📚“কে বাঁচায় কে বাঁচে”:লেখক পরিচিতি ও বিষয়বস্তু:
লেখকের পরিচয়:
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (1906-1957) ছিলেন রবীন্দ্র পরবর্তী একজন বিখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্পকার। তার আসল নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রথম গল্প 'অতসীম'। তিনি অনেক উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখেছেন। উল্লেখযোগ্য কিছু উপন্যাস হলো- ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ‘দিবরাত্রির কাব্য’ ইত্যাদি।মানিকের উপন্যাস রক্তমাংসের মানুষের মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
গল্পের সারমর্ম:
'কে বাঁচায়, কে বাঁচায়' গল্পটি দুর্ভিক্ষের গল্প। এই গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় এবং তার অফিসের সহকর্মী নিখিল। মৃত্যুঞ্জয় একজন সরল ও আদর্শবাদী মানুষ। নিখিলও একজন সদয় ব্যক্তি কিন্তু তিনি মৃত্যুঞ্জয়কে একজন বাস্তববাদী এবং বন্ধু হিসেবে ভালোবাসেন।
একদিন অফিসে যাওয়ার সময় অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখেন মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যুঞ্জয়ই প্রথম কাউকে না খেয়ে মরতে দেখেছিলেন। এই ঘটনা তার মনে এমন প্রভাব ফেলে যে লোকটি না খেয়ে মারা গেল, মৃত্যুঞ্জয় তার মৃত্যুর জন্য দায়ী অনুভব করতে লাগল। তিনি নিজে না খেয়ে মানুষকে খাওয়াবেন বলে ঠিক করলেন। বেতন পাওয়ার পরও তিনি সমস্ত টাকা ত্রাণ তহবিলে দান করলেও মৃত্যুঞ্জয়ের নিজের ঘরের অভাব ছিল না। তবে এক পর্যায়ে তিনি বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেন। পথে তিনি দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের খবর নেন। গল্পের শেষে দেখা যায় মৃত্যুঞ্জয় নিজেই লঙ্গরখানায় দাঁড়িয়ে অনাহারী মানুষের দলে যোগ দেয় এবং খাবারের জন্য ভিক্ষা করতে থাকে।
....................................