📚নবম শ্রেণীর ইতিহাস: অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর:দ্বিতীয় অধ্যায়: আদর্শ, নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ📚
১। বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(১.১) ‘আমিই বিপ্লব’ এবং ‘আমিই বিপ্লবের ধ্বংসকারী’ কথাটি বলেছেন – (ক) রোবসপিয়ের (খ) দাঁতো (গ) সম্রাট নেপোলিয়ন (ঘ) রাজা ষোড়শ লুই
উত্তরঃ- (গ) সম্রাট নেপোলিয়ন।
(১.২) নেপোলিয়ন ‘ব্যাংক অফ ফ্রান্স’ প্রতিষ্ঠা করেন – (ক) ১৮০০ সালে (খ) ১৮০২ সালে (গ) ১৮০৪ সালে (ঘ) ১৮০৬ সালে
উত্তরঃ- (ক) ১৮০০ সালে।
(১.৩) বিপ্লবের সন্তান বলা হয় – (ক) অ্যাবে সিয়েসকে (খ) রোবসপিয়রকে (গ) রুশোকে (ঘ) নেপোলিয়নকে
উত্তরঃ- (ঘ) নেপোলিয়নকে।
(১.৪) নেপোলিয়ন ‘ইউনিভারসিটি অফ ফ্রান্স’ প্রতিষ্ঠা করেন – (ক) ১৮০৫ সালে (খ) ১৮০৬ শালে (গ) ১৮০৭ সালে (ঘ) ১৮০৮ সালে
উত্তরঃ- (ঘ) ১৮০৮ সালে।
(১.৫) যে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নেপোলিয়নকে এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হতে হয়েছিল তা হল – (ক) লাইপজিগের যুদ্ধে (খ) প্যারিসের যুদ্ধে (গ) ওয়াটার্লুর যুদ্ধে (ঘ) ম্যারেঙ্গার যুদ্ধে
উত্তরঃ- (ক) লাইপজিগের যুদ্ধে।
(১.৬) নেপোলিয়নের ‘গ্রান্ড আর্মি’ ধ্বংস হয়েছিলো – (ক) পিরামিডের যুদ্ধে (খ) রাশিয়া অভিযানে (গ) প্যারিসের যুদ্ধে (ঘ) প্রাশিয়ার যুদ্ধে
উত্তরঃ- (খ) রাশিয়া অভিযানে।
(১.৭) ‘স্পেনীয় ক্ষতই আমাকে ধ্বংস করেছে’ – কথাটি বলেছিলেন – (ক) রোমের পোপ (খ) সম্রাট নেপোলিয়ন (গ) মাশার্ল জুর্দান (ঘ) রাশিয়ার সম্রাট
উত্তরঃ- (খ) সম্রাট নেপোলিয়ন।
(১.৮) নেপোলিয়নের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি ছিলেন – (ক) মুনাট (খ) ইউজিন (গ) ম্যাসেনা (ঘ) ওডিনো
উত্তরঃ- (গ) ম্যাসেনা।
(১.৯) নেপোলিয়নের জীবনের শেষ যুদ্ধ – (ক) লাইপজিকের যুদ্ধ (খ) ওয়াটার্লুর যুদ্ধ (গ) উলমের যুদ্ধ (ঘ) ম্যারেঙ্গার যুদ্ধ
উত্তরঃ- (খ) ওয়াটার্লুর যুদ্ধ।
(১.১০) মৃত্যুকালে নেপোলিয়নের বয়স হয়েছিল – (ক) ৩২ বছর (খ) ৪২ বছর (গ) ৫২ বছর (ঘ) ৬২ বছর
উত্তরঃ- (গ) ৫২ বছর।
(১.১১) কোড নেপোলিয়ন ঘোষিত হয় – A. 1806 খ্রিস্টাব্দে B. 1807 খ্রিস্টাব্দে C. 1808 খ্রিস্টাব্দে D. 1809 খ্রিস্টাব্দে
Ans. B
(১.১২) নেপোলিয়ন নিজেকে ফরাসি জাতির সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন— A. 1802 খ্রিস্টাব্দে B. 1803 খ্রিস্টাব্দে C. 1804 খ্রিস্টাব্দে D. 1805 খ্রিস্টাব্দে
Ans. C
(১.১৩) সাইবেরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধের মূল কারণ ছিল— A. ফ্রান্সের হস্তক্ষেপ B. ইংল্যান্ডের হস্তক্ষেপ C. রাশিয়ার হস্তক্ষেপ D. অস্ট্রিয়ার হস্তক্ষেপ
