
উঃ- যে বচনের বিধেয়পদটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু স্বীকার করে তাকে সদর্থক বচন বলে।
৭) নঞর্থক বচন কাকে বলে ?
উঃ- যে বচনের বিধেয়পদটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু অস্বীকার করে তাকে নঞর্থক বচন বলে।
৮) সামান্য বচন কাকে বলে ?
উঃ- যে বচনে বিধেয়টিতে সমগ্র উদ্দেশ্য সম্বন্ধে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে সামান্য বচন বলে।
৯) বিশেষ বচন কাকে বলে ?
উঃ- যে বচনে বিধেয়টিতে আংশিক উদ্দেশ্য সম্বন্ধে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে বিশেষ বচন বলে।
**১০) গুণ অনুসারে বচন কয় প্রকার ?
উঃ- দুই প্রকার, যথা- সদর্থক ও নঞর্থক।
**১১) পরিমান অনুসারে বচন কয় প্রকার ?
উঃ- দুই প্রকার, যথা- সামান্য ও বিশেষ।
১২) নিরপেক্ষ বচন কয় প্রকার ? অথবা- গুণ ও পরিমানের যৌথ ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বচন কয় প্রকার ?
উঃ- চার প্রকার, যথা- ক)সামান্য-সদথর্ক-A, খ)সামান্য-নঞর্থক-E, গ)বিশেষ-সদর্থক-I, ঘ)বিশেষ-নঞর্থক-O।
**১৩) সম্বন্ধ অনুসারে বচন কয় প্রকার ও কি কি ?
উঃ- দুই প্রকার, যথা- নিরপেক্ষ বচন ও সাপেক্ষ বচন।
১৪) কতিপয় ছাত্র মনোযোগী- নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরিত করো।
উঃ- -I কোনো কোনো ছাত্র হয় মনোযোগী।
**১৫) পদের ব্যাপ্যতা কাকে বলে ?
উঃ- কোনো পদ দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণীর সমগ্র বাচ্যার্থকে স্বীকার বা অস্বীকার করা হলে তাকে ব্যাপ্য পদ বলে এবং আংশিক বাচ্যার্থকে স্বীকার বা অস্বীকার করা হলে তাকে অব্যাপ্য পদ বলে।
১৬) সামান্য-নঞর্থক(E)বচনের কোন পদ ব্যাপ্য ?
উঃ- উভয় পদ।
**১৭) নঞর্থক(E/O) বচনের কোন পদ ব্যাপ্য ?
উঃ- বিধেয়।
১৮) সামান্য(A/E) বচনের কোন পদ ব্যাপ্য ?
উঃ- উদ্দেশ্য পদ।
**১৯) বিশেষ-নঞর্থক(O) বচনের কোন পদ ব্যাপ্য ?
উঃ- বিধেয় পদ।
২০) A- বচনের কোন পদ ব্যাপ্য ?
