🌹বিএ (জেনারেল) বাংলা 4th সেমিস্টার ‘বাবরের প্রার্থনা' প্রশ্ন উত্তর(প্রশ্নের মান -১,২)🌹

 📚বিএ (জেনারেল) বাংলা 4th সেমিস্টার ‘বাবরের প্রার্থনা' প্রশ্ন উত্তর।👇👇👇👇👇👇

👉প্রশ্নমান-১, ২:

১। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি কবে রচিত হয়?

উ: ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি রচিত হয় ১৯৪৭ সালে।

২। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উ: কবিতাটি ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

৩। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতায় পঙক্তি ও স্তবক সংখ্যা কত?

উ: দু’টি স্তবক এবং চব্বিশটি পঙক্তি নিয়ে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি রচিত।

৪। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতার প্রথম পঙক্তিটি কী?

উ: ‘এই তাে জানু পেতে বসেছি, পশ্চিম।

৫। ‘এই তাে জানু পেতে বসেছি',—এই কথাগুলির মধ্য দিয়ে কোন্ ভাব প্রকাশ পাচ্ছে?

উ: এই কথাগুলির মধ্য দিয়ে একটা প্রার্থনা বােধ’ প্রকাশ পেয়েছে।

৬। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতার রচনার পিছনে কোন্ ঐতিহাসিক ঘটনা কার্যকারী ছিল ?

উ: সম্রাট বাবর তার অসুস্থ পুত্র হুমায়ুনের আরােগ্য কামনায় নিজের জীবন উৎসর্গ করতে

চেয়েছিলেন বিধাতার কাছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ‘শঙ্খ ঘােষের’ ‘বাবরের

প্রার্থনা কবিতাটি রচিত।

৭। কবিতাটি রচনার পিছনে কবির ব্যক্তিজীবনের কোন্ বিশেষ ঘটনা কাজ করছে?

উ: কবিতার ‘মুহূর্ত’ গ্রন্থে কবি শঙ্খ ঘােষের স্বীকারােক্তি থেকে জানা যায় যে, কবির নিজের কন্যার অসুস্থতার জন্য দুশ্চিন্তা থেকে কবিতাটির জন্ম। তবে কবিতাটি ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে সার্বজনীনতায়।

৮। ‘ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও'—পঙক্তিটির মর্মার্থ লেখাে।

উ: নিজের জীবন উৎসর্গ করে সন্তানের সুখ কামনাই এখানে ব্যঞ্জিত হয়েছে।

৯। ‘এই তাে জানু পেতে বসেছি, পশ্চিম’—পশ্চিমমুখ হয়ে জানু পেতে বসার কারণ কী?

উ: আমাদের দেশের পশ্চিমে পবিত্র মক্কা শহর। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মক্কার দিকে মুখ করে নমাজ

পড়েন। বাবরও পশ্চিমমুখী হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আল্লার কাছে প্রার্থনা করছেন, আপন সন্তানের

রােগমুক্তির জন্য।

১০। ‘আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক।'—পঙক্তিটির মর্মার্থ লেখাে।

উ: ‘স্বপ্ন’ এখানে সুখের প্রতীক। সব পিতাই সন্তানের সুখ কামনা করে। বিশ্ব বিধাতার কাছে বাবরের যে প্রার্থনা—এ প্রার্থনা চিরকালীন।

১১। “আমারই বর্বর জয়ের উল্লাসে

মৃত্যু ডেকে আনি নিজের ঘরে ?”—তাৎপর্য লেখাে।

উ: আলােচ্য পঙক্তিতে কবি বাবরের কণ্ঠ দিয়ে কেন এত পাপ তার কারণ অনুসন্ধানে রত। বাবরের ধারণা, তার বর্বরােচিত জয়ের উল্লাসের পিছনেই পাপের বীজ নিহিত যা তার পুত্রকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।—এই অনুশােচনা বাবরের মনােলােকে এক গভীর জিজ্ঞাসা জাগিয়ে দিয়েছে।

১২। “জীর্ণ করে ওকে কোথায় নেবে?”-কোন্ কবির কোন কবিতার অংশ ?

উ: 'বাবরের প্রার্থনা' কবিতার অংশ। কবি শঙ্খ ঘােষ।

১৩। “মৃত্যু ডেকে আনি নিজের ঘরে”—এই পঙক্তিটির সাথে মধুসূদনের ‘মেঘনাদ বধ' কাব্যের

কোন্ পক্তিটির সাদৃশ্য রয়েছে ?

উ: ‘মরে পুত্র জনকের পাপে।’

১৪। 'বাবরের প্রার্থনা' কবিতাটি কোন্ ছন্দে লেখা?