Ans. A
(১.১৪) ‘রাইন-রাষ্ট্রসংঘ’ বা কনফেডারেশন অব দি রাইন গঠিত হয়— A. 1806 খ্রিস্টাব্দে B. 1808 খ্রিস্টাব্দে C. 1809 খ্রিস্টাব্দে D. 1810 খ্রিস্টাব্দে
Ans. A
(১.১৫) ফ্রিডল্যান্ডের যুদ্ধে নেপোলিয়ন কোন রাষ্ট্রকে পরাজিত করেন? A. রাশিয়া B. প্রাশিয়া C. অস্ট্রিয়া D. ইটালি
Ans. A
(১.১৬) ডাইরেক্টরি শাসনের সদস্য সংখ্যা ছিল— A. 2 জন B. 3 জন C. 4 জন D. 5 জন
Ans. D
(১.১৭) নেপোলিয়ন ফ্রান্সের সিংহাসন ত্যাগ করেন— A. 5 জানুয়ারি 1813 খ্রিস্টাব্দে B. 10 জুলাই 1814 খ্রিস্টাব্দে C. 6 এপ্রিল 1814 খ্রিস্টাব্দে D. 10 আগস্ট 1812 খ্রিস্টাব্দে
Ans. D
(১.১৮) নেপোলিয়ন বোনাপার্টের জীবনের শেষ যুদ্ধ – A. ফ্রিডল্যান্ডের যুদ্ধ B. উলমের যুদ্ধ C. উপদ্বীপের যুদ্ধ D. ওয়াটার্লুর যুদ্ধ
Ans. D
(১.১৯) মৃত্যুকালে নেপোলিয়নের বয়স হয়েছিল— A. 32 বছর B. 42 বছর C. 52 বছর D. 62 বছর
Ans. C
(১.২০) নেপোলিয়নকে যে যুদ্ধে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা হয়েছিল— A. উলম-এর যুদ্ধ B. ট্রাফালগারের যুদ্ধ C. লাইপজিগের যুদ্ধ D. ওয়াটার্লুর যুদ্ধ
Ans. D
(১.২১) ভিত্তোরিয়ার যুদ্ধে ফরাসি সেনানায়ক মার্শাল জুর্দান যার কাছে পরাজিত হন— A. নেলসন B. ব্লচার C. লর্ড কর্নওয়ালিস D. আর্থার ওয়েলেসলি
Ans. D
(১.২২) যে বিপ্লবের মাধ্যমে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ক্ষমতালাভ করেন তা হল – A. ফরাসি বিপ্লব B. জুলাই বিপ্লব C. ফ্রেবুয়ারি বিপ্লব D. রুশ বিপ্লব
Ans. A
(১.২৩) নেপোলিয়ন রাশিয়া অভিযান করেছিলেন – A. 1810 খ্রিস্টাব্দে B. 1811 খ্রিস্টাব্দে C. 1812 খ্রিস্টাব্দে D. 1813 খ্রিস্টাব্দে
Ans. C
(১.২৪) নেপোলিয়ন বোনাপার্টের জীবনের শেষ যুদ্ধ – A. ফ্রিডল্যান্ডের যুদ্ধ B. উলমের যুদ্ধ C. উপদ্বীপের যুদ্ধ D. ওয়াটার্লুর যুদ্ধ
Ans. D
(১.২৫) নেপোলিয়নের জন্মস্থান ইটালির কর্সিকা দ্বীপটি ফরাসি সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয় – A. 1768 খ্রিস্টাব্দে B. 1769 খ্রিস্টাব্দে C. 1789 খ্রিস্টাব্দে D. 1799 খ্রিস্টাব্দে
Ans. A
(১.২৬) নেপোলিয়ন কনফেডারেশন অব দি রাইন-এ ছিল— A. 18টি রাজ্য B. 25টি রাজ্য C. 33টি রাজ্য D. 36টি রাজ্য
Ans. D
(১.২৭) মৃত্যুকালে নেপোলিয়নের বয়স হয়েছিল— A. 32 বছর B. 42 বছর C. 52 বছর D. 62 বছর
Ans. C
(১.২৮) বিপ্লবের সন্তান বলা হয়— A. রুশোকে B. নেপোলিয়নকে C. রোবসপিয়রকে D. অ্যাবে সিয়েসকে
Ans. B
