📚উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা :কে বাঁচায় কে বাঁচে: প্রশ্ন উত্তর ( mcq+saq+daq)📚
১ ) “ বাড়িটাও তার শহরের এমন এক নিরিবিলি অঞ্চলে”যেখানে-
( ক ) ফুটপাথও বেশি নেই ✔️
( খ ) লােক বেশি যায় না
( গ ) কম লােক বাস করে
( ঘ ) মানুষেরা ঝগড়া করে
২ ) মৃত্যুঞ্জয়ের সংসারের বাজার ও কেনাকাটা করে –
( ক ) সে নিজে
( খ ) চাকর ও ছােটো ভাই✔️
(গ) চাকর
( ঘ ) ছােটো ভাই
৩ ) কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গলাটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? –
( ক ) মহামন্বন্তর
( খ ) ভৈরব✔️
( গ ) পুথিপত্র
( ঘ ) কালিকলম
৪ ) মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে মৃত্যুর প্রথম সাক্ষাৎ কখন হয়েছিল ?
( ক ) অফিস যাওয়ার পথে ✔️
( খ ) অফিস থেকে ফেরার পথে
( গ ) চাকর
( ঘ ) বাজার যাওয়ার পথে
৫ ) “ কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল” । কারণ –
( ক ) অফিসের কাজের চাপ প্রবল
( খ ) প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হেঁটে সে অফিসে এসেছিল
( গ ) প্রথম বার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল✔️
( ঘ ) বেশি খাবার খেয়ে ফেলায় তার বমি হচ্ছিল
৬ ) আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম কী দেখল ?-
( ক ) ফুটপাথে মৃত্যু
( খ ) অনাহারে মৃত্যু ✔️
( গ ) বস্তিবাসীর মৃত্যু
( ঘ ) পাগলের মৃত্যু
৭ ) কোথায় মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখেছিল ?
( ক ) অফিসে যাওয়ার পথে ফুটপাথে✔️
( খ ) অফিসে যাওয়ার পথে বাসের মধ্যে
( গ ) অফিসে যাওয়ার পথে পার্কে
( ঘ ) অফিসে যাওয়ার পথে লঙ্গরখানায়
৮ ) “ মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের” … কি হয়?-
( ক ) বমি হয় ✔️
( খ ) ঘুম পায়
( গ ) রাগ হয়
( ঘ ) শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হয়
৯ ) “ ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়ােজন হয় না ।’— কার প্রয়ােজন হয় না?
( ক ) নিখিল
( খ ) টুনুর মা
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় ,✔️
( ঘ ) টুনু
১০ ) মৃত্যুঞ্জয় যখন ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ল তখন সে –
( ক ) রীতিমতো কাবু✔️
( খ ) ভয়ানক কাবু
( গ ) রীতিমতো অসুস্থ
( ঘ ) ভয়ানক অসুস্থ
১১ ) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি শহরের কেমন অঞলে ?
( ক ) নিরিবিলি অঞ্চলে✔️
( খ ) কোলাহলপূর্ণ অঞ্চলে
( গ ) বস্তি অঞ্চলে
( ঘ ) অভিজাত অঞলে
১২ ) “ একটু বসেই তাই উঠে গেল কলঘরে । ” — ‘কলঘরে’ যাওয়ার কারণ-
( ক ) জল খাওয়ার জন্য
( গ ) গা – হাত – মুখ ধােয়ার জন্য
( খ ) বমি করার জন্য✔️
( ঘ ) মেশিন চালানাের জন্য
১৩) মৃত্যুঞ্জয়ের অফিসের বন্ধুর নাম-
( ক ) রাহুল
( খ ) রাজীব
( গ ) রাজা
( ঘ ) নিখিল✔️
১৪ ) “ পাশের কুঠরি থেকে নিখিল যখন খবর নিতে এল , ” — তখন মৃত্যুঞ্জয়
( ক ) বাড়ি খাচ্ছিল
( খ ) টিফিন খাচ্ছিল
( গ ) জল খাচ্ছিল ✔️
( ঘ ) বই পড়ছিল
১৫ ) গ্লাস নামিয়ে রেখে মৃত্যুঞ্জয় শূন্য দৃষ্টিতে কোন দিকে তাকিয়েছিল ?
( ক ) জানলার ফাক দিয়ে আকাশের দিকে
( খ ) ঘরের দেয়ালের দিকে ✔️
( গ ) ঘরের ছাদের দিকে
( ঘ ) জানলার ফাক দিয়ে রাস্তার দিকে
১৬) অফিসে নিখিল আর মৃত্যুঞ্জয় ছিলেন –
( ক ) সমপদস্থ✔️
( খ ) মৃত্যুঞ্জয় উচ্চপদস্থ
( গ ) প্রায় সমপদ
( ঘ ) নিখিল উচ্চপদস্থ
১৭)অফিসে মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের চেয়ে কত বেশি মাইনে পাই ?
( ক ) একুশ টাকা
( খ ) পঞ্চাশ টাকা✔️
( গ ) কুড়ি টাকা
( ঘ ) ত্রিশ টাকা
১৮ ) অফিসে মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের চেয়ে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পায় , কারণ –
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়ের বয়স বেশি বলে
( খ ) একটা বাড়তি দায়িত্বের জন্য✔️
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় বসের প্রিয় বলে
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয় দূর থেকে আসে বলে
১৯ ) নিখিলের বুদ্ধি ছিল ---
( ক ) সামান্য
( খ ) মাঝারি
( গ ) তীক্ষ্ণ✔️
( ঘ ) ভোতা
২০ ) “ নিখিল রােগা , তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং একটু … “
( ক ) আলসে প্রকৃতির লােক✔️
( খ ) সাহসী প্রকৃতির লােক
( গ ) ভীরু প্রকৃতির লােক
( ঘ ) চালাক প্রকৃতির লােক
২১ ) নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের বিয়ের ক – বছর আগে বিয়ে করেছে ?