উ: মাত্রাবৃত্ত ছন্দে। বিন্যাস হল ৭ + ৭ এবং ৭ + ৫।

১৫। 'আজ বসন্তের শূন্য হাত/ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও'---‘ধ্বংস করে দাও আমাকে

কথাটির মর্মার্থ উল্লেখ করাে।

উ: কথাটির মধ্যে দিয়ে কবি শঙ্খ ঘােষ যেন ইতিহাস খ্যাত পুরুষ স্নেহময় পিতা মােঘল সম্রাট বাবরের সঙ্গে নিজেকে একাত্মীকরণ করে নিতে চান। কারণ সন্ততিরা সুখে থাক, স্বপ্নে থাক, ‘দুধে ভাতে’ থাক-এ প্রার্থনা সকল পিতাদেরই। তাই সকল পিতারাই চান তাদের জীবনে যত বড় ঝড় ঝাপটা আসে আসুক, তাদের ধ্বংস হতে হবে—কিন্তু তা যেন কোন অবস্থাতেই তার সন্তানদের স্পর্শ করে। অর্থাৎ নিজের মৃত্যুর বিনিময়ে ও সন্তানের সুখ কামনাই এখানে ব্যঞ্জিত।

১৬। বাবর কে ছিলেন?

উ: বাবর ছিলেন ভারতবর্ষে মােগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।

১৭। বাবর নামের অর্থ কী ?

উ: বাবর নামের অর্থ হল—পুরুষসিংহ।

১৮। আজান গানটি কী ?

উ: নামাজ পড়ার জন্য উচ্চৈঃস্বরে আহ্বান-কে আজান গান বলা হয়।

১৯। ‘আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক’—উক্তিটি কে বলেছেন? কোথায় বলেছেন?

উ: ‘আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক’—উক্তিটি বলেছেন ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতায় কবি শঙ্খ ঘােষ।

২০। শঙ্খ ঘােষ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উ: শঙ্খ ঘােষ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

২১। শঙ্খ ঘােষের উল্লেখযােগ্য কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখাে।

উ: শঙ্খ ঘােষের উল্লেখযােগ্য কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম হল—‘দিনগুলি রাতগুলি’, ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’, ‘নিহিত পাতাল ছায়া’, ‘বাবরের প্রার্থনা ইত্যাদি।

২২। ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতাটি কোন্ ছন্দে লেখা?

উ: ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি সাতমাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা।

২৩। ‘আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক।'- চরণটি কার লেখা এবং কোন্ কবিতার নির্বাচিত অংশ?

উ: আলােচ্য চরণটি শঙ্খ ঘােষের লেখা এবং ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতার নির্বাচিত অংশ।

২৪। “বিষায় ফুসফুস ধমনী শিরা!'—কোন কবিতায় নির্বাচিত অংশ ?

উ: আলােচ্য চরণটি শঙ্খ ঘােষের লেখা ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতার নির্বাচিত অংশ।

২৫। ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতাটি যে কাব্যের অন্তর্গত সেই কাব্যটি কবি কাকে উৎসর্গ করেন ?

উ: ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি ‘বাবরের প্রার্থনা' কাব্যের অন্তর্গত। কাব্যটি কবি ‘রূপ-রূপা- রূপমকে,জন্মদিনে উৎসর্গ করেন।

২৬। ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতাটি কবে রচিত হয়?

উ: বাবরের প্রার্থনা কবিতাটি রচিত হয় ১৯৪৭ সালে।

২৭। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উ: কবিতাটি ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

২৮। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি পঙক্তি ও স্তবক সংখ্যা কত?

উ: ছ’টি স্তবক এবং চব্বিশটি পঙক্তি নিয়ে ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতাটি রচিত।

২৯। ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতার প্রথম পঙক্তিটি কী?

উ: ‘এই তাে জানু পেতে বসেছি, পশ্চিম।'

৩০। ‘এই তাে জানু পেতে বসেছি'—এই কথাগুলির মধ্য দিয়ে কোন ভাব প্রকাশ পাচ্ছে?

উ: এই কথাগুলির মধ্য দিয়ে একটা প্রার্থনা বােধ’ প্রকাশ পেয়েছে।

৩১। ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতা রচনার পিছনে কোন ঐতিহাসিক ঘটনা কার্যকরী ছিল?

উ: সম্রাট বাবর তার অসুস্থ পুত্র হুমায়ুনের আরােগ্য কামনায় নিজের জীবন উৎসর্গ করতে

চেয়েছিলেন বিধাতার কাছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ‘শঙ্খ ঘােষের’ ‘বাবরের

প্রার্থনা কবিতাটি রচিত।

৩২। কবিতাটি রচনার পিছনে কবির ব্যক্তিজীবনের কোন বিশেষ ঘটনা কাজ করছে?

