📚শারীরিক সক্ষমতা কাকে বলে? শারীরিক সক্ষমতার বিভিন্ন উপাদানগুলি আলোচনা করো। 2+5=7
উঃ 👉শারীরিক সক্ষমতা বা ফিজিক্যাল ফিটনেস হল সুস্থতা ও ভালো-থাকার একটি অবস্থা এবং আরও স্পষ্টভাবে বললে, এটি হল বিভিন্ন প্রকার খেলাধূলা, পেশা ও দৈনন্দিন কাজকর্ম করার ক্ষমতা। সাধারণত শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করা হয় সঠিক পুষ্টি, সহনীয় পর্যায়ের শক্তিশালী শারীরিক ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে।
👉শারীরিক সক্ষমতার উপাদান গুলি হল:-
2. মাংসপেশীর সহনশীলতা: মাংসপেশীর সহনশীলতা শারীরিক সক্ষমতার একটি অন্যতম উপাদান। সক্রিয় মাংসপেশির দীর্ঘ সময় ধরে সংকোচন প্রসারণের সক্ষমতাকে বলা হয় মাংস বেশি সহনশীলতা।
3. শক্তি: উদ্দীপকের প্রভাবে মাংসপেশি একক সংকোচনে যে পরিমাণ বাধা অতিক্রম করে তাকে শক্তি বলা হয়। এটি নির্ভর করে পেশির দৈর্ঘ্য, আকৃতি বিভিন্ন পেশির সংমিশ্রণ ও পেশির সমন্বয়তার উপর।
4.গতি: শর্ত সাপেক্ষে আপেক্ষিক কম সময়ের কাজ করার সক্ষমতা কে বলা হয় গতি। এটা মাংসপেশির অনুপাত, স্নায়ুর সক্রিয়তা,পেশিশক্তি, সমন্বয় সক্ষমতা ও মানসিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে।
5. ক্ষমতা: একক সময়ে মাংসপেশীর সর্বোচ্চ বাধা অতিক্রম করাকে বলা হয় পাওয়ার বা ক্ষমতা। এটা মাংসপেশির আয়তন, সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা ও উদ্দীপকের তীব্রতা প্রভৃতির উপর নির্ভর করে।
6. ক্ষিপ্রতা: দ্রুততার সাথে ব্যক্তির দিক পরিবর্তনের সক্ষমতাকে বলা হয় ক্ষিপ্রতা। ইহা নির্ভর করে নমনীয়তা, সমন্বয়হীনতা ও শক্তি প্রভৃতির উপর।
7. নমনীয়তা: অস্থি সন্ধিগুলিকে মাংসপেশির সম্ভাব্য সঞ্চালন সীমাকে বলা হয় নমনীয়তা। ইহা পেশি শক্তি, লিগামেন্ট, টেনডন, অস্থিসন্ধির আকৃতি, ব্যাস, লিঙ্গ প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। প্রতিটি অস্থি সন্ধির নমনীয়তার মাত্রা নির্দিষ্ট।
8. ভারসাম্য: স্থির বা গতিশীল অবস্থায় ব্যক্তির সুধু অঙ্গ সঞ্চালন সক্ষমতাকে বলা হয় ভারসাম্য। ইহা মূলত নির্ভর করে সমন্বয়শীলতা, নার্ভের সক্রিয়তা ও মানসিক সুস্থতার উপর।
উপরের আলােচনা থেকে বলতে পারি ক্রীড়াক্ষেত্রে কোন বিষয়ে সর্বোচ্চ সীমারেখায় পৌঁছানাের জন্য খেলার ধরণ অনুযায়ী খেলােয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতার উপাদান ভিন্ন ভিন্ন থাকা প্রযােজন।
……………..