( ক ) এক বছর
( খ ) তিন বছর
( গ ) চার বছর
( ঘ ) দুই বছর,✔️
( ২২ ) নিখিলের বিয়ে হয়েছে কত বছর আগে ?-
( ক ) আট বছর আগে✔️
( খ ) সাত বছর আগে
( গ ) ছয় বছর আগে
( ঘ ) পাঁচ বছর আগে
২৩ ) নিখিল ক – টি সন্তানের পিতা ?
( ক ) একটি
( খ ) দুটি✔️
( গ ) তিনটি
( ঘ ) চারটি ।
২৪ ) “ সংসারে তার নাকি মন নেই ‘ – কার মন নেই ?
( ক ) নিখিলের✔️
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়ের
( গ ) টুনুর মায়ের
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাইয়ের
২৫ ] নিখিল জীবনটা কীভাবে কাটাতে চায় ?
( ক ) বই পড়ে আর একটা চিন্ত্যজগৎ গড়ে✔️
( খ ) সংসারধর্ম পালন করে
( গ ) সামাজিক কাজকর্ম করে
( ঘ ) অসুস্থ স্ত্রীর সেবাযত্ন করে
২৬ ) “ অন্য সকলের মতাে মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে । ” — সে । কে ?
( ক ) অফিসের বস
( খ ) টুনুর মা
( গ ) নিখিল✔️
( ঘ ) টুনু
২৭ ) নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে খুব পছন্দ করে । কারণ –
( ক ) মৃত্যুঞ্জয় নিরীহ শান্ত দরাজ মানুষ বলে
( খ ) সৎ ও সরল মানুষ বলে
( গ ) নিরীহ শান্ত দরাজ , মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনাতাপস বলে✔️
( ঘ ) দুর্বল চিত্ত ভাবপ্রবণ আদর্শবাদী বলে
২৮ ) “ নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হলে মন্দ ছিল না । ” — নিখিল এমনটি ভাবে –
( ক ) সকলে যখন মৃত্যুঞ্জয়ের প্রশংসা করে
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে সে যখন কাবু হয়ে পড়ে✔️
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় আপন শক্তিপ্রয়ােগে যখন উদ্যোগী হয়
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয়ের উপরে সকলে যখন নির্ভরশীল হয়
২৯) মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখে নিখিল কী অনুমান করল
( ক ) বড়াে একটা সমস্যার সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছে ।✔️
( খ ) মৃত্যুঞ্জয় ভীষণ সমস্যায় জর্জরিত
( গ ) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে অশান্তি হয়েছে
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয় অসুস্থ হয়ে পড়েছে
৩০) “ সে মাথা খুড়ছে সেই স্বচ্ছ সমস্যার অকারণ অর্থহীন অনুচিত কাঠিন্যে । ” — সে কীসের মতাে মাথা খুঁড়েছে ?
( ক ) শার্শিতে আটকানাে মৌমাছির মতাে ✔️
( খ ) আহত ব্যক্তির মতাে
( গ ) পাগলের মতাে
( ঘ ) অসুস্থ রােগীর মতাে
৩১) ” নিখিল সন্তর্পণে প্রশ্ন করলে । ” — তার প্রশ্নটি ছিল-
( ক ) তােমার কী হল ?
( খ ) কী হল তােমার ?
( গ ) কী হল হে তােমার ? ✔️
( ঘ ) কী হয়েছে তােমার ?
৩২ ] “ আনমনে অর্ধ – ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয় । ” অর্ধ – ভাষণে মৃত্যুঞ্জয় কী বলে ?
( ক ) সবাই ভালাে থাকো
( খ ) দুনিয়াটা ছারখার হয়ে গেল
( গ ) না খেয়ে মরে গেল✔️
( ঘ ) কেউ কথা রাখল না
৩৩ ) মৃত্যুঞ্জয়ের আর্তনাদের কারণ –
( ক ) অনাহারে মৃত মানুষকে দেখে দুঃখ পাওয়া✔️
( খ ) মৃত মানুষটিকে দেখে চিনতে পারা
( গ ) মৃত মানুষটিকে দেখে ভয় পাওয়া
( ঘ ) মৃত মানুষটিকে স্বপ্নে দেখা
৩৪ ) “ মৃত্যুঞ্জয়ের ভিতরটা সে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে । ” নিখিলের এ কথা মনে হয়েছিল যখন –
( ক ) মৃত্যুঞ্জয় তার কোনাে কথার উত্তর দিল না
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়কে সে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করল✔️
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় আর্তনাদ করে উঠল
( ঘ ) মৃত্যুদৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পড়েছিল
৩৫ ) “ সেটা আশ্চর্য নয় । ” — কোন বিষয়টিকে বক্তার আশ্চর্য বলে মনে হয়নি ?
( ক ) অনাহারে মানুষের মৃত্যু
( খ ) মানুষকে অসুস্থ হতে দেখা
( গ ) অনাহারে মৃত মানুষকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা✔️
( ঘ ) সামাজিক অবক্ষয়কে দেখা
৩৬) “ সে জবাবে বলল অন্য কথা ” -সে ‘ হল –
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়✔️
( খ ) টুনু
( গ ) টুনুর মা
( ঘ ) নিখিল
৩৭ ) “ এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী ? —কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে ?