(১.২৯) নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে চতুর্থ রাষ্ট্রজোট গড়ে উঠেছিল— A. 1806 খ্রিস্টাব্দে B. 1807 খ্রিস্টাব্দে C. 1809 খ্রিস্টাব্দে D. 1813 খ্রিস্টাব্দে
Ans. D
(১.৩০) নেপোলিয়ন বোনাপার্টের জীবনের শেষ যুদ্ধ – A. ফ্রিডল্যান্ডের যুদ্ধ B. উলমের যুদ্ধ C. উপদ্বীপের যুদ্ধ D. ওয়াটার্লুর যুদ্ধ
Ans. D
(১.৩১) কিংডম অব ওয়েস্টফেলিয়ার শাসক নিযুক্ত হন— A. জোসেফ B. জেরোম C. ইউজিন D. মিউরাহ
Ans. D
(১.৩২) নেপোলিয়নের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল— A. কোর্ড নেপোলিয়নের প্রচলন B. শিক্ষাসংস্কার C. ধর্ম মীমাংসা চুক্তি D. ব্যাংক অব ফ্রান্স প্রতিষ্ঠা
Ans. A
(১.৩৩) ‘কনফেডারেশন অফ দি রাইন’ গঠিত হয়— A. জার্মানিতে B. অস্ট্রিয়ায় C. ইটালিতে D. স্পেনে
Ans. A
(১.৩৩) নেপোলিয়ন বোনাপার্টের জন্ম হয়েছিল— A. কর্সিকা দ্বীপে B. এলবা দ্বীপে C. সেন্ট হেলেনা দ্বীপে D. আন্দামান দ্বীপে
Ans. A
(১.৩৪) যে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নেপোলিয়নকে এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হতে হয়েছিল তা হল – A. ম্যারেঙ্গার যুদ্ধ B. প্যারিসের যুদ্ধ C. লাইপজিগের যুদ্ধ D. ওয়াটার যুদ্ধ
Ans. B
(১.৩৫) ওয়াটার্লুর যুদ্ধের পর নেপোলিয়নকে নির্বাসিত করা হয়— A. এলবা দ্বীপে B. ভিয়েনায় C. সেন্ট হেলেনায় D. সেন্ট থোম-এ
Ans. C
(১.৩৬) নেপোলিয়নের জন্মস্থান ইটালির কর্সিকা দ্বীপটি ফরাসি সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয় – A. 1768 খ্রিস্টাব্দে B. 1769 খ্রিস্টাব্দে C. 1789 খ্রিস্টাব্দে D. 1799 খ্রিস্টাব্দে
Ans. A
(১.৩৭) নেপোলিয়ন কনফেডারেশন অব দি রাইন-এ ছিল— A. 25টি রাজ্য B. 18টি রাজ্য C. 33টি রাজ্য D. 36টি রাজ্য
Ans. D
(১.৩৮) ফ্রান্সে ডাইরেক্টরি শাসন শুরু হয়— A. 1795 খ্রিস্টাব্দে B. 1797 খ্রিস্টাব্দে C. 1798 খ্রিস্টাব্দে D. 1799 খ্রিস্টাব্দে
Ans. D
(১.৩৯) মস্কো অবস্থিত – A. ইংল্যান্ডে B. ফ্রান্সে C. স্পেনে D. রাশিয়ায়
Ans. D
(১.৪০) যে বিপ্লবের মাধ্যমে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ক্ষমতালাভ করেন তা হল – A. ফরাসি বিপ্লব B. জুলাই বিপ্লব C. ফ্রেবুয়ারি বিপ্লব D. রুশ বিপ্লব
Ans. A
(১.৪১) কোড নেপোলিয়ন ঘোষিত হয় – A. 1806 খ্রিস্টাব্দে B. 1807 খ্রিস্টাব্দে C. 1808 খ্রিস্টাব্দে D. 1809 খ্রিস্টাব্দে
Ans. B
(১.৪২) কনফেডারেশন অব দি রাইন গঠন করেন— A. ষোড়শ লুই B. রোবসপিয়ের C. নেপোলিয়ন D. মেটারনিক
Ans. C
(১.৪৩) নেপোলিয়ন পোর্তুগাল জয় করেন— A. 1806 খ্রিস্টাব্দে B. 1807 খ্রিস্টাব্দে C. 1808 খ্রিস্টাব্দে D. 1809 খ্রিস্টাব্দে
Ans. B