উঃ- উদ্দেশ্য পদ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর [মান ৮]:
1. নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচন কাকে বলে? উভয় প্রকার বচনের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
উত্তর:- নিরপেক্ষ বচন- যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ কোনোরকম শর্তের ওপর নির্ভর করে না অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে শর্তনিরপেক্ষভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে।
যেমন:-কোনো কোনো প্রাণী হয় বুদ্ধিমান। -- এই বচনে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কোনো কোনো প্রাণীর সম্বন্ধকে নিঃশর্তভাবে স্বীকার করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রাণীর সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক কোনো শর্তনির্ভর নয়।
সাপেক্ষ বচন:- যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি শর্তনির্ভর তাকে সাপেক্ষ বচন বলে।
যেমন :-যদি রাম আসে তবে আমি যাব -- এই বচনে আমার যাওয়া রামের আসার উপর নির্ভরশীল, অর্থাৎ বচনটি শর্তসাপেক্ষ।
নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচনের পার্থক্য:
✇ নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ শর্তনিরপেক্ষ, কিন্তু সাপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ শর্তসাপেক্ষ।
✇ নিরপেক্ষ বচনে গুন ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকে, কিন্তু সাপেক্ষ বচনে গুন ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে সর্বদা উল্লেখ করা থাকে না।
✇ নিরপেক্ষ বচন মানেই অযৌগিক বচন মাত্র, কিন্তু সাপেক্ষ বচন মানে যৌগিক বচন মাত্র।
✇ নিরপেক্ষ বচনের আকার হলো - s হয় p অথবা s নয় p । কিন্তু সাপেক্ষ বচনের আকার হলো - যদি p তবে q আর p অথবা q ।
✇ নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ। পরিমাণক, উদ্দেশ্য,সংযোজক, বিধেয়। কিন্তু সাপেক্ষ বচনের প্রাকল্পিক বচনের দুটি অংশ- পূর্বগ ও অনুগ। বৈকল্পিক বচনের দুটি অংশই বিকল্প নামে পরিচিত।
2. বচন বলতে কী বোঝো? বচন ও বাক্যের মধ্যে পার্থক্য করো। নিরপেক্ষ বচনে পদের ব্যাপ্যতা বলতে কী বোঝো?
উঃ বচন: যে বাক্যের দ্বারা উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ এর মধ্যে একটি সম্বন্ধে স্বীকার বা অস্বীকার করে কোন কিছু ঘোষণা করা হয় তাকে বচন বলে অর্থাৎ বচন হল একপ্রকার ঘোষক বাক্য। যেমন- সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।
বচন ও বাক্যের পার্থক্য :
প্রথমত , ব্যাকরণ সম্মতভাবে গঠিত শব্দসমষ্টির নাম বাক্য। বাক্য গঠনে ব্যাকরণই প্রধান। বাক্যে সাধারণত উদ্দেশ্য, বিধেয় ও একটি ক্রিয়া থাকে। বহুক্ষেত্রে বিধেয়কে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা যাবে না। বচনে উদ্দেশ্য , বিধেয় এবং তাদের সম্বন্ধকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা যায়। সম্বন্ধসূচক শব্দের নাম সংযােজক।
দ্বিতীয়ত , বাক্য বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমন — বর্ণনামূলক, আদেশসূচক, আবেগ প্রকাশক ইত্যাদি। কিন্তু শুধুমাত্র বিবৃতিমূলক বা ঘােষক বাক্যকেই বচন বলা হয়।