( ক ) জেনেশুনেও ভরপেট খাওয়া
( খ ) জেনেশুনেও না খাওয়া
( গ ) জেনেশুনেও এতকাল চারবেলা খাওয়া ✔️
( ঘ ) জেনেশুনেও কোনােরকম প্রতিবাদ না করা
৩৮) “ যথেস্ট রিলিফ ওয়ার্ক ” না হওয়ার কারণ –
( ক ) টাকার অভাব
( খ ) লোকের অভাব✔️
( গ ) সদিচ্ছার অভাব
( ঘ ) পরিকল্পনার অভাব
৩৯ ] “ নিখিল চুপ করে থাকে । কারণ –
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করছে দেখে✔️
( খ ) ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দেখে
( গ ) খবরের কাগজে মৃত্যুর খবর পড়ে
( ঘ ) খাওয়ার সময় কথা না বলাটাই তার অভ্যাস
৪০) “ দেশের সমস্ত দরদ পুঞ্জীভূত করে ঢাললেও এ আগুন নিভবে না ” –এখানে কোন আগুনের কথা বলা হয়েছে ?
( ক ) চিতার আগুন
( খ ) ক্ষুধার আগুন ✔️
( গ ) মণ্ডের আগুন
( ঘ ) দাবানল
৪১) অন্নের বদলে বরং , সমিধ পরিণত হয়ে যাবে । ” –সমিধ ’ শব্দের অর্থ হল –
( ক ) যজ্ঞের হােমের কাঠ✔️
( খ ) সমাধি
( গ ) ক্ষুধার আগুন
( ঘ ) অগ্নি
৪২ ) “কিন্তু সেটা হয় অনিয়ম ” -কোন বিষয়কে অনিয়ম বলা হয়?
( ক ) সত্যের অপলাপ ঘটিয়ে মিথ্যেকে মেনে নেওয়া
( খ ) রূঢ় বাস্তব নিয়মকে অগ্রাহ্য করে মানুষের সহযােগী নীতি করা
( গ ) রূঢ় বাস্তব নিয়মকে উলটে মধুর আধ্যাত্মিক নীতি করা✔️
( ঘ ) রূঢ় বাস্তব নিয়মকে অগ্রাহ্য করে তাকে সুন্দর বলা।
৪৩ ) কে হাতে সংবাদপত্র তুলে নিল ?
( ক ) নিখিল✔️
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়
( গ ) টুনু
( ঘ ) টুনুর মা
৪৪ ) সংবাদপত্রে কোন বিষয়ে হা – হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে ?
( ক ) ভালােভাবে রিলিফ – ওয়ার্ক না হওয়া
( খ ) গােটা কুড়ি মৃতদেহকে দাহ না করা
( গ ) গােটা কুড়ি মৃতদেহ পথে পড়ে থাকা
( ঘ ) গােটা কুড়ি মৃতদেহকে ভালােভাবে সাতির ব্যবস্থাসহ স্বর্গে না পাঠানাে✔️
৪৫) নিখিল প্রতি মাসে কত জায়গায় টাকা পাঠায় ?
( ক ) তিন ✔️
( খ ) দুই
( গ ) চার
( ঘ ) পাঁচ
৪৬ ) নিখিল সাহায্যের টাকা পাঠায় ---
( ক ) চিঠির মধ্যে টাকা দিয়ে
( খ ) মানি অর্ডার সহযােগে ✔️
( গ ) লােকের সাহায্যে
( ঘ ) ব্যাংক – এর সাহায্যে
৪৭) নিখিল সাহায্যের পরিমাণ কত টাকা করে কমাতে চেয়েছিল ?
( ক ) তিন টাকা
( খ ) চার টাকা
( গ ) পাঁচ টাকা✔️
( ঘ ) ছয় টাকা
৪৮ ) “ সেদিনের পর থেকে মৃত্যুয়ের মুখ বিষন্ন গম্ভীর হয়ে আছে । ” — কোন দিনের পর থেকে?
( ক ) যেদিন থেকে অফিসে তার মাইনে কমে গেছে
( খ ) যেদিন থেকে অফিসে তাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
( গ ) যেদিন সে ফুটপাথে প্রথম অনাহারের মৃত্যু দেখেছিল✔️
( ঘ ) যেদিন নিখিলের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল
৪৯) “ একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই । ” — কী কাজ করতে বলেছিল মৃত্যুঞ্জয় ?
( ক ) খাবার সংগ্রহ করতে বলেছিল
( খ ) টাকাটা কোনাে রিলিফ – ফান্ডে দিয়ে আসতে বলেছিল✔️
( গ ) দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বলেছিল
( ঘ ) বাজার করতে বলেছিল
৫০ ) “ মৃত্যুঞ্জয় একড়া নােট নিখিলের সামনে রাখল । ” — টাকাটা
( ক ) নিখিলকে ধার দেবে
( খ ) রিলিফ – ফান্ডে দেবে✔️
( গ ) নিখিলকে ঘুষ দেবে
( ঘ ) অফিসের সকলকে ভুরিভােজ করাবে
৫১) মৃত্যুঞ্জয় প্রতি মাসে ধার করত , কারণ –
( ক ) মাইনের টাকায় চলত না ✔️
( খ ) রিলিফ – ফান্ডে টাকা পাঠানাের জন্য
( গ ) মেয়ে টুনুর পড়াশােনার জন্য
( ঘ ) স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য
৫২ ) মৃত্যুঞ্জয় তার মাইনের কতটা অংশ রিলিফ – ফান্ডে দান করার জন্য নিখিলকে দিতে চেয়েছিল ?
( ক ) বােনাস পাওয়া অংশ
( খ ) মাইনের অর্ধেক অংশ
( গ ) মাইনের একের চার ভাগ
( ঘ ) সমস্ত মাইনেটাই ✔️
৫৩) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে থাকে –
( ক ) দশজন লােক
( খ ) পাঁচজন লােক
( গ ) সাতজন লােক
( ঘ ) ন’জন লােক ✔️
৫৪) “ আমার আর টুনুর মা’র এক বেলার ভাত বিলিয়ে দি । ” ‘টুনুর মা ‘ হল –
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতিবেশী
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়ের দিদি
( গ ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ✔️
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয়ের বউদি
৫৫ ) কোন মন্তব্য শুনে মৃত্যুঞ্জয় ঝাঝিয়ে ওঠে ?