(১.৪৪) নেপোলিয়ন মারা যান – A. টাইফয়েডে B. ম্যালেরিয়ায় C. ক্যানসারে D. দুর্ঘটনায়
Ans. C
(১.৪৫) কোড নেপোলিয়ন ঘোষিত হয় – A. 1806 খ্রিস্টাব্দে B. 1807 খ্রিস্টাব্দে C. 1808 খ্রিস্টাব্দে D. 1809 খ্রিস্টাব্দে
Ans. B
(১.৪৬) নেপোলিয়ন জন্মগ্রহণ করেছিলেন— A. 15 জুলাই 1765 খ্রিস্টাব্দে B. 15 মে 1767 খ্রিস্টাব্দে C. 15 আগস্ট 1769 খ্রিস্টাব্দে D. 15 জুন 1770 খ্রিস্টাব্দে
Ans. C
(১.৪৭) নেপোলিয়ন ডাইরেক্টরি শাসনের অবসান ঘটান— A. 1798 খ্রিস্টাব্দে B. 1799 খ্রিস্টাব্দে C. 1800 খ্রিস্টাব্দে D. 1804 খ্রিস্টাব্দে
Ans. B
(১.৪৮) স্পেনের যুদ্ধে ফরাসি সেনাপতি ছিলেন— A. দুঁপ B. নেলসন C. মার্শাল জুনো D. নেপোলিয়ন
Ans. A
(১.৪৯) নেপোলিয়ন ফ্রান্সের প্রথম কনসাল পদে অধিষ্ঠিত – A. 1797 খ্রিস্টাব্দে B. 1798 খ্রিস্টাব্দে C. 1799 খ্রিস্টাব্দে D. 1800 খ্রিস্টাব্দে
Ans. C
২। অতিসংক্ষিপ্তপ্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(২.১) কত সালে নেপোলিয়ন ডাইরেক্টরি শাসনের অবসান ঘটান?
উত্তরঃ- ১৭৯৯ খ্রিঃ।
(২.২) কত খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন নিজেকে সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন?
উত্তরঃ- ১৮০৪ খ্রিঃ।
(২.৩) কোড নেপোলিয়ন এ ধারার সংখ্যা কটি?
উত্তরঃ- ২২৮৭ টি।
(২.৪) কোড নেপোলিয়ন ঘোষিত হয় কত সালে?
উত্তরঃ- ১৮০৭ খ্রিঃ।
(২.৫) রাইন কনফেডারেশন কত সালে সংঘটিত হয়?
উত্তরঃ- ১৮০৬ খ্রিঃ।
(২.৬) টিলসিটের সন্ধি কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ- ১৮০৭ খ্রিঃ।
(২.৭) কোথায় নেপোলিয়ানকে নির্বাসিত করা হয়েছিল?
উত্তরঃ- সেন্ট হেলেনা দ্বীপে।
(২.৮) সিজালপাইন প্রজাতন্ত্র ইতালিয় প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষিত হয় কবে?
উত্তরঃ- ১৮০২ খ্রিঃ।
(২.৯) কোড নেপোলিয়ন এর কয়টি অংশে বিভক্ত ছিল?
উত্তরঃ- তিনটি।
(২.১০) কোড নেপোলিয়ন এর দুটি নীতি লেখ।
উত্তরঃ- আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা
(২.১১) নেপোলিয়ন কবে রাশিয়া অভিযান করেন?
উত্তরঃ- ১৮১২ খ্রিঃ।
(২.১২) নেপোলিয়নের সেনাদল কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ- গ্রাঁদ আর্মি।
(২.১৩) ‘লিজিয়ন অব অনার’ কে চালু করেন?
উত্তরঃ- ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ান।
(২.১৪) ‘বিপ্লবের তরবারি’ রূপে কে পরিচিত?
উত্তরঃ- নেপোলিয়ান।
(২.১৫) ট্রাফালগারের যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮০৫ খ্রিঃ
(২.১৬) একজন রুশ সাহিত্যিকের নাম লেখ।
উত্তরঃ- লিও টলস্টয়।
(২.১৭) কবে, কার বিরুদ্ধে মিলান ডিগ্রী চালু করেন?
