📚 বিএ জেনারেল বাংলা 4th সেমিস্টার: বলাকা প্রশ্ন উত্তর :প্রশ্নের মান -1,2

✍️ প্রশ্নের মান-১,২:

১। ‘বলাকা' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্ভুক্ত ?

উ: ‘বলাকা' কবিতাটি ‘বলাকা' কাব্যের অন্তর্ভুক্ত।

২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বলাকা' কবিতাটি কবে রচিত হয় ?

উ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বলাকা' কবিতাটি ১৩২২ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে রচিত হয়।

৩। এই কবিতাটি লেখার সময় রবীন্দ্রনাথ কোথায় থাকতেন?

উ: কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে বসে রবীন্দ্রনাথ কবিতাটি লেখেন।

৪। ‘বলাকা' কবিতাটি কবে, কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

উ: ‘বলাকা' কবিতাটি ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় ১৩২২ বঙ্গাব্দে কার্তিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

৫। ‘বলাকা' কবিতাটি ‘বলাকা' কাব্যের কত সংখ্যক কবিতা?

উ: ‘বলাকা' কবিতাটি ‘বলাকা' কাব্যের ৩৬ সংখ্যক কবিতা।

৬। ‘বলাকা' কবিতাটিতে কটি পঙক্তি ও কটি স্তবক আছে?

উ: ‘বলাকা' কবিতাটিতে ৬৫ টি পঙক্তি এবং ৪/৫টি স্তবক আছে।

৭। ‘বলাকা' কাব্যটি কবি কাকে উৎসর্গ করেন?

উ: ‘বলাকা' কাব্যটি কবি উইলিপিয়ারসনকে উৎসর্গ করেন।

৮। ‘বলাকা' কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?

উ: ‘বলাকা' কবিতাটি ‘মুক্তক’ ছন্দে রচিত।

৯। রবীন্দ্রনাথ এই কবিতায় বারবার কীসের কথা উল্লেখ করেছেন?

উ: রবীন্দ্রনাথ এই কবিতায় বারবার ‘গতির কথা’ উল্লেখ করেছেন।

১০। এই কবিতায় যে বর্ণনা আছে তা রবীন্দ্রনাথ কোথায় দেখেছিলেন?

উ: শ্রীনগর প্রবাহিনী ঝিলাম নদীর ওপর কবি যখন একদিন তাঁর হাউস বােটের ছাদে ছিলেন

সন্ধ্যাবেলায় তখন।

১১। রবীন্দ্রনাথের মতে জীবনের ধর্ম কী?

উ: রবীন্দ্রনাথের মতে জীবনের ধর্ম গতি।

১২। এই কবিতায় উল্লিখিত নদীটির নাম কী ?

উ: এই কবিতায় উল্লিখিত নদীটির নাম ঝিলম। এটি সিন্ধুর শাখানদী।

১৩। ‘বলাকা' কবিতার প্রথম ছত্রটি লেখাে ?

উ: “সন্ধ্যারাগে-ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা

আঁধারে মলিন হল, যেন খাপে ঢাকা

বাঁকা তলােয়ার!”

১৪। ‘বলাকা' কবিতার শেষ চরণ লেখাে?

উ: “ধ্বনিয়া উঠিছে শূন্য নিখিলের পাখার এ গানে—

হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোথা, অন্য কোনখানে!”

১৫। ঝিলমের স্রোতটি কেমন?

উ: সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা।

১৬। ঝিলমের বাঁকা স্রোতকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উ: ঝিলমের বাঁকা স্রোতকে দেখে কবির মনে হয়েছে যেন খাপে ঢাকা বাঁকা তলােয়ার।

১৭। ঝিলমের কালাে জলে তারার প্রতিবিম্ব দেখে কবির কী মনে হয়েছে?

উ: ঝিলমের কালাে জলে তারাগুলির প্রতিবিম্ব দেখে কবির ফুলের মতাে মনে হয়েছে।

১৮। সন্ধ্যার অন্ধকারে অব্যক্ত শব্দ করে কারা উড়ে যাচ্ছিল ?

উ: সন্ধ্যার অন্ধকারে অব্যক্ত শব্দ করে হংস বলাকারা উড়ে যাচ্ছিল।

১৯। হংস বলাকাদের উড়ে যাওয়ার শব্দশুনে কবির কী মনে হয়েছে?