( ক ) টুনুর মার যা স্বাস্থ্য , একবেলা খেয়ে দিন কুড়ি – পঁচিশ টিকতে পারবে
( খ ) টুনুর মার যা স্বাস্থ্য , একবেলা খেয়ে দিন দশ – পনেরাে টিকতে পারবে
( গ ) টুনুর মার যা স্বাস্থ্য , একবেলা খেয়ে দিন পনেরাে – কুড়ি টিকতে পারবে ✔️
( ঘ ) টুনুর মার যা স্বাস্থ্য , একবেলা খেয়ে দিন দশ – কুড়ি টিকতে পারবে
৫৬) “ আমি কি করব ? ‘ — কথাটি কে বলেছিল ?
( ক ) নিখিল
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়✔️
( গ ) টুনু
( ঘ ) টুনুর মা
৫৭) “ আমি না খেলে উনিও খাবেন না । ” উনি ’ হলেন
( ক ) টুনুর মা ✔️
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়
( গ ) টুনু
( ঘ ) টুনুর মা
৫৮) “ এ অন্যায় নয় ? ” ‘ এ ’ বলতে বােঝানাে হয়েছে –
( ক ) স্বামী অভুক্ত থাকলে স্ত্রীর না খাওয়া ✔️
( খ ) নিখিলের ঔদাসিন্য
( গ ) মৃত্যুঞ্জয়ের খামখেয়ালি
( ঘ ) টুনুর মা – র অসুস্থতা
৫৯ ) “ মরে তাে মরবে না খেয়ে । ” — কথাটি বলেছে –
( ক ) নিখিল
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়✔️
( গ ) টুনুর মা
( ঘ ) টুনু
৬০ ) “ নিখিল ভাবছিল ” —নিখিল কী ভাবছিল ?
( ক ) বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে ✔️
( খ ) বন্ধুকে সান্ত্বনা দেবে
( গ ) বন্ধুকে টাকা দেবে
( ঘ ) বন্ধুকে সাহায্য করবে
৬১ )“ এভাবে দেশের লােককে বাঁচানাে যায় না।” কারণ –
( ক ) এটি এক ধরনের স্বার্থপরতা
( খ ) এটি শুধু একজনের বদলে আর – একজনকে খাওয়ানাে
( গ ) যে অন্ন পাওয়া যাচ্ছে সে অন্ন কারাে – না – কারাে পেটে যাবেই✔️
( ঘ ) কয়েকজনকে বাঁচানাের চেষ্টা করার সান্ত্বনা মাত্র
৬২) নিখিলের ভাবনায় যে রিলিফ চলছে তা আসলে-
( ক ) একজনের বদলে আর – একজনকে খাওয়ানাে✔️
( খ ) সকলকে সমানভাবে খাওয়ানাে
( গ ) কিছু মানুষকে আশ্রয় দেওয়া
( ঘ ) কিছু মানুষকে অর্থ সাহায্য করা
৬৩) “ সে শুধু বলল ” —এখানে ‘ সে ’ হল –
( ক ) নিখিল✔️
( খ ) টুনুর মা
( গ ) মৃত্যুঞ্জয়
( ঘ ) টুনু
৬৪ ) নিখিলের মতে খাদ্য খাওয়ার কোন ব্যাপারটি অন্যায় ?
( ক ) ভুরিভােজন✔️
( খ ) সামান্য খাওয়া
( গ ) অতিরিক্ত খাওয়া
( ঘ ) অনাহার
৬৫) ” না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই । ” — কথাটি বলেছে –
( ক ) নিখিল✔️
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়
( গ ) টুনুর মা
( ঘ ) টুনু
৬৬) সমাজধর্মের দিক থেকে বিচার করলে বড়াে পাপ হল –
( ক ) স্ত্রীর স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা
( খ ) অনাহারে মৃত্যু দেখেও দুঃখ না পাওয়া
( গ ) নিজ সন্তানদের পেট ভরে আহার দেওয়া
( ঘ ) দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা✔️
৬৭ ) মৃত্যুঞ্জয় যে বিষয়টিকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলেছে , তা হল –
( ক ) ত্রাণকার্যে সরকারের উদাসীনতা
( খ ) স্ত্রীর স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা
( গ ) অনাহারে মৃত্যু দেখেও দুঃখ না পাওয়া
( ঘ ) বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত আহার গ্রহণের মানসিকতা ✔️
৬৮ ) “ বলে মৃত্যুঞ্জয় উঠে গেল । ” — মৃত্যুঞ্জয় কী বলেছিল ?
( ক ) তুই পাগল নিখিল । বদ্ধ পাগল✔️
( খ ) তুই কথা রাখিস নিখিল । কথা রাখিস
( গ ) তুই টাকাটা পৌছে দিস
( ঘ ) তুই খাবার সংগ্রহ করিস
৬৯ ) “ বাড়িতে তাকে পাওয়া যায় না । কারণ –
( ক ) শহরের অন্তহীন ফুটপাথ ধরে সে ঘুরে ঘুরে বেড়ায় ✔️
( খ ) টাকার সন্ধানে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়
( গ ) পাগল হয়ে ঘুরে বেড়ায়
( ঘ ) বাড়িতে কেউ থাকে না বলে
৭০ ) “ পাড়ায় পাড়ায় লঙ্গরখানা খুঁজে বার করে ” —লঙ্গরখানা । খুঁজে বার করে কী দেখে মৃত্যুঞ্জয় ?
( ক ) অন্নপ্রার্থীর ভিড় দেখে ✔️
( খ ) অসহায় মানুষদের দেখে
( গ ) মানুষের অবিচার দেখে
( ঘ ) দুর্ভিক্ষ দেখে
৭১) “ কারাে বুকে নালিশ নেই , কারাে মনে প্রতিবাদ নেই । কাদের কথা বলা হয়েছে ?