উত্তরঃ- ১৮০৭ খ্রিঃ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিলান ডিগ্রী।
(২.১৮) উপদ্বীপের কোন যুদ্ধে ফরাসি বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় হয়?
Ans. উপদ্বীপের ভিত্তোরিয়ার যুদ্ধে (1813 খ্রি.) ফরাসি বাহিনীর চুড়ান্ত পরাজয় হয়।
(২.১৯) ‘সমুদ্রের রানি’ কাকে বলা হয়?
Ans. ইংল্যান্ডকে।
(২.২০) ‘গ্রান্ড ডাচি অব ওয়ারস’ কী?
Ans. টিলসিটের চুক্তির পর প্রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত পোল্যান্ড নিয়ে নেপোলিয়ন গ্রান্ড ডাচি অব ওয়ারস’ গঠন করেন।
(২.২১) কীসের মাধ্যমে জার্মান অঞ্চলগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়?
Ans. রাইন রাষ্ট্রসংঘের মাধ্যমে।
(২.২২) কত খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স বিরোধী তৃতীয় শক্তিজোট গঠন করা হয়?
Ans. 1805 খ্রিস্টাব্দে।
(২.২৩) জেনার যুদ্ধ কবে হয়েছিল?
Ans. জেনার যুদ্ধ হয়েছিল 1806 খ্রিস্টাব্দে।
(২.২৪) তৃতীয় রাষ্ট্রজোট কবে গঠিত হয়?
Ans. তৃতীয় রাষ্ট্রজোট 1805 খ্রিস্টাব্দে হয়।
(২.২৫) ‘নেপোলিয়নের যুগ’ বলতে কী বোঝায়?
Ans. ফ্রান্স তথা ইউরোপের ইতিহাসে 1799-1815 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে ‘নেপোলিয়নের যুগ’ বলে।
(২.২৬) ফ্রান্সে ডাইরেক্টরি শাসনব্যবস্থা কত দিন চালু ছিল?
Ans. ফ্রান্সে 1790-99 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ডাইরেক্টরি শাসন ব্যবস্থা চালু ছিল।
(২.২৭) ড্রেসডেনের যুদ্ধে নেপোলিয়ন কাকে পরাস্ত করেন? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. ড্রেসডেনের যুদ্ধে নেপোলিয়ন অস্ট্রিয়াকে পরাস্ত করেন।
(২.২৮) কবে, কোথায় নেপোলিয়নের মৃত্যু হয়েছিল?
Ans. 5 মে 1821 খ্রিস্টাব্দে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নেপোলিয়নের মৃত্যু হয়েছিল।
(২.২৯) ওয়াটার্লুর যুদ্ধ কবে হয়েছিল? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. ওয়াটার্লুর যুদ্ধ 18 জুন 1815 খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল।
(২.৩০) ‘ইউনির্ভাসিটি অব ফ্রান্স’ কে প্রতিষ্ঠিত করেন?
Ans. নেপোলিয়ন ‘ইউনির্ভাসিটি অব ফ্রান্স’ প্রতিষ্ঠিত করেন।
(২.৩১) নেপোলিয়ন কোন মিউজিয়মের পুনর্গঠন করেন?
Ans.ল্যুভের মিউজিয়মের।
(২.৩২) কোন শাসনে নেপোলিয়ন ছিলেন প্রথম কনসাল?
Ans. কনসুলেট শাসনে।
(২.৩৩) শত দিবস রাজত্বের সময়কাল কত ছিল?
Ans. 20 মার্চ – 29 জুন পর্যন্ত।
(২.৩৪) কবে ফ্রান্স বিরোধী প্রথম শক্তিজোট গঠিত হয়?
Ans. 1793 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স বিরোধী শক্তিজোট গঠিত হয়।
(২.৩৫) নীলনদের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?
Ans. নীলনদের যুদ্ধ হয়েছিল 1798 খ্রিস্টাব্দে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে নেপোলিয়নের।
(২.৩৬) নেপোলিয়ন সেন্ট হেলেনা দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. মিথ্যা।
(২.৩৭) ওয়াগ্রামের যুদ্ধে (1809 খ্রি.) নেপোলিয়ন কাকে পরাস্ত করেন?
Ans. অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করেন ওয়াগ্রামের যুদ্ধে।
(২.৩৮) ‘কনফেডারেশন অফ দি রাইন’ কবে গঠিত হয়?