উ: অপ্সরা রমনীর মতাে যেন সে শব্দরাশি স্তব্ধতার তপস্যাকে ভেঙে দিয়ে গেল।

২০। হংস বলাকাদের পাখার শব্দে কবির আর কী মনে হয়েছিল?

উ: কবির মনে হয়েছিল বলাকার পক্ষশব্দ পলক-পরিমিত সময়সীমায় হলেও অচল পর্বতে একটা বেগের আবেগ এনে দিয়েছিল, তরুর দলও উড়ে যেতে চেয়েছিল কিনারা বিহীন আকাশে।

অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য ব্যাকুলতা দেখা দিয়েছিল।

২১। হংস বলাকার শব্দে পর্বত ও তরুশ্রেণি কী হতে চেয়েছিল?

উ: হংস বলাকার শব্দে পর্বত হতে চেয়েছিল বৈশাখের নিরুদ্দেশ মেঘ। আর তরু শ্রেণি পাখা

মেলে মাটির বন্ধন ফেলে উড়ে যেতে চেয়েছিল।

২২। কবি কাদের জন্য জলে স্থলে পাখার উদ্দাম চঞ্চল শব্দ শুনতে পাচ্ছেন?

উ: কবি হংস বলাকাদের জন্য চারিদিকে পাখার উদ্দাম চঞ্চল শব্দ শুনতে পাচ্ছেন।

২৩। বনকে দেখে কবির কী মনে হয়েছে?

উ: বনকে দেখে কবির মনে হয়েছে যেন এই বন চলেছে উন্মুক্ত ডানায় দ্বীপ হতে দ্বীপান্তরে,

আজানা হতে অজানায়।

২৪। ‘বলাকা' কবিতায় ‘হংস বলাকা’ শব্দটি কবার উচ্চারিত হয়েছে?

উ: ‘বলাকা’ কবিতায় ‘হংস বলাকা’ শব্দটি দুই বার উচ্চারিত হয়েছে।

২৫। ‘বলাকা’ শব্দের অর্থ কী ?

উ: ‘বলাকা’ শব্দের অর্থ পঙক্তি বা সারি। এখানে হংস বলাকা বলতে বুনাে হাঁসের সারি বা আকাশে

উড়ন্ত সাদা পাখির সারিকে বলা হয়েছে।

২৬। কবি নিজের অন্তরে কী শুনতে পেয়েছেন?

উ: অসংখ্য পাখির সাথে দিনে রাতে এই বাসাছাড়া পাখি আলাে-অন্ধকারে কোন পার হতে কোন পারে চলে যায়।

২৭। ‘ধ্বনিয়া উঠিছে শূন্য নিখিলের পাখার এ গানে’—কোন গানে ?

উ: ‘ধ্বনিয়া উঠিছে শূন্য নিখিলের পাখার এ গানে’ গানটি হল—“হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য

কোথা, অন্য কোনখানে!”

২৮। ‘বাজিল ব্যাকুল বাণী নিখিলের প্রাণে’-ব্যাকুল বাণীটি কী?

উঃ “হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য

কোথা, অন্য কোনখানে!”

২৯। ‘বলাকা’ কাব্যের প্রকাশকাল কত?

উ: ‘বলাকা' কাব্যের প্রকাশকাল হল ১৩২২ বঙ্গাব্দ।

৩০। ‘বলাকা’ কাব্যের প্রথম কবিতাটির নাম কী ?

উ: ‘বলাকা’ কাব্যের প্রথম কবিতা হল ‘সবুজের অভিযান’।

৩১। ‘বলাকা’ কবিতায় কোন তত্ত্বের-আরােপ হয়েছে?

উ: ‘বলাকা’ কবিতায় গতিচিন্তা তত্ত্বের আরােপ হয়েছে।

৩২। ‘পর্বত চাহিল হতে বৈশাখের নিরুদ্দেশ মেঘ’-কোন কবিতার পংক্তি?

উ: ‘পর্বত চাহিল হেত বৈশাখের নিরুদ্দে মেঘ’ উক্তিটি ‘বলাকা' কবিতার পংক্তি।

৩৩। ‘বলাকা’ কবিতাটি ধ্রুব পদটি কী?