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির লােকেদের
( খ ) লঙ্গরখানায় অন্নপ্রার্থী দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের✔️
( গ ) মৃত্যুবায়ের অফিসের সকল কর্মচারীর
( ঘ ) কলকাতার উচ্চবিত্ত উদাসীন মানুষদের
৭২ ) “ কারাে বুকে নালিশ নেই , কারাে মনে প্রতিবাদ নেই । ” কারণ –
( ক ) দুঃখে তারা সবাই বােবা হয়ে গেছে
( খ ) তাদের নালিশ করার অভ্যাস নেই
( গ ) দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলাে তাদের অসহায়তা ভাগ্যের উপর সঁপে দিয়েছে✔️
( ঘ ) কার কাছে নালিশ করবে তারা জানে না
৭৩ ) “ মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শােচনীয় । ” কারণ –
( ক ) টুনুর মা বিছানা নিয়েছে ✔️
( খ ) আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় বদলে গিয়েছে
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয় মারা গিয়েছে
৭৪ ) “ কিছুক্ষণ বাইরে কাটিয়ে তারা ফিরে আসে , টুনুর মাকে মিথ্যা করে বলে ” , ‘মিথ্যে করে’ কী বলে ?
( ক ) মানুষ খাবার খাচ্ছে
( খ ) নিখিল আসছে
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় আসছে✔️
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয় ভালাে আছে
৭৫ ) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাদে , কারণ –
( ক ) তারা পরস্পরে মারামারি করে
( খ ) অনাদরে অবহেলায় ক্ষুধার জ্বালায়✔️
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় পাগল হয়ে গিয়ে অদ্ভুত আচরণ করছে দেখে
( ঘ ) টুনুর মা তাদের কড়া হাতে শাসন করে বলে
৭৬ ) “ নিখিলকে বার বার আসতে হয় । কারণ –
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে অফিসের কাগজে সই করাতে
( খ ) টুনুর মা তাকে মৃত্যুঞ্জয়ের খেয়াল রাখতে বলে✔️
( গ ) মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারকে অর্থ সাহায্য করার জন্য
( ঘ ) অফিসের বড়ােবাবুর নির্দেশ
৭৭) “ টুনুর মা তাকে সকাতর অনুরােধ জানায় ” – কাকে অনুরােধ জানায় ?
( ক ) ছেলেকে
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়কে
( গ ) নিখিলকে✔️
( ঘ ) লঙ্গরখানার মালিককে
৭৮ ) টুনুর মা নিখিলকে কী অনুরােধ জানিয়েছিল ?
( ক ) একবেলার খাবার বিলিয়ে দিতে
( খ ) মাইনের অর্থ দান করতে
( গ ) আর্থিক সাহায্য করতে
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয়ের খেয়াল রাখতে ✔️
৭৯ ) “উঠতে পারলে আমিই তো ওর সঙ্গে ঘুরতাম ঠাকুরপাে।”- টুনুর মা মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে কোথায় ঘুরত ?
( ক ) অফিসের কাজে মৃত্যুঞ্জয়কে যেখানে – যেখানে যেতে হয় সেইসব জায়গায়
( খ ) শহরের আদি – অন্তহীন ফুটপাথে , লাঙ্গর খানায় অন্নপ্রার্থী মানুষের ভিড়ে ✔️
( গ ) বেড়ানাের নেশায় মৃত্যুঞ্জয় দেশে – বিদেশে যেখানে ঘুরে বেড়ায় ।
( ঘ ) খাদ্য আন্দোলনের মিছিলে
৮০) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর ‘কেবলি মনে পড়ে’-
( ক ) সংসারে অভাবের কথা
( খ ) স্বামীর কথা
( গ ) ফুটপাথের লােকগুলাের কথা ✔️
( ঘ ) ছেলেমেয়েদের কথা
৮১ ) “ নিখিল চেষ্টা করে তার ছুটির ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছে । ” কারণ –
( ক ) মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায় না✔️
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়ের শরীর খারাপ বলে
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় মানুষের হয়ে কাজ করে বলে
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয় বাইরে চলে গেছে বলে
৮২ ) “ ক্রমে ক্রমে নিখিলকে হাল ছেড়ে দিতে হয় । কারণ –
( ক ) নিখিল নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল
( খ ) ফল না পেয়ে নিখিল হতাশ হয়ে গিয়েছিল
( গ ) নিখিলের অন্য অনেক কাজ ছিল , মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে অধিক ভাবার সময় তার ছিল না
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয়ের তথাকথিত স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি লােপ পেয়ে গেছে , তার অভিজ্ঞতার কাছে অর্থহীন হয়ে গেছে নিখিলের কথার মারপ্যাচ✔️
৮৩ ) মৃত্যুয়ের ধূলিমলিন সিল্কের জামা এখন –
( ক ) পরিচ্ছন্ন হয়েছে
( খ ) ছিড়ে গেছে
( গ ) অদৃশ্য হয়েছে✔️
( ঘ ) নতুন হয়েছে
৮৪ ) “ গায়ে তার মাটি জমা হয়ে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে । দাড়িতে মুখ ঢেকে যায় । ” — কার মুখ ঢেকে যায় ?
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়ের✔️
( খ ) মৃত্যু আয়ের
( গ ) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাইয়ের
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয়ের চাকরের
৮৫ ) “ গা থেকে এইছি , খেতে পাইনে বাবা । আমায় খেতে দাও ! ” — বক্তা কে ?
( ক ) মৃত্যুঞ্জয় ✔️
( খ ) টুনু
( গ ) টুনুর মা
( ঘ ) নিখিল.
............................
অনধিক কুড়িটি শব্দে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
[প্রতিটি প্রশ্নের মান—১]
প্রশ্ন ১। মৃত্যুঞ্জয় সেদিন অফিস আসার পথে কী দেখল?
উ: মৃত্যুঞ্জয় সেদিন অফিস আসার পথে প্রথম মৃত্যু দেখল অনাহারে মৃত্যু।
প্রশ্ন ২। মৃত্যুঞ্জয় এতদিন কী শুনে বা পড়ে এসেছে?