Ans. কনফেডারেশন অফ দি রাইন’ গঠিত হয় 1806 খ্রিস্টাব্দে।
(২.৩৯) ড্রেসডেনের যুদ্ধে নেপোলিয়ন কাকে পরাস্ত করেন?
Ans. ড্রেসডেনের যুদ্ধে নেপোলিয়ন অস্ট্রিয়াকে পরাস্ত করেন।
(২.৪০) কত খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন পোপের রাজ্য আক্রমণ করেন?
Ans. 1809 খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন পোপের রাজ্য আক্রমণ করেন।
(২.৪১) তৃতীয় রাষ্ট্রজোট কবে গঠিত হয়?
Ans. তৃতীয় রাষ্ট্রজোট 1805 খ্রিস্টাব্দে হয়।
(২.৪২) কনসুলেট শাসনে নেপোলিয়ন ছিলেন প্রথম কনসাল। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
(২.৪৩) নেপোলিয়ন কবে বার্লিন ডিক্রি জারি করেন?
Ans. নেপোলিয়ন 1806 খ্রিস্টাব্দে বার্লিন ডিক্রি জারি করেন।
(২.৪৪) পেনিনসুলার যুদ্ধ কবে হয়?
Ans. ডিসেম্বর 1808 খ্রিস্টাব্দে পেনিনসুলার যুদ্ধ হয়।
(২.৪৫) কবে ফ্রান্স বিরোধী প্রথম শক্তিজোট গঠিত হয়?
Ans. 1793 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স বিরোধী প্রথম শক্তিজোট গঠিত হয়।
৩। দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(৩.১) কোড নেপোলিয়ন বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ- ফ্রান্সের শাসক নেপোলিয়ান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচলিত আইনগুলোর পার্থক্য দূর করে এবং পরস্পর বিরোধী আইন গুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে 1804 খ্রিস্টাব্দে দেশে এক নতুন আইন ব্যবস্থা চালু করেন। এটি কোড নেপোলিয়ন বা নেপোলিয়নের আইনসংহিতা বলা হয়।
(৩.২) শত দিবসের রাজত্ব বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- 1817 খ্রিস্টাব্দে লাইপজিগের যুদ্ধে নেপোলিয়ন মিত্রশক্তির নিকট চূড়ান্তভাবে পরাজিত হন। 1814 খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে মিত্রশক্তির সঙ্গে তিনি ফন্টেন ব্ল্যু স্বাক্ষরে বাধ্য হন এবং ভূমধ্যসাগরের এলবা দ্বীপে নির্বাসন কাটিয়ে তিনি ফ্রান্সে ফিরে আসেন এবং রাজা অষ্টাদশ লুই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। নেপোলিয়ন 1815 খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাস থেকে ওই বছরের জুন মাসে ওয়াটারলুর যুদ্ধে পরাজিত ও সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত হয় মধ্যবর্তীকালে প্রায় 100 দিন শাসন করেছিলেন। এই সময় কালকে ফ্রান্সের ইতিহাসে শত দিবসের রাজত্ব বলা হয়ে থাকে।
(৩.৩) নেপোলিয়ানকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ- নেপোলিয়ানকে বিপ্লবের সন্তান বলা হয়, কারণ - (১) ফরাসি বিপ্লবের উদারনীতি নেপোলিয়ানকে ফ্রান্সের ক্ষমতা দখলে সহায়তা করেছিল। (২) ফরাসি বিপ্লব প্রসূত সাম্য ও মৈত্রীর আদর্শ নেপোলিয়ান তার শাসনকালে কার্যকর করেছিলেন। (৩) ফরাসি বিপ্লবের মূল আদর্শগুলি তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেন।
(৩.৪) ‘মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা’ বলতে কি বোঝো?
উত্তরঃ- যুদ্ধে অপরাজেয় ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত করার জন্য নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইউরোপের বন্দরগুলিতে ইংল্যান্ডের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে দেন। এইভাবে ইউরোপ মহাদেশের বন্দরগুলিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করা হয় তা মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা নামে পরিচিত।
(৩.৫) রাইন অফ দ্য কনফেডারেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ- ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন জার্মানির উটেমবার্গ, বেডেন, হেসবার্গ প্রভৃতি ছোট ছোট রাজ্য দখল করে এদের নিয়ে কনফেডারেশন বা রাষ্ট্র সমবায় গঠন করেন। এটি ‘কনফেডারেশন অফ দ্য রাইন’ নামে পরিচিত।
(৩.৬) ‘স্পেনীয় ক্ষত’ কি?