তৃতীয়ত, কোনাে বাক্যে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ — এই তিন কালের সমাপিকা ক্রিয়া বর্তমান থাকতে পারে। কিন্তু বচন সর্বদা বর্তমান কালের হয়।
চতুর্থত, সব বাক্যই সত্য বা মিথ্যা হওয়ার যােগ্য নয়। যেমন : কাল কি বৃষ্টি হবে? —এই প্রশ্নসূচক বাক্যটি সত্য বা মিথ্যা নয়। কিন্তু বচন মাত্রই সত্য বা মিথ্যা হওয়ার যােগ্য। একমাত্র বিবৃতিমূলক বাক্যই সত্য বা মিথ্যা হতে পারে বলে ওই বাক্যই বচন হয়।
পঞ্চমত, প্রত্যেকটি বাক্যে গুণ ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ নাও থাকতে পারে। যেমন-মানুষ হয় জীববৃত্তিসম্পন্কিন। কিন্তু প্রত্যেকটি বচনে গুণ ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতেই হবে । যেমন — সকল মানুষ হয় জীববৃত্তিসম্পন্ন জীব । ”
পদের ব্যাপ্যতার সংজ্ঞা : যে ধর্মের দ্বারা বচনের কোনাে পদ তার সম্পূর্ণ বা আংশিক ব্যক্তর্থ বা ব্যাচ্যার্থকে বোঝায় তাকে বচনের ব্যাপ্যতা বলে।
উদাহরণ — সকল শিশু হয় সরল । (A)
এই বচনটিতে 'শিশু' হল উদ্দেশ্য পদ। বচনটিতে ‘শিশু’ পদটির সমগ্র ব্যক্তর্থকে স্বীকার করা হয়েছে বা গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বচনটির উদ্দেশ্য পদ দ্বারা ‘শিশু' শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত সকল শিশুকে বােঝানাে হয়েছে। তাই বচনটিতে ‘শিশু’ পদটি হল ব্যাপ।
অথবা, ( i ) কোনাে অসৎ মানুষ নেই :
উঃ: L.F. E কোনাে মানুষ নয় অসৎ।
মানুষ (উদ্দেশ্য) – ব্যাপ্য।
অসৎ( বিধেয়) – ব্যাপ্য
( ii ) সৎ ব্যক্তিরা সর্বদা সুখী হয় না :
L.F. 0 কোনাে কোনাে সৎ ব্যক্তি নয় সুখী।
উদ্দেশ্য(সৎ ব্যক্তি) → অব্যাপ্য।
বিধেয় )সুখী) -- অব্যাপ্য।
3. বচন কাকে বলে? বচনকে কটি ভাগে ভাগ করা হয় এবং কি কি? প্রত্যেক প্রকার বচন উদাহরণসহ আলোচনা কর।
উঃ বচন হল এমন এক ঘোষক বাক্য যা সত্য অথবা মিথ্যা হতে পারে তাকে আমরা বচন বলে থাকি।
আবার এরকম ভাবও বলা যেতে পারে দুটি পদের মধ্যে কোনো একটি সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতিকে বলা হয় বচন।
যেমন- সকল মানুষ হয় মরণশীল।
এখানে মানুষ হল উদ্দেশ্য পদ এবং মরণশীল হল বিধেয় পদ।
বচনের প্রকারভেদ:-
👉সম্বন্ধ অনুযায়ী বচনকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা-
১) নিরপেক্ষ বচন
২) সাপেক্ষ বচন
নিরপেক্ষ বচন: যেসব বচনগুলিতে কোনপ্রকার শর্ত থাকে না অর্থাৎ, শর্ত ছাড়াই প্রকাশিত হতে পারে।
যেমন-পাতা হয় সবুজ।
সাপেক্ষ বচন::-যে বচনগুলি প্রকাশিত হওয়ার জন্য উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ দুটি কোন না কোন শর্তের উপর নির্ভরশীল হয় তাকে সাপেক্ষ বচন বলে।
যেমন-যদি রাম আসে তবে আমি যাব।
এখানে শর্ত হলো যে - যদি রাম আসে এই শর্তের উপর নির্ভরশীল আমার যাওয়াটা।
👉গুন অনুসারে বচনকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় -
১) সদর্থক বচন (হ্যাঁ বাচক) ২) নঞর্থক বচন (না বাচক)
সদর্থক বচন: যে বচনে উদ্দেশ্য পদটি বিধেয় পদ সম্পর্কে কোন কিছু স্বীকার করে তাকে সদর্থক বচন বলে।
যেমন-সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।
সদর্থক বচন হল A বচন ও I বচন।
নঞর্থক বচন:যে বচনে বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে কোন কিছু অস্বীকার করে তাকে নঞর্থক বচন বলে।