উ: মৃত্যুঞ্জয় এতদিন শুনে বা পড়ে এসেছে ফুটপাথের মানুষের মৃত্যুর কথা।
প্রশ্ন ৩।লােকে কোথায় মরতেও যায় না বেশি?
উ: মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িটা শহরের এমন এক নিরিবিলি অঞ্চলে, যে পাড়ায় ফুটপাথ বেশি না থাকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষ মরতেও সেখানে যায় না।
প্রশ্ন ৪।মৃত্যুঞ্জয়েৱ সুস্থ শরীরটা কয়েক মিনিটে অসুস্থ হয়ে পড়ল কেন?
উ: ফুটপাথে অনাহারে মানুষকে প্রথম মরতে দেখে মৃত্যুঞ্জয় মনে এমনই আঘাত পায় যে, মনে বেদনাবােধ ও শরীরে কষ্টবােধ হতে থাকায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ৫। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায় কে বাঁচে। গল্পে কোন্ ঘটনা নিখিলের কাছে সাধারণ সহজবােধ্য ঘটনা বলে মনে হয়?
উ: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে। গল্পে ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু নিখিলের কাছে সাধারণ সহজবােধ্য বলে মনে হয়।
প্রশ্ন ৬। ফুটপাথে মানুষ মৱাৱ কথা কে, কোথায় শুনেছে?
উ: ফুটপাথে মানুষ মরার কথা মৃত্যুঞ্জয় কাগজে পড়ে বা লােকমুখে শুনেছে।
প্রশ্ন ৭। মৃত্যুঞ্জয় অফিসে নিজেৱ কুঠরিতে ঢুকেই চেয়ারে ধপ করে বসে পড়ল কেন?
উ: ধপ করে বসে পড়ার কারণ হল, সে মানসিক বেদনায় ও শারীরিক কষ্টবােধে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়েছে।
প্রশ্ন ৮। গ্লাসে জলপান কৱে খালি গ্লাসটা নামিয়ে রেখে সে কী কৱল?
উ: মৃত্যুঞ্জয় খালি গ্লাসটা নামিয়ে রেখে শূন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে রইল।
প্রশ্ন ৯। মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী নিখিলেৱ কেমন চেহারা ও কী প্রকৃতির মানুষ?
উ: মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী নিখিল চেহারা ও প্রকৃতির দিক থেকে রােগা, তীক্ষবুদ্ধি এবং আলসে প্রকৃতির মানুষ।
প্রশ্ন ১০। নিখিল অবসৱ জীবনটা কীভাবে কাটাতে চায়?
উ: নিখিল অবসর জীবনটা বই পড়ে আর একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে কাটিয়ে দিতে চায়।
প্রশ্ন ১১। নিখিলের মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ কৱা ও ভালােবাসা কেমন?
উ: নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে অন্য সকলের মতাে বেশ পছন্দ করে এবং হয়তাে অল্প একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালােও বাসে।
প্রশ্ন ১২। মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিলের ভালােবাসার কারণ কী?
উ: নিখিলের ভালােবাসার কারণ, মৃত্যুঞ্জয় নিরীহ শান্ত দরদি ভালাে মানুষ, সৎ ও সরল, তা ছাড়া মানবসভ্যতার সবচেয়ে পুরােনাে ও সবচেয়ে পচা আদর্শবাদের কল্পনাতাপস।
প্রশ্ন ১৩। মৃত্যুঞ্জয় কী বলে আনমনে আর্তনাদ করে উঠল?
উ: ‘মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল। আনমনে বলে মৃত্যুঞ্জয় আর্তনাদ করে উঠল।
প্রশ্ন ১৪। “ধিক। শত ধিক আমাকে।”—মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার জানাল কেন?
উ: মত্যায় নিজেকে ধিক্কার জানাল, কারণ লােকের অভাবে দুর্ভিক্ষে যথেষ্ট রিলিফ-ওয়ার্ক হচ্ছে না, অথচ সময় কাটাবে কীভাবে ভেবে পাচ্ছে না মৃত্যুঞ্জয়—এই মানসিকতার জন্য।
প্রশ্ন ১৫। একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই’-কাজটা কী?
উ: কাজটা হল মৃত্যুঞ্জয়ের দেওয়া টাকা নিখিল কোনাে রিলিফ ফান্ডে দিয়ে আসবে।
প্রশ্ন ১৬। মৃত্যুঞ্জয় ও টুনুৱ মা একবেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে কেন?
উ: মৃত্যুঞ্জয় আর টুনুর মা একবেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে, কারণ তাদের সেই বেলার ভাত দুর্ভিক্ষপীড়িত ক্ষুধার্ত মানুষদের বিলিয়ে দেয়।
প্রশ্ন ১৭। মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাঁদে কেন?
উ: মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলেমেয়েগুলি অনাদরে, অবহেলায় ও ক্ষুধার জ্বালায় চেঁচিয়ে কাঁদে।
প্রশ্ন ১৮। মৃত্যুঞ্জয়েৱ মনে হতাশা জেগেছে কেন?
উ: মৃত্যুঞ্জয়ের মনে হতাশা জেগেছে, কারণ তার ধারণা হয়েছে সর্বস্ব দান করেও কিছু ভালাে করতে পারবে না।
প্রশ্ন ১৯। মৃত্যুঞ্জয় নিজের আগেকার যুক্তিতর্কগুলি কী করে?
উ: মৃত্যুঞ্জয় নিজের আগেকার যুক্তিতর্কগুলি খণ্ড খণ্ড করে।
প্রশ্ন ২০। মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের কথা শােনে কিন্তু তার চোখ দেখে কী টের পাওয়া যায়?