উত্তরঃ- ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন স্পেন দখল করে সেখানকার সিংহাসনে নিজের ভাই জোসেফকে বসিয়ে দিলে, স্পেনবাসী নেপোলিয়ানের বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রাম শুরু করে। স্পেনের যুদ্ধে নেপোলিয়নের বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে এবং জোসেফ স্পেন থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হন। স্পেনে নেপোলিয়নের এই সামরিক ব্যর্থতা ‘স্পেনীয় ক্ষত’ নামে পরিচিত।
(৩.৭) নেপোলিয়ানকে ‘বিপ্লবের ধ্বংসকারী’ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ- নেপোলিয়ানকে বিপ্লবের ধ্বংসকারী বলা হয়, কারণ - (১) বিপ্লবের স্বাধীনতার আদর্শ তিনি ধ্বংস করেন। (২) বিপ্লব ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়েছিল কিন্তু তিনি ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
(৩.৮) নেপোলিয়ানের ‘গ্রান্ড আর্মি’ কী?
উত্তরঃ- গ্রান্ড আর্মি ছিল নেপোলিয়নের অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাদল। নেপোলিয়ান তার গ্রান্ড আর্মি নিয়ে 1812 খ্রিস্টাব্দে রাশিয়া অভিযান করলে সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্যাভাব, মারণ রোগ, রুশ গেরিলা আক্রমণ প্রভৃতি কারণে এই বাহিনী ধ্বংস হয়।
৪। রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(৪.১) নেপোলিয়নের বিভিন্ন সংস্কার গুলি নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ- ফরাসি শাসক নেপোলিয়ান শুধু সমরকুশলী যোদ্ধা হিসেবে নয়, সুদক্ষ সংস্কারক হিসেবেও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে তার সাম্রাজ্যের পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করেছিলেন।
নেপোলিয়নের সংস্কারঃ -
নেপোলিয়নের প্রধান সংস্কার গুলি হল -
(এক) শাসনতান্ত্রিক সংস্কার: নেপোলিয়ান ফ্রান্সে আইনের শাসন প্রবর্তন করেন এবং জনগণের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা দেন। সমগ্র দেশকে 83 টি ডিপার্টমেন্ট বা প্রদেশে বিভক্ত করে সেখানে প্রিফেক্ট নামে শাসক নিয়োগ করেন। তিনি প্রদেশ গুলিতে বিভিন্ন জেলায় বিভক্ত করে সেখানে সাব-প্রিফেক্ট নামে শাসক নিয়োগ করেন।
(দুই) শিক্ষা সংস্কার: নেপোলিয়ন বেশ কিছু মাধ্যমিক ফলিত, বিজ্ঞান, কারিগরি, আইন, শিক্ষক, শিক্ষণ, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়াও ‘ইউনিভার্সিটি অফ ফ্রান্স’ প্রতিষ্ঠা করেন।
(তিন) অর্থনৈতিক সংস্কার: দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট দূর করার উদ্দেশ্যে নেপোলিয়ন বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। তিনি সরকারি ব্যয় হ্রাস ও অডিট প্রথা চালু করেন, তাছাড়া সবাইকে আয়কর প্রদানে বাধ্য করেন। আর ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতির জন্য ‘ব্যাংক অফ ফ্রান্স’ প্রতিষ্ঠা করেন।
(চার) ধর্মীয় সংস্কার: নেপোলিয়ন সপ্তম পায়াসের সঙ্গে কনকর্ডাটা বা ধর্ম মীমাংসা চুক্তি স্বাক্ষর করে পোপের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে নেন। এই চুক্তি অনুসারে - (১) পোপ ফরাসি গির্জা ও সম্পত্তির জাতীয়করণ মেনে নেন। (২) তাছাড়াও স্থির হয় যে সরকার যাজকদের নিয়োগ করবে এবং পোপ তাদের স্বীকৃতি দেবে।
(পাঁচ) আইন বিষয়ক সংস্কার: নেপোলিয়ন বিভিন্ন প্রদেশের প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের আইন গুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে 1804 খ্রিস্টাব্দে 2287 টি বিধি সম্বলিত ‘কোড নেপোলিয়ন’ নামে একটি আইন প্রবর্তন করেন। এর প্রধান দিক গুলি ছিল - (১) সামন্ততন্ত্র বিলুপ্তি (২) ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সম্পত্তির অধিকারের স্বীকৃতি, (৩) আইনের দৃষ্টিতে সাম্য, (৪) ধর্মীয় সহনশীলতা, (৫) সরকারি চাকরিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ।