যেমন-কোনো মানুষ নয় অমর।
নঞর্থক বচন হল E বচন ও O বচন।
👉পরিমান অনুসারে বচনকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় -
১) সামান্য বচন ২) বিশেষ বচন
সামান্য বচন: যে বচনে বিধেয় পদটি সমগ্র উদ্দেশ্যপদ সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে তাকে সামান্য বচন বলে।
যেমন-সকল কবি হয় ভাবুক।
সামান্য বচন হল A বচন ও E বচন।
বিশেষ বচন:যে বচনে বিধেয় পদটি উদ্দেশ্যপদের কিছু আংশিক বা অনির্দিষ্ট সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে তাকে বিশেষ বচন বলে।
যেমন-কোন কোন আম হয় মিষ্টি।
বিশেষ বচন হল I বচন ও O বচন।
👉গুণ ও পরিমানে অনুসারে নিরপেক্ষ বচন চার প্রকার।
যথা -(i) সামান্য সদর্থক বচন বা A বচন
(ii) সামান্য নঞর্থক বচন বা E বচন
(iii) বিশেষ সদর্থক বচন বা I বচন
(iv) বিশেষ নঞর্থক বচন বা O বচন
4. আদর্শ নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে? আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের কয়টি অংশ ও কি কি? আদর্শ নিরপেক্ষ বচন কে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি? প্রত্যেকটি ভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উঃ আদর্শ নিরপেক্ষ বচন: যে বচনে চারটি অংশ- পরিমাণ,উদ্দেশ্য ,সংযোজক ও বিধেয় থাকে তাকে আদর্শ নিরপেক্ষ বচন বলে।
আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ পরিমাণক, উদ্দেশ্য, সংযোজক ও বিধেয়।
👉গুণ ও পরিমানে অনুসারে আদর্শ নিরপেক্ষ বচন চার প্রকার।
যথা -(i) সামান্য সদর্থক বচন বা A বচন
(ii) সামান্য নঞর্থক বচন বা E বচন
(iii) বিশেষ সদর্থক বচন বা I বচন
(iv) বিশেষ নঞর্থক বচন বা O বচন
সদর্থক বচন: যে বচনে উদ্দেশ্য পদটি বিধেয় পদ সম্পর্কে কোন কিছু স্বীকার করে তাকে সদর্থক বচন বলে।
যেমন-সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।
সদর্থক বচন হল A বচন ও I বচন।
নঞর্থক বচন:যে বচনে বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে কোন কিছু অস্বীকার করে তাকে নঞর্থক বচন বলে।
যেমন-কোনো মানুষ নয় অমর।
নঞর্থক বচন হল E বচন ও O বচন।
সামান্য বচন: যে বচনে বিধেয় পদটি সমগ্র উদ্দেশ্যপদ সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে তাকে সামান্য বচন বলে।
যেমন-সকল কবি হয় ভাবুক।
সামান্য বচন হল A বচন ও E বচন।
বিশেষ বচন: যে বচনে বিধেয় পদটি উদ্দেশ্যপদের কিছু আংশিক বা অনির্দিষ্ট সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে তাকে বিশেষ বচন বলে।
যেমন-কোন কোন আম হয় মিষ্টি।
বিশেষ বচন হল I বচন ও O বচন।
5. নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনাটি যুক্তি সহ ব্যাখ্যা করো। বচন-এর বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করো।
উঃ
নিরপেক্ষ বচনে চতুর্বর্গ-পরিকল্পনা:- পরিমাণের দিক থেকে নিরপেক্ষ বচন কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় যথা-সামান্য ও বিশেষ। আবার গুণের দিক থেকে নিরপেক্ষ বচন কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা-সদর্থক ও নঞর্থক। এই গুণ ও পরিমাণ উভয়কে একত্রিত করে, তর্কবিদ অ্যারিস্টটল গাণিতিক গুণ পদ্ধতির ভিত্তিতে [বর্গ শব্দের অর্থ গুণ(×)] নিরপেক্ষ বচনের চারপ্রকার শ্রেণিবিভাগকে বলা হয় নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনা। এই চারটি ভাগ হলো-