উ: কবিতার ‘মুহূর্ত’ গ্রন্থে কবি শঙ্খ ঘােষের স্বীকারােক্তি থেকে জানা যায় যে, কবির নিজের কন্যার অসুস্থতার জন্য দুশ্চিন্তা থেকে কবিতাটির জন্ম। তবে কবিতাটি ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে সার্বজনীনতায়।

৩৩। ‘ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও'—পঙক্তিটির মমার্থ লেখাে।

উ: নিজের জীবন উৎসর্গ করে সন্তানের সুখ কামনাই এখানে ব্যঞ্জিত হয়েছে।

৩৪। ‘এই তাে জানু পেতে বসেছি, পশ্চিম’–পশ্চিমমুখী হয়ে জানু পেতে বসার কারণ কী?

উ: আমাদের দেশের পশ্চিমে পবিত্র মক্কা শহর। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মক্কার দিকে মুখ করে নামাজ

পড়েন। বাবরও পশ্চিমমুখী হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আল্লার কাছে প্রার্থনা করছেন, আপন

সন্তানদের রােগমুক্তির জন্য।

৩৫। ‘আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক।'—পঙক্তিটির মমার্থ লেখাে।

উ: ‘স্বপ্ন’ এখানে সুখের প্রতীক। সব পিতাই সন্তানের সুখ কামনা করি। বিশ্ব বিধাতার কাছে বাবরের যে প্রার্থনা—এ প্রার্থনা চিরকালীন।

৩৬। “আমারই বর্বর জয়ের উল্লাসে।

মৃত্যু ডেকে আনি নিজের ঘরে?”—তাৎপর্য লেখাে।

উ: আলােচ্য পঙক্তিতে কবি বাবরের কণ্ঠ দিয়ে কেন এত পাপ তার কারণ অনুসন্ধানে রত। বাবরের ধারণা, তার বর্বরােচিত জয়ের উল্লাসের পিছনেই পাপের বীজ নিহিত যা তার পুত্রকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।—এই অনুশােচনা বাবরের মনােলােকে এক গভীর জিজ্ঞাসা জাগিয়ে

দিয়েছে।

৩৭। “জীর্ণ করে ওকে কোথায় নেবে?”—কোন্ কবির কোন্ কবিতার অংশ?

উ: ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতার অংশ। কবি শঙ্খ ঘােষ।

৩৮। “মৃত্যু ডেকে আনি নিজের ঘরে”—এই পঙক্তিটির সাথে মধুসূদনের ‘মেঘনাদ বধ' কাব্যের

কোন্ পঙক্তিটির সাদৃশ্য রয়েছে?

উ: “মরে পুত্র জনকের পাপে।'

৩৯। বাবরের প্রার্থনা' কবিতাটি কোন ছন্দে লেখা?

উ: মাত্রাবৃত্ত ছন্দে। পর্ববিন্যাস হল ৭ + ৭ এবং ৭ + ৫।

৪০। ‘আজ বসন্তের শূন্য হাত/ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও’-ধ্বংস করে দাও আমাকে

কথাটির মর্মার্থ উল্লেখ করো।

উ: কথাটির মধ্যে দিয়ে কবি শঙ্খ ঘােষ যেন ইতিহাস খ্যাত পুরুষ স্নেহময় পিতা মােঘল সম্রাট

বাবরের সঙ্গে নিজেকে একাত্মীকরণ করে নিতে চান। কারণ সন্ততিরা সুখে থাক, স্বপ্নে থাক,

‘দুধে ভাতে’ থাক-এ প্রার্থনা সকল পিতাদেরই। তাই সকল পিতারাই চান তাদের জীবনে যত

বড়াে ঝড় ঝাপটা আসে আসুক, তাদের ধ্বংস হতে হয় হবে—কিন্তু তা যেন কোন অবস্থাতেই

তার সন্তানদের স্পর্শ না করে। অর্থাৎ নিজের মৃত্যুর বিনিময়েও সন্তানের সুখ কামনাই এখানে

ব্যঞ্জিত।

৪১। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?

উ: বাবরের প্রার্থনা হল ‘বাবরের প্রার্থনা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

৪২। বাবর কে ছিলেন?

উ: বাবর ছিলেন ভারতবর্ষে মােগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।

৪৩। বাবরের নামের অর্থ কী?

উ: বাবর নামের অর্থ হল—পুরুষসিংহ।

৪৪। আজান গান কী?

উ: নামাজ পড়ার জন্য উচ্চৈঃস্বরে আহ্বান-কে আজান গান বলা হয়।

৪৫। “আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক’ উক্তিটি কে বলেছেন? কোথায় বলেছেন?

উ: ‘আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক’ উক্তিটি বলেছেন ‘বাবরের প্রার্থনা' কবিতায় কবি শঙ্খ ঘােষ।

                                .............

          skacademyallinone.blogspot.com