উ: ‘বলাকা’ কবিতার ধ্রুব পদটি হল—‘হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোথা, অন্য কোন খানে।’

৩৪। ‘বলাকা' কবিতাটি কবে কোথায় রচিত হয় ?

উ: কার্তিক ১৩২২ বঙ্গাব্দে শ্রীনগরে ‘বলাকা' কবিতাটি রচিত হয়।

৩৫। ‘বলাকা’ কবিতাটি মূল কাব্যগ্রন্থের নাম কী এবং কত সংখ্যক কবিতা হিসাবে চিহ্নিত ?

উ: ‘বলাকা’ কবিতাটি মূল কাব্যগ্রন্থের নাম ‘বলাকা’ এবং এটি ৩৬ নং কবিতা হিসাবে চিহ্নিত।

৩৬। 'বলাকা' কাব্যের রচনাকালে নির্দেশ করাে।

উ: ১৩২১ সালের বৈশাখ থেকে ১৩২২ এক কার্তিক মাসের মধ্যে ‘বলাকা' কাব্যটি রচিত হয়।

৩৭। ‘বলাকা' কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথের কোন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়েছে?

উ: ‘বলাকা' কবিতায় রবীন্দ্রনাথের গতিচিন্তা এবং মৃত্যু ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে।

৩৮। ‘বলাকা’ কবিতায় মৃত্যু ভাবনা কোন্ বিশেষ ভাবনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে?

উ: ‘বলাকা’ কবিতায় মৃত্যুচিন্তা প্রকাশিত হয়েছে গীতার মৃত্যুচিন্তা এবং ভারতীয় সনাতন চিন্তাকে

অবলম্বন করে।

৩৯। ‘বলাকা’ শব্দের অর্থ কী?

উ: ‘বলাকা’ শব্দের অর্থ হল হংসের পংক্তি বা শ্রেণি। আকাশের বুকে মালার মতাে শৃঙ্খল রচনা

করে হংসশ্রেণির উড়ে যাওয়াকে বলা হয়েছে বলাকা।

৪০। ‘বলাকা' কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?

উ: ১৩২২ সালে কার্তিক সংখ্যায় ‘সবুজপত্র’ নামক পত্রিকায় বলাকা কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছে।

৪১। শ্রীনগরের কোন নদীর তীরে দাঁড়িয়ে কবি এই বলাকার দৃশ্যকে লক্ষ করেছিলেন ?

উ: ঝিলাম নদীর তীরে কবি এই বলাকার দৃশ্যকে লক্ষ করেছিলেন।

৪২। ‘আঁধারে মলিন হল, যেন খাপে ঢাকা বাঁকা তলােয়ার’–এখানে ‘বাঁকা তলােয়ারের সাথে

কাকে তুলনা করা হয়েছে?

উ: ‘সন্ধ্যার আগে ঝিলিমিলি ঝিলাম নদীর স্রোতখানিকে বাঁকা তলােয়ারের সঙ্গে তুলনা করা

হয়েছে।

৪৩। ‘অন্ধকার গিরি তট তলে/ দেওদার তরু সারে সারে’-দেওয়ার তরু বলতে কী বােঝানাে

হয়েছে?

উ: দেবদারু গাছকে বােঝানাে হয়েছে।

৪৪। ‘শব্দময়ী অপ্সররমণী’—কার সঙ্গে এই তুলনা?

উ: অপ্সরারমনীর যেমন শব্দময়ী হয়ে স্তব্দতার তপােভঙ্গ করে তেমনি হংসবলাকার পক্ষধ্বনি

যেন সেই নিস্তদ্ধতাকে ভঙ্গ করে চলেছে।

৪৫। ‘বাজিল ব্যাকুলবানী নিখিলের প্রাণে—এখানে কোন বাণী বেজে ওঠার কথা বলা হয়েছে?

উ: চিরগতি তত্ত্বে সেই বাণী ধ্বনিত হয়েছে, কবি বলেছেন—“হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য

কোথা, অন্য কোনখানে।”

                          ...................

👉Pdf পেতে 8250978714-এই নম্বরে WhatsApp করুন।।।

         skacademyallinone.blogspot.com