১) সামান্য সদর্থক (A)
উদাহরণ - সকল মানুষ হয় মরণশীল।
২) সামান্য নঞর্থক (E)
উদাহরণ - কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদী।
৩) বিশেষ সদর্থক (I)
উদাহরণ - কোন কোন মানুষ হয় জ্ঞানী।
৪) বিশেষ নঙর্থক (O)
উদাহরণ - কোন কোন ফুল নয় গন্ধযুক্ত।
বচনের বৈশিষ্ট্য:-
1) বচনের মূল উৎস হল বাক্য । বাক্যকেই বচনের উপাদান । বাক্য ছাড়া বচনের কোনো অস্তিত্বই নেই ।
2) প্রত্যেকটি বচনের একটি উদ্দেশ্য এবং একটি বিধেয় থাকে । শুধুমাত্র উদ্দেশ্যকে নিয়ে অথবা শুধুমাত্র বিধেয়কে নিয়ে বচন গঠিত হতে পারে না ।
3) যে-কোনো বাক্যে উদ্দেশ্য ও বিধেয়র মধ্যে একটি সব্মন্ধকে ঘোষণা করা হয়ে থাকে ।
4) উদ্দেশ্য এবং বিধেয়ের সম্বন্ধকে দুভাবে স্থাপন করা যেতে পারে। যেমন সদর্থকভাবে আর নঞর্থকভাবে।
5) উদ্দেশ্য এবং বিধেয়ের মধ্যে যে সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত হয়, তা শর্তসাপেক্ষভাবেও হতে পারে , আবার শর্তহীনও হতে পারে । অর্থাৎ , দুই-ই হতে পারে ।
6) যে-কোনো বচনই যুক্তির উপাদান বা অবয়বরূপে গন্য হতে পারে । কারণ , যুক্তি গঠিত হয় শুধুমাত্র বচন দিয়েই । সেকারণেই বচনগুলি যুক্তির অংশরূপে বিবেচিত ।
7) বচনের প্রকৃতি ওপরই যুক্তির স্বরূপ নির্ভর করে তাই বচন হল যুক্তির প্রকৃতি নির্ণায়ক । অর্থাৎ , বচন ছাড়া যুক্তি নির্ণয় করা যায় না ।
8) সমস্ত বচনই বাক্যরুপে গন্য হলেও, সমস্ত বাক্যকে কখনোই বচনের মর্যাদা দেওয়া যায় না ।
9) বচনের সঙ্গে সত্যতার প্রশ্নটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত । কারণ , প্রত্যেকটি বচনই হয় সত্যরূপে গন্য হবে অথবা মিথ্যারুপে গন্য হবে । সত্য ও মিথ্যা হওয়া ছাড়া বচনের আর তৃতীয় কোনো শর্ত নেই ।
10) বচনের সত্যতার ওপর যুক্তির বৈধতা নির্ভরশীল অর্থাৎ ,বচনের সত্য-মিথ্যার সাহায্যেই যুক্তির বৈধতা নির্ণয় করা যেতে পারে ।
11) বচনের প্রয়োগক্ষেত্রে বাক্যের প্রয়োগ ক্ষেত্র অপেক্ষা অনেক কম কারণ, বচনকে আমরা শুধুমাত্র তর্কবিদ্যার যুক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকি । আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারিক জীবনে এর কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না ।
6. দৃষ্টান্ত সহ পদের ব্যাপ্যতা আলোচনা করো।
অথবা, পদের ব্যাপ্যতা বলতে কী বোঝো? ব্যাপ্যতা নিয়ম গুলি লেখ? বিভিন্ন প্রকার নিরপেক্ষ বচনের কোন কোন পদ ব্যাপ্য ও অব্যাপ্য উদাহরণ সহযোগে দেখাও? নিরপেক্ষ বচনের পরিমাণ ও গুন বলতে কি বোঝ?
পরিমাণ:- একটি নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্য পদটি সর্বদাই কোনো একটি জাতি বা শ্রেনীকে নির্দেশ করে। এই উদ্দেশ্য পদ দ্বারা নির্দেশিত জাতী বা শ্রেণীর কতটুকু অংশ গৃহীত হয়েছে, তাকে পরিমাণ বলা হয়।
পরিমাণ দু'প্রকার। যথা-
১) সামান্য
২) বিশেষ
গুন:-একটি নিরপেক্ষ বচনের বিধেয় পদটি সর্বদায় উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে কোন কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে। এই স্বীকার বা অস্বীকার কে গুন বলে। গুন ২ প্রকার। যথা-
১) সদর্থক গুন।
২) নঞর্থক গুন।
................