উপসংহার: নেপোলিয়নের সংস্কার কার্যাবলীর দ্বারা বিপ্লব বিধ্বস্ত ফ্রান্সে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনেন। ঐতিহাসিক ডেভিড টমসন বলেছেন যে, নেপোলিয়নের শাসন শুধু প্রজাহিতৈষী ছিল না, তা -''বর্তমান কালের একনায়কতন্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি মানবিক ছিল।''
(৪.২) ট্রাফালগারের যুদ্ধের বিবরণ দাও।
উত্তরঃ- ফরাসি শাসক নেপোলিয়ন 1798 খ্রিস্টাব্দে নীলনদের যুদ্ধে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হলে ইংল্যান্ডের প্রতি তার আক্রোশ সৃষ্টি হয়। এর ফলস্বরূপ 1805 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধ সংঘটিত হয়।
ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে অ্যামিয়েন্সের সন্ধি ভেঙ্গে যাওয়ার পর নেপোলিয়ান বিভিন্ন ঘটনায় ইংল্যান্ডের উপর ক্ষুব্ধ হন। তিনি সরাসরি ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে ইংল্যান্ড আক্রমণের উদ্দেশ্যে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগরের তীরে দুই লক্ষাধিক সেনা সমাবেশ করেন।
এই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের নেতৃত্বে অস্ট্রিয়া, রাশিয়া ও সুইডেনকে নিয়ে 1805 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স বিরোধী তৃতীয় শক্তি জোট গড়ে ওঠে। এই শক্তি জোট ভাঙার উদ্দেশ্যে নেপোলিয়ান দ্রুতগতিতে অস্ট্রিয়াকে আক্রমণ করে উলমের যুদ্ধে পরাজিত করেন।
নেপোলিয়নের ইংল্যান্ড আক্রমণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই ইংরেজ নৌসেনা নেলসন ফরাসি সেনাপতি ভিলনেউভকে ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধ শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। যুদ্ধে ফরাসি নৌবহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়।
(৪.৩) ওয়াটারলুর যুদ্ধ সম্পর্কে কি জানো।
উত্তরঃ- নেপোলিয়ন এলবা দ্বীপের নির্বাচন থেকে গোপনে ফ্রান্সে ফিরে এসে শাসন ক্ষমতা দখল করলে ফ্রান্স বিরোধী বিজয়ী মিত্রশক্তিবর্গ তার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
ওয়াটারলুর যুদ্ধঃ-
(এক) আক্রমনের উদ্যোগঃ নেপোলিয়ন বিরোধী মিত্র শক্তি নেপোলিয়নকে আইন বহির্ভূত ব্যক্তি আখ্যা দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্রান্স আক্রমণের উদ্যোগ নেয়।
(দুই) আক্রমনঃ ইংল্যান্ড, প্রাশিয়া, রাশিয়া ও অষ্ট্রিয়ার সেনাদল বিভিন্ন দিক থেকে ফ্রান্স আক্রমণ করে। তীব্র আক্রমণ সত্বেও নেপোলিয়ানের বাহিনী প্রথম পর্যায়ে লিঞ্জি ও কোয়াটার ব্রাসের যুদ্ধে জয়লাভ করে।
(তিন) ওয়াটারলুর যুদ্ধে পরাজয়: নেপোলিয়নের প্রাথমিক সাফল্যের পর ব্রিটিশ সেনাপতি আর্থার ওয়েলেসলি বা ডিউক অব ওয়েলিংটনের কাছে ওয়াটার লুর যুদ্ধে নেপোলিয়নের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে। আর 15 ই জুলাই তিনি ব্রিটিশ নৌবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
(চার) নির্বাসন: ওয়াটারলুর যুদ্ধে নেপোলিয়ন পরাজিত হলে বিজয়ী শক্তিবর্গ তাকে আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসন দেয়। সেখানে অত্যন্ত অনাদরে 1821 খ্রিস্টাব্দে এই বীর যোদ্ধার মৃত্যু হয়।
..........................
👉Pdf পেতে 8250978714 এই নম্বরে WhatsApp করূন।।