উ: মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দেখে টের পাওয়া যায় যে, সে আর কথার মানে বুঝতে পারে না।
প্রশ্ন ২১। মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে কী অদৃশ্য হয়ে যায়?
উ: মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।
প্রশ্ন ২২। মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে থাকে আর মারামাৱি কৱে কী খায়?
উ: মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে থাকে আর মারামারি করে লঙ্গরখানার খিচুড়ি খায়।
প্রশ্ন ২৩। তখন সে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়েছে। সে কাবু হয়ে পড়েছিল কেন?
উ: মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে মানুষকে প্রথম অনাহারে মরতে দেখে শরীরে কষ্ট ও মনে বেদনাবোেধ নিয়ে অফিসে নিজের চেয়ারে বসে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ২৪। অন্য সকলের মতাে মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”—কী কারণে ‘সে’ মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করে?
উ: নিখিলের মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার কারণ, মৃত্যুঞ্জয় শান্ত, নিরীহ, দরদি, ভালাে মানুষ ; তা ছাড়া মানবসভ্যতার সবচেয়ে পুরােনাে ও পচা আদর্শবাদের কল্পনাতাপস।
প্রশ্ন ২৫। নিখিলেৱ সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের তুলনায় কত টাকা মাইনে বেশি পায় এবং কেন?
উ: নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের সমান বেতন পায়। একটা বাড়তি দায়িত্বের জন্য সে পাশ টাকা বেশি মাইনে পায়।
👉রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (প্রশ্নের মান-৫):
প্রশ্ন: "মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়।" - মৃত্যুঞ্জয় কে? কেন তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয়? 1 + 4
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায় কে বাঁচে' গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়। লেখকের ভাষায়, তিনি ছিলেন ‘মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ও পচা ঐতিহ্য, ভাববাদের কল্পনা-তাপস’।
মৃত্যুঞ্জয় তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তিনি একটি অফিসে কাজ করতেন। একদিন অফিসে যাওয়ার পথে তিনি অনাহারে মৃত্যু দেখতে পান। তারপর থেকে, তিনি দুর্ভিক্ষে ভুগছেন এমন মানুষদের একবেলা খাবার বিতরণ করার জন্য তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। এরপর তিনি তার সমস্ত অর্থ ত্রাণ তহবিলে দান করেন। এরপর সময় গড়ানোর সাথে সাথে তাও ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে থাকে। তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হতেন এবং সময়মতো বাসায় ফিরতেন না। শহরের ফুটপাতে ও বিভিন্ন লঙ্গরখানায় নিঃস্ব মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতেন তিনি।
দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের খাবারের জোগানে নিজের ও পরিবারের প্রতি অবহেলার ফলে তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। তখন তার বাড়িতে-
1) টুনুর মা অর্থাৎ মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী শয্যাশায়ী। তার স্বাস্থ্য ভালো না হলেও এতদিন ধরে নিজের খাবার অন্যদের মধ্যে বিতরণ করে আসছিলেন। ফলে তিনি এখন শয্যাশায়ী।
2) স্বামীর খোঁজে বারবার বাড়ির লোক পাঠিয়েছেন। তাদের কেউ মৃত্যু কামনা করে না। ফলে বাধ্য হয়ে বাড়িতে এসে তাকে মিথ্যা সান্ত্বনা দিতে হয়।
3) মৃত্যুঞ্জয়ের সন্তানরা অবহেলায়, অসম্মানে, ক্ষুধায় কাঁদে।
মৃত্যুঞ্জয় দেশের মানুষের মঙ্গল করার নেশায় যে উন্মাদনা শুরু করেছিল তার ফলে তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন: "নিখিল ভেবেছিল যে সে তার বন্ধুকে বোঝাবে যে দেশের মানুষকে এভাবে বাঁচানো যাবে না।" - কোন প্রেক্ষাপটে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মধ্য দিয়ে নিখিলের চরিত্রের কী কী বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়? 1 + 4 = 5
উ: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায় কে বাঁচায়' গল্পে নিখিল যখন তার বন্ধু মৃত্যুঞ্জয় ও তাঁর স্ত্রীর এককালীন খাবার বিতরণের কথা জানতে পেরেছিলেন, তখন তিনি ভেবেছিলেন মৃত্যুঞ্জয়কে বোঝাবেন যে এভাবে দেশের মানুষকে বাঁচানো যাবে না।
নিখিলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তার বাস্তববাদী মানসিকতা। এই চিন্তার মধ্য দিয়ে নিখিলের বাস্তববাদের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি জানেন-
1) দুর্ভিক্ষের ফলে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে। সকল মানুষের খাদ্য সমস্যার সমাধান কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মৃত্যুঞ্জয় ও তার স্ত্রী একবেলা খাবার বিতরণ করলেও বা মৃত্যুঞ্জয়ের খনি থেকে সমস্ত টাকা ত্রাণ তহবিলে দান করলেও কোনো লাভ হবে না।
2) দুর্ভিক্ষের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ঘাটতি প্রাকৃতিক থেকে অনেক বেশি মানবসৃষ্ট। বেলাগাম কালোবাজারির ফলে মানুষ না খেয়ে মরছে। এই পরিস্থিতিতে স্বস্তি মানে যারা আত্মগোপনে মারা যাচ্ছে তাদের মরতে দিয়ে সামনে কয়েকজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করা।
বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে নিখিলের এই ধারণা একেবারেই খাঁটি। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ের মত আদর্শবাদী নন, এই চিন্তার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়।
প্রশ্ন- “দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়”-মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী? ৩+২
উত্তর- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায় কে বাঁচে’ গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল। সে দেরি করে অফিসে আসত কাজে ভুল করতো চুপ করে বসে বসে ভাবো তো এবং একসময় বেরিয়ে যেত। বাড়িতেও তাকে পাওয়া যেত না। অফিস থেকে বেরিয়ে সে শহরের ফুটপাত ধরে ঘুরে বেড়াতো।
শহরের আনাচে-কানাচে যেখানে যত দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষজন আছে, সেইসব জায়গায় মৃত্যুঞ্জয় যেত। আশ্রয়হীন মানুষগুলিকে সে লক্ষ করত। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে লঙ্গরখানায় অন্নপ্রার্থী মানুষের ভিড় দেখতে সে। যত দিন যায় মৃত্যুঞ্জয়ের এই পাগলামি ততই বাড়তে থাকে।
মৃত্যুঞ্জয়ের এই পরিবর্তনের মূলে রয়েছে একটি ঘটনা। একদিন অফিস যাওয়ার পথে সে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখলো। শান্ত-নিরীহ মৃত্যুঞ্জয়ের পক্ষে এই অভিজ্ঞতা ছিল খুবই বেদনাদায়ক। একটা পাপবোধ তাকে ক্রমশ গ্রাস করতে থাকে। বহু মানুষ খেতে পাচ্ছে না জেনেও এতকাল সে চার বেলা পেট ভরে খেয়ে এসেছে এবং লোকের অভাবে যথেষ্ট ত্রাণকার্য হচ্ছে না জেনেও সে এতদিন অবসরযাপন করে এসেছে। সে এই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়। সে চেয়েছিল নিরন্ন মানুষগুলির মুখে অন্ন জুগিয়ে তাদের দুঃখ- দুর্দশা দূর করতে, অথচ সেটা তার একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এই ভাবনা থেকেই সে দিন দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছিল।
প্রশ্ন- “ভুরিভোজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।” বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তা চরিত্রের কোন দিকটি অভাসিত হয়েছে? ১+৪
উত্তর- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী ও বন্ধু নিখিল এই কথা বলেছিল।
নিখিলের এই বক্তব্য থেকে তার চরিত্রের বাস্তববাদী দিকটি আভাসিত হয়েছে। মন্বন্তরের সময় বহুু মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছিল। তখন অনাহারে মৃত্যুর ব্যাপারটা নিতান্তই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয়ের পক্ষে না খেতে পেয়ে মৃত্যুর দৃশ্য সহ্য করা সহজসাধ্য ছিল না। সেইজন্য মাইনের দিন তার বেতনের সমস্ত টাকাটা সে নিখিলের হাতে তুলে দিয়েছিল এবং বলেছিল কোনো রিলিফ ফান্ডে সেটা দিয়ে দিতে। অর্থাৎ, অন্যকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে মেরে ফেলার আয়োজন করেছিল সে। নিখিল তাকে এই বাস্তব ব্যাপারটা বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে এইভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যাবে না।
প্রতিটি মানুষেরই বেঁচে থাকার জন্য খাবারের প্রয়োজন। দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষগুলোকে বাঁচাতে হলে যেমন খাবারের প্রয়োজন, তেমনি মৃত্যুঞ্জয়ের নিজের বেঁচে থাকার জন্যও খাবার প্রয়োজন। দুর্ভিক্ষের সময় ভুরিভোজন করাটা উচিত নয়, সেটা কাম্যও নয়। কিন্তু নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যেটুকু খাবার দরকার সেটুকু খেতেই হবে। উপায় থাকতেও নিজেকে না খাইয়ে মারা অন্যায়। আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয়ের বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে নিখিলের এই বাস্তববোধ চরিত্রটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
প্রশ্ন: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায় কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচাই কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয় একজন শিক্ষিত চাকুরে যুবক। এই গল্পের প্রধান চরিত্র সে। একদিন অফিসে যাবার পথে একটি অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা দেখেছিল সে। তার পর থেকে তার জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে । গল্পটি পাঠ করে মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রের যে দিক গুলি ফুটে ওঠে সেগুলি হল-
সংবেদনশীল– মৃত্যুঞ্জয় বেশিমাত্রায় সংবেদনশীল। অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা দেখার পর তার মানসিক বিপর্যয় শুরু হয় । মনের মধ্যে হাজারটা প্রশ্ন উঠতে থাকে – ‘না খেয়ে মরা কী ও কেমন? কত কষ্ট হয় না খেয়ে মরতে ? কীরকম কষ্ট?’ মানসিক কষ্টের কারনে তার শরীরও আক্রান্ত হয়।
সহানুভূতিশীল – দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষ গুলির জন্য মৃত্যুঞ্জয় অনেকখানি সহানুভূতিশীল। সে নিজে না খেয়ে সেই খাবার নিরন্ন্ মানুষদের মুখে তুলে দিয়েছে । নিজের সংসারের কথা না ভেবে সে মাইনের সমস্ত টাকাটা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছে ।
আদর্শবাদের কল্পনা তাপস– মৃত্যুঞ্জয় সম্পর্কে লেখক বলেছেন যে সে ‘মানব সভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে পঁচা ঐতিহ্য আদর্শ বাদের কল্পনাতাপস’। এইজন্য অনাহারে মৃত্যু দেখার পরই সে নিজেকে প্রশ্ন করেছে- যে লোকটা মারা গেল অথচ সে কিছুই করতে পারল না সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত কী? ত্রাণ সামগ্রি ও ত্রানকার্যের অভাবে কত লোক না খেয়ে মরছে কিন্তু সে নিজে এতদিন চারবেলা খেয়ে, অবসর যাপন করে দিন কাটিয়েছে। এই জন্য সে নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছে ।
সবশেষে নিজের সর্বস্ব উজাড় করেও যখন দুর্ভিক্ষের ক্ষুধার আগুন নেভাতে পারেনি তখন সে তাদেরই দলে মিশে গিয়ে মগ হাতে বলে উঠেছে – ‘গাঁ থেকে এইছি, খেতে পাইনে বাবা, আমায় খেতে দাও